Howrah: বঙ্কিম সেতুর রেলিং-এর ফাঁকে ছটফট করছিল চার কুকুরছানা, বাঁচাতে ছুটল দমকল
Howrah: হাওড়ার ঘটনা। সেখানে বঙ্কিম সেতুর উপর দু’টি পাঁচিলের মাঝখানে আটকে থাকা চার সদ্যোজাতকে সারমেওকে উদ্ধার করলো দমকল।
![Howrah: বঙ্কিম সেতুর রেলিং-এর ফাঁকে ছটফট করছিল চার কুকুরছানা, বাঁচাতে ছুটল দমকল Howrah: বঙ্কিম সেতুর রেলিং-এর ফাঁকে ছটফট করছিল চার কুকুরছানা, বাঁচাতে ছুটল দমকল](https://images.tv9bangla.com/wp-content/uploads/2023/02/Howrah-73.jpg?w=1280)
হাওড়া: কলেজ শেষ করে বেরিয়েছিলেন ওরা। তখনই একটি শব্দ আসছিল। একটু এগোতেই তিনজন দেখতে পান সেতুর পাঁচিলে আটকে চার সদ্যোজাত সারমেয়। প্রথমে নিজেরাই উদ্ধারের চেষ্টা করেন। তবে ব্যর্থ হন। এরপর ছবি তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করতেই নজরে আসে পশুপ্রেমী সংস্থার। মূলত তাঁদের উদ্যোগে ও দমকলের সাহায্যে সদ্যজাত সারমেয় গুলিকে উদ্ধার করা হয়।
হাওড়ার ঘটনা। সেখানে বঙ্কিম সেতুর উপর দু’টি পাঁচিলের মাঝখানে আটকে থাকা চার সদ্যোজাতকে সারমেওকে উদ্ধার করলো দমকল। যাকে ঘিরে সোমবার দুপুরে হুলস্থূল পড়ে গেল হাওড়া স্টেশন থেকে বঙ্কিম সেতুতে ওঠার মুখে। চার সদ্যোজাতর আটকে থাকার বিষয়টি প্রথম নজরে আসে তিন পড়ুয়ার। সামনেই হাওড়া ময়দানে বিজয়কৃষ্ণ গালর্স কলেজের ওই তিন ছাত্রী সেতুর ফুটপাত দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে কলেজে যাওয়ার পথে সেতুর রেলিংয়ের পাঁচিলের গা থেকে কুকুর ছানার চিৎকারের আওয়াজ শুনতে পান।
প্রথমে তাঁরা ছানাগুলিকে উদ্ধারের চেষ্টা করেন তা করতে না পেরে অবশেষে মোবাইল ক্যামেরায় ছবি তুলে ফেসবুকে দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই নজরে আসে পশুপ্রেমী সংস্থার। মূলত তাঁদের উদ্যোগে ও দমকলের সাহায্যে সদ্যজাত সারমেয় গুলিকে উদ্ধার করা হয়।
এ দিন ফেসবুকে এই ঘটনা দেখেই পশুপ্রেমী সংস্থার সদস্যরা ঘটনাস্থলে ছুটে যান। খবর যায় দমকলে। ততক্ষণে স্থানীয় বাসিন্দারাও সেখানে এসে জড়ো হন। তাঁরাও কুকুর ছানাগুলিকে সেতুর উপর থেকে উদ্ধারের চেষ্টা শুরু করে দেন। প্রথম ওই পড়ুয়ারা দেখেন, বঙ্কিম সেতুর রেলিংয়ের দু’টি পাঁচিলের মাঝখানে কুকুর ছানাগুলি আটকে গিয়ে বেরোতে না পেরে চিল চিৎকার করছে। আর নিজের বাচ্চাদের পাঁচিলের থেকে বার করতে না পেরে চিৎকার করছে মা কুকুরটিও।
সেতুর রেলিংয়ে দু’টি পাঁচিল রয়েছে। একটি মোটা পাঁচিল। যেটি রেলের অপরটি সেতুর নিজস্ব পাঁচিল। কিছুটা ছাড় দিয়ে এই দু’টি পাঁচিল গায়ে গায়ে রয়েছে। ওই দু’টি পাঁচিলের মাঝখান দিয়ে একজন মানুষ গলার মতো জায়গা রয়েছে। কোনওভাবে মা কুকুরটি তার বাচ্চাদের গাড়িতে চাপা পড়ার হাত থেকে সুরক্ষিত রাখার জন্য ছানাগুলিকে ওই দু’টি পাঁচিলের ফাঁকে রেখে দেয়।
এদিন স্থানীয় বাসিন্দা ও দমকল কর্মীরা ওই ফাঁক দিয়ে গলেই সাবল দিয়ে পাঁচিলের গা কিছুটা ছেঁচে সেখান থেকেই অবশেষে সারমেওগুলিকে উদ্ধার করেন। এগুলিকে উদ্ধার করতে প্রায় ঘন্টা দুয়েক লেগে যায়। উদ্ধারের পর কুকুর ছানাগুলিকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে পশু চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। পথকুকুরদের নিয়ে কাজ করা হাওড়ার একটি সংস্থার সদস্য শৈলেশ উপাধ্যায় জানালেন, ‘‘আমরা খবর পেয়ে ঠিক সময় না এলে কুকুর ছানাগুলিকে বাঁচানো যেত না।’’