বাগদত্তা প্রেমিকার অভিযোগে শ্রীঘরে হাওড়ার হবু স্বামী

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সুনীলের দিদি গীতা হেলা দাবি করেন আশীর্বাদেরর পর থেকেই সনকেতিকা ও তার মা ব্ল্যাকমেল করছিলো তাদের পরিবারকে। মোটা টাকা না দিলে বিয়ে ভেস্তে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় ওই পরিবারের তরফে।

বাগদত্তা প্রেমিকার অভিযোগে শ্রীঘরে হাওড়ার হবু স্বামী
নিজস্ব চিত্র
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 23, 2022 | 8:46 PM

হাওড়া: কানপুরের বাসিন্দা এক যুবতীকে ফুসলিয়ে নিয়ে আসার অভিযোগে হাওড়ার এক যুবককে গ্রেফতার করলো পুলিশ। কানপুর থানার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে যায়। ওই যুবকের পরিবারের দাবী ছেলে ও মেয়ে দুজনের আশির্বাদ হয়ে গিয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁসানো হয়েছে ওই যুবককে।

বছর দুয়েক আগে কানপুরে এক আত্মীয়ের বিয়েতে গিয়ে হাওড়ার বেলিলিয়াস রোডের বাসিন্দা সুনীল চাণ্ডিলের সঙ্গে আলাপ হয় সনকেতিকা কুমারীর। ধীরে ধীরে পেশায় ব্যবসায়ী সুনীলের সঙ্গে ওই যুবতীর সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হয়। এরপরই গত বছর এপ্রিল মাস নাগাদ আংটি পরিয়ে আশীর্বাদও সারা হয়ে যায় দুজনের। এ বছরই বিয়ে হবার কথা দুজনের, কিন্তু তার আগেই ঘটে যায় অঘটন। বাগদত্তা স্ত্রীয়ের অভিযোগের ভিত্তিতেই কানপুর থানার পুলিশ গতরাতে এসে হাওড়ার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে সুনীলকে। আজ হাওড়া আদালতে পেশ করে চোদ্দ দিনের ট্রান্সজিট রিমান্ডে নিয়ে যায়।

এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে সুনীলের দিদি গীতা হেলা দাবি করেন আশীর্বাদেরর পর থেকেই সনকেতিকা ও তার মা ব্ল্যাকমেল করছিলো তাদের পরিবারকে। মোটা টাকা না দিলে বিয়ে ভেস্তে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয় ওই পরিবারের তরফে। এরপর বেশ কয়েক দফায় তাদের টাকা দেওয়া হলেও আরো টাকা দাবি করা হচ্ছিল বলে চাণ্ডিল পরিবারের অভিযোগ। স্বাভাবিক ভাবেই সুনীলের পরিবার বিয়েতে আর মত দেয়নি। সুনীলের আইনজীবী অনুপ খারওয়ার জানান, ব্ল্যাকমেল করার কারণে দূরত্ব বাড়তে থাকে সুনীল আর সনকেতিকার মধ্যে। আর সে কারণেইই ইচ্ছাকৃতভাবে ফাঁসানো হয়েছে সুনীলকে। তিনি আরও জানান, তাঁদের কাছে সব তথ্য প্রমাণ আছে। সেসব নিয়ে কানপুর আদালতে তারা সুনীলের জামিনের জন্য আবেদন জানাবেন।

অন্যদিকে সুনীলের দিদি গীতা হেলা বলেন, ‘আমার ভাই জোর করে মেয়েটিকে নিয়ে পালিয়ে আসেনি। এমনটা করলে ভাই আশীর্বাদ করত না, বিয়ের তারিখ ঠিক হত না। ওই মেয়েটি আমাদের বাড়িতে স্বইচ্ছায় এসেছিল আমরা ধুমধাম করে হীরের আংটি পড়িয়ে আশীর্বাদ করি। বিয়ের তারিখও ঠিক হয়েছিল। শেষ মুহূর্তে মেয়েটির মা বেঁকে বসে। বলে আমাদের বিয়ে দেওয়ার সাধ্য নেই, মেয়েকে বলেন পালিয়ে যা। মেয়েটি আমাদের বাড়িতে এসে বসে পড়ে, আমি আমি এখান থেকে কোথাও যাব না। আমরা বলি এখনও বিয়ে হয়নি, দু মাস পরে বিয়ে, এ অবস্থায় তুমি কী করে থাকবে আমাদের বাড়িতে। আমরা এমনভাবে রাখতে পারব না। আমরা মেয়েটিকে কানপুরে নিয়ে যাই। এরপরই মেয়েটির মা থানাপুলিশ করে। আমার বাবা মারা গিয়েছেন। এই মেয়েটির কারণেই আবার বাবার স্ট্রোক হয়েছিল। আমার বাবার মৃত্যুর জন্য এই মেয়েটাই দায়ী। আমার একটি মাত্র ভাই। আমাদের তেমন পরিবার নয়, এই মেয়েটি আমাদের মানসিক অত্যাচার করছে ব্ল্যাকমেল করে। আমরা জানতে পেরেছি মেয়েটি ভাল নয়। বহু ছেলের সঙ্গেই সম্পর্ক রয়েছে। অর্থবান ছেলেদের সঙ্গে বেছে বেছে মেয়েটি সম্পর্ক করে তাঁদের থেকে পয়সা উসুল করে।’

আরও পড়ুন: Car Accident : সল্টলেকের রাস্তায় বেপরোয়া গতি, ঘাতক গাড়ি কাড়ল বৃদ্ধার প্রাণ