BJP vs TMC: পঞ্চায়েতে ‘দুর্নীতির তালিকা’ তৈরি করবে বিজেপি, ভোটের আগে ঘুঁটি সাজাচ্ছে পদ্ম শিবির
Subhas Sarkar in Bankura: শুক্রবার বাঁকুড়ায় বিজেপির একটি দলীয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল জেলা ও মণ্ডল নেতৃত্বদের নিয়ে। সেই বৈঠকের নেতৃত্বে দেন বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার।
বাঁকুড়া: রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayet Election 2023) আসন্ন। ইতিমধ্যে তপ্ত হতে শুরু করেছে রাজনীতির বাতাবরণ। প্রতিটি দল নিজের মতো করে নীলনকশা তৈরি করছে, দাবার ঘুঁটি সাজাচ্ছে। আর এবারের পঞ্চায়েত নির্বাচনে দুর্নীতির অভিযোগে ইস্যুকে বড় হাতিয়ার করতে চলেছে বিজেপি। বিজেপি সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী সুভাষ সরকার (Subhas Sarkar) ইতিমধ্যেই দলীয় কর্মীদের নির্দেশ দিয়েছেন পঞ্চায়েতে দুর্নীতির তালিকা প্রস্তুত করার জন্য। অর্থাৎ, স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, কেবল রাজ্য স্তরেই নয়, স্থানীয় পঞ্চায়েত স্তরের দুর্নীতির অভিযোগের ইস্যুগুলিকে নিয়ে ঝাঁপাতে চাইছে রাজ্যের প্রধান বিরোধী শিবির।
শুক্রবার বাঁকুড়ায় বিজেপির একটি দলীয় বৈঠকের আয়োজন করা হয়েছিল জেলা ও মণ্ডল নেতৃত্বদের নিয়ে। সেই বৈঠকের নেতৃত্বে দেন বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকার। আগামী দিনে পঞ্চায়েতের রণকৌশল কী হবে, তা নিয়ে আলোচনা হয় বৈঠকে। পরে সাংবাদিক বৈঠকে সাংসদ বলেন, “বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের যা রাজনৈতিক পরিস্থিতি, তৃণমূলের নেতা, প্রাক্তন শিক্ষা মন্ত্রী, শিক্ষা আধিকারিকরা সবাই জেলের মধ্যে। মানুষ বুঝে গিয়েছে এই সমস্যা পঞ্চায়েত স্তর পর্যন্ত কীভাবে রয়েছে। কোন কোন পঞ্চায়েতে তৃণমূল কী ঘোটালা করেছে, সেগুলির তালিকা তৈরি করব আমরা। তৃণমূলের পঞ্চায়েত অনুযায়ী দুর্নীতির তালিকা প্রস্তুত করছি আমরা।”
যদিও এই বিষয়টিকে বাড়তি গুরুত্ব দিতে নারাজ বাঁকুড়া জেলা পরিষদের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ তথা তৃণমূল নেতা শিবাজী বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, এটা ওদের অভ্যন্তরীণ বিষয়। বৈঠক করে কোনও লাভ নেই। সুভাষ সরকার বাঁকুড়ার কোনও কাজ করেননি। উনি কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হয়ে বসে আছেন, আমাকে বলে দিক একটা কাজ হয়েছে কি না। কোনও কাজ হয়নি। এই লকডাউনে, কোভিডকালে দেখা যায়নি। মানুষের আপদে-বিপদে এদের খুঁজে পাওয়া যায় না। সব সময় মানুষের পাশে তৃণমূল কংগ্রেস থাকে। এটা কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নেই, এই নিয়ে মাথাব্যাথা করার কোনও কারণ নেই। মানুষ তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে আছে।” তবে ঘটনাকে কেন্দ্র করে বেশ শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনীতির অন্দরমহলে।