Birbhum: রাতভর মুড়ি-মুড়কির মতো পড়েছে যত্র-তত্র বোমা! ফের শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব

Birbhum: আজ সকাল থেকে ফের শুরু হয় ঝামেলা।

Birbhum: রাতভর মুড়ি-মুড়কির মতো পড়েছে যত্র-তত্র বোমা! ফের শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 28, 2021 | 6:40 PM

বীরভূম: রাতভর বোমাবাজি। আতঙ্কে ত্রস্ত হয়ে রয়েছেন এলাকাবাসী। প্রকাশ্যে আবার সেই তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। এলাকা দখলকে কেন্দ্র করে শাসকদলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে দ্বন্দ্ব বাধে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করার চেষ্টা করে।

বীরভূমের দুবরাজপুর থানার পাকুরিয়া গ্রাম। গতকাল সন্ধে থেকে এলাকা দখল নিয়ে চলতে থাকে বোমাবাজি। এরপর আজ সকাল থেকে ফের শুরু হয় ঝামেলা। এলাকায় পৌঁছায় পুলিশবাহিনী। জানা গিয়েছে, পাকুড়িয়ায় এই এলাকা দখল নিয়ে শাসক দলের মধ্যে অশান্তি দীর্ঘদিনের। সেই নিয়েই গতকাল মীমাংসা করতে বসেন লক্ষীনারায়ণপুরের অঞ্চল সভাপতি আহমেদ রেজা খান। তাঁর বাড়িতেই বসে দুই পক্ষ। কিন্তু এখানেই শেষ নয়। মীমাংসা চলাকালীনও বচসায় জড়ায় দুই পক্ষ। বচসা বেড়ে পৌঁছায় হাতাহাতির পর্যায়ে। এরপর পাকুরিয়া গ্রামে এসে বোমাবাজি করে দুই পক্ষ। ঘটনাস্থানে দুবরাজপুর থানার পুলিশ পৌঁছালে বোমাবাজি বন্ধ হয়ে যায়।

কিন্তু এরপরও শেষ হয়নি। আজ সকালে ফের গ্রাম জুড়ে শুরু হয় তাণ্ডব। হয় ব্যাপক বোমাবাজি। এখনও গ্রামের যত্র-তত্র পড়ে রয়েছে তাজা বোমা। ইতিমধ্যেই, এই ঘটনায় দুই পক্ষের ৫ জনকে আটক করেছে দুবরাজপুর থানার পুলিশ।

প্রসঙ্গত, রাজ্যজুড়েই শাসকদলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের খবর প্রায়শই সামনে আসে। ভোটের সময় স্বয়ং নেত্রী এই বিষয়ে কর্মীদের কড়া বার্তা দিয়েছিলেন। জানিয়েছিলেন এই ধরনের সমস্যায় দল কড়া ব্যবস্থা নেবে। কিন্তু এরপরও কোথায় কী।

কয়েক মাস আগে কোচবিহারেও দিনে দুপুরে চলে গুলিবর্ষণ। দিনহাটা গীতালদহের নারায়ণকগঞ্জে গুলিকাণ্ডের জেরে আহত ২। মূলত শাসক গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের জেরে এই ঘটনা। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তৃণমূলের  গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে বৃহস্পতিবার সকালে থেকেই উত্তপ্ত পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়। অভিযোগ, সেই দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করেই গুলি চলে। ঘটনায় আহত হন ২জন। এক আহতের নাম আবুল জলিলি মিঞা। তৃণমূলের দলীয় সূত্রে খবর, সিতাই বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়া ও তৃণমূল নেতা আবু আল আজাদ গোষ্ঠীর লড়াই দীর্ঘদিন থেকেই। এই সংঘর্ষ চরম আকার নেয়। সেখানেই গুলি চলে বলে অভিযোগ। আজাদ ঘনিষ্ঠ এক তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হন। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তাঁর ডান পায়ে ও পেটে গুলি লাগে।

এরপরের স্থান পশ্চীম মেদিনীপুরের কোশিয়াড়ি। গত অগাস্টে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে আচমকা সংঘর্ষের ঘটনায় গুরুতর জখম হয় ২। তাদেরকে কেশিয়াড়ি গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তৃণমূলের দলীয় সূত্রে খবর,  গোষ্ঠী সংঘর্ষের ঘটনায়, কেশিয়া়ড়ির প্রাক্তন ব্লক সভাপতি ও তাঁর অনুগামীরা। হামলার ঘটনায় অভিযোগ তৃণমূল কিষাণ ক্ষেতমজুর ইউনিয়নের নেতা ফটিক পাহাড়ি ও তাঁর অনুগামীদের বিরুদ্ধে। প্রাক্তন ব্লক সভাপতি পবিত্র শিটের অভিযোগ, শিবশঙ্কর চৌধুরী বলে এক তৃণমূল নেতা তাঁর নিজের ব্যক্তিগত কাজে  স্থানীয় ব্যাঙ্কে যাচ্ছিলেন। অভিযোগ, সেইসময় অতর্কিতে তাঁর উপর হামলা চালায় ফটিক পাহাড়ির কিছু অনুগামীরা। প্রকাশ্য রাস্তায়, পিস্তল-বল্লম সহকারে তারা শিবশঙ্কর-সহ অন্য কর্মীদের উপর হামলা চালায় বলে অভিযোগ। সেই হামলার জেরে মাথা ফেটে যায় শিবশঙ্করের। কোমরেও গুরুতর চোট পান তিনি।

আরও পড়ুন: Delhi Riots: ‘এক লহমায় অশান্তি ছড়ায়নি, দিল্লি হিংসা ছিল পূর্বপরিকল্পিত’, পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের