GTA : ‘আর থাকব না জিটিএ-তে’, প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতিকে চিঠি গুরুংদের
GTA : বিমল গুরুং, বিনয় তামাং ও অজয় এডওয়ার্ড মিলে তৈরি করেছেন ভারতীয় 'গোর্খাল্যান্ড সংঘর্ষ কমিটি' নামে এক নতুন মঞ্চ। তারপর থেকে আরও জোরালো হয়েছে পৃথক রাজ্যের দাবি (Demand of Separate State)।
শিলিগুড়ি : পৃথক রাজ্যের দাবিকে জিইয়ে রাখতে চাইছে গুরুং শিবির। তাঁদের সাম্প্রতিক কার্যকলাপ দেখে এমনটাই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এবার চিঠি গেল একেবারে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর দরবারে। জিটিএ চুক্তি থেকে বেরিয়ে আসতে চেয়েই এই চিঠি দেওয়া হয়েছে বলে জানতে পারা যাচ্ছে। রোশন গিরি সাফ জানিয়েছেন জানিয়েছেন চুক্তির অন্যতম পক্ষ হিসাবে তাঁরা আর নেই। ফলে প্রাসঙ্গিকতা থাকছে না চুক্তির। প্রসঙ্গত, ২০১১ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) তৃণমূল সরকার রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর জিটিএ (GTA) চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় কেন্দ্র, রাজ্য ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার মধ্যে। যদিও তারপরেও পাহাড়ের রাজনীতির সমীকরণে এসেছে অনেক বদল। জন্ম হয়েছে হামরো পার্টির।
এরইমধ্যে বিমল গুরুং, বিনয় তামাং ও অজয় এডওয়ার্ড মিলে তৈরি করেছেন ভারতীয় ‘গোর্খাল্যান্ড সংঘর্ষ কমিটি’ নামে এক নতুন মঞ্চ। তারপর থেকে আরও জোরালো হয়েছে পৃথক রাজ্যের দাবি। গত সোমবার বৈঠকেও বসেছিলেন তাঁরা। সেদিনই জানানো হয়েছিল শীঘ্রই জিটিএ থেকে বেরোতে চেয়ে চিঠি দেওয়া হবে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকারকে। যদিও তার আগেই বিমল গুরুং নিজে ঘোষণা করেছিলেন জিটিএ চুক্তির তিনটি পক্ষের মধ্যে রাজ্য ও কেন্দ্র ছাড়াও চুক্তিকারী হিসেবে তিনি নিজে যে স্বাক্ষর করেছিলেন সেই চুক্তি থেকে নিজেদের সরিয়ে নিতে কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া হবে। শুক্রবার সেই চিঠি পাঠানো হল প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতির উদ্দেশে।
এদিকে আগামী বছরই রয়েছে লোকসভা ভোট। তার আগে গোর্খাল্যান্ড সংঘর্ষ কমিটির দিকে বিশেষ নজর রয়েছে উত্তরের রাজনৈতিক মহলের। বর্তমানে পাহাড়ের লোকসভা কেন্দ্রের দখল রয়েছে পদ্ম শিবিরের হাতে। অন্যদিকে গোর্খাল্যান্ড সংঘর্ষ কমিটি যে শাসকদলের দিকে নেই তা আগেই কার্যত স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে। তবে ‘এক্স ফ্যাক্টর ’হিসাবে বারবারই উঠে এসেছে অনীত থাপার দল ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা (বিজিপিএম)। এরইমধ্যে গুরুংয়দের কমিটি, এমনকী অজয় এডওয়ার্ডের হামরো পার্টি যদি পদ্ম শিবিরের দিকে যায় তাহলে চাপ যে বাড়বে তৃণমূলের উপর তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। তবে গুরুংদের চিঠির উত্তর প্রধানমন্ত্রী বা রাষ্ট্রপতির তরফে কী উত্তর আসে এখন সেটাই দেখার। একইসঙ্গে পৃথক রাজ্যের দাবির জল কতদূর গড়ায় সেদিকেও নজর রয়েছে রাজনৈতিক মহলের।