TMC Clash: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে উত্তপ্ত নাটাবাড়ি, আহত ২৫
TMC CLash: ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সকালে। এদিন দেওচড়াই গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী বাচিরণ বেওয়ার ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে।
কোচবিহার: তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে রণক্ষেত্রের চেহারা নিল নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের দেওচরাই গ্রাম। আহত দু’পক্ষের ২৫ জনের বেশি। প্রাক্তন দুই জেলা সভাপতির অনুগামীদের দ্বন্দ্বে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা।
ঘটনার সূত্রপাত রবিবার সকালে। এদিন দেওচড়াই গ্রাম পঞ্চায়েতের মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের নেত্রী বাচিরণ বেওয়ার ওপর হামলার অভিযোগ ওঠে। এই হামলাকে কেন্দ্র করেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে কৃষ্ণপুর গ্রামের ঘনাপারা এলাকা। দু’পক্ষের মারামারিতে আহত হন কমপক্ষে ২৫ জন। আহতদের মধ্যে কয়েকজন মহিলাও রয়েছেন।
দেওচড়াই কৃষ্ণপুর এলাকায় নাটাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রাক্তন জেলার দুই সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের অনুগামীদের সঙ্গে ওপর প্রাক্তন সভাপতি পার্থ প্রতিম রায়ের বিবাদ নতুন কিছু নয়। রবিবার সকালে তা নতুন করে মাথাচাড়া দিয়ে ওঠে। দুই পক্ষের অনুগামীদের মধ্যে বচসায় জড়িয়ে পড়ে। এর জেরেই উত্তপ্ত হয়ে হয়ে গোটা গ্রাম। বচসা চেহারা নেয় সংঘর্ষের। লাঠি, হাঁসুয়া, ধারাল অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ ওঠে। প্রতিরোধ গড়ে তোলেন অপরপক্ষও।
বেশ কয়েকজন তৃণমূল সমর্থক গুরুতর আহত হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অনেককেই তুফানগঞ্জ মহাকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আবার বেশ কয়েক জনকে কোচবিহারের এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। হামলার নেপথ্যে মতিহার বলে স্থানীয় এক নেতার হাত রয়েছে বলে অভিযোগ তুলছেন আক্রান্তদের অনেকে।
জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক দিন ধরে শাসক দলের অভ্যন্তরীণ কোন্দল প্রকাশ্যে এসেছে। যার ফলে রবিবার এমন ঘটনা ঘটেছে দেওচড়াই গ্রামের কৃষ্ণপুর এলাকায়। আক্রান্তদের মধ্যে এক জন বলেন, “ওখানে মারামারি হচ্ছিল শুনলাম। মাজাহারের দল মারামারি করছিল। অনেকেই আহত হয়েছে। বাজারে যারা গিয়েছিল, তাদেরই মূলত মার খেয়েছে। যারা মেরেছে তারাও তৃণমূল করে, আমরাও তৃণমূল করি।”
আক্রান্ত অপর ব্যক্তির কথায়, “আমরা বাজারে গিয়েছিলাম। বাজার থেকে মতিহারের লোক জন এসে মারধর করে। আমরা অনেকেই আক্রান্ত হয়েছি। এটা গোষ্ঠীকোন্দল।” এখনও পর্যন্ত এই ঘটনায় তৃণমূল নেতার কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।