Jalpaiguri: সান্তা সেজে নেচে গেয়ে জেলবন্দিদের উপহার বিলি পুলিশের!
Jalpaiguri Jail: বন্দিজীবনে ক্ষণিক আনন্দ দিতে অভিনব উদ্যোগ এক জেলকর্মীর। বন্দিদের জন্য সাজলেন সান্তা। তার পর নেচে-গেয়ে তাঁদের উপহারও দিলেন তিনি।
জলপাইগুড়ি: জেলের আঁধারে সান্তা আসবে কি? বড়দিনে তাঁরাও কি উপহার আশা করেন সান্তার কাছে? সবাই মেতে বড়দিনের উৎসবে। তাঁরাই বা কেন ব্রাত্য থাকবেন! বন্দিজীবনে ক্ষণিক আনন্দ দিতে অভিনব উদ্যোগ এক জেলকর্মীর। বন্দিদের জন্য সাজলেন সান্তা। তার পর নেচে-গেয়ে তাঁদের উপহারও দিলেন তিনি। শনিবার বড়দিনে এমনই চবি দেখা গেল জলপাইগুড়ির কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে। একটু অন্যরকম দিন কাটাতে পেরে খুশি বন্দিরাও।
বড়দিন উপলক্ষে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রীয় সংশোধনাগারে বন্দিদের সঙ্গে দেখা করতে এসেছেন তাঁদের ছেলে মেয়েরা। একটা দিন একটু আনন্দের নাহলে সবারই কাটল। তাই তাদের সঙ্গে নাচ-গান করে উপহার বিলি করলেন জেল কর্মী তপন রায়।
শুধু জেলখানাতেই নয়। জেলের বাইরে থাকা বন্দির আত্মীয় পরিজনদের সঙ্গে আনন্দ ভাগ করে নিলেন কারা কর্মী। তপন বাবু গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েছিলেন জলপাইগুড়ি শহরে। জলপাইগুড়ি শহর হয়ে শিলিগুড়ি, সেখান থেকে সোজা ইসলামপুরে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
কেন এমন কাজ? তপন বাবু জানান বেশ কয়েক বছর ধরে তিনি এই কাজ করে আসছেন। প্রতিবছর বড়দিনে তিনি বন্দিদের আনন্দ দিতে সান্তা সজেন। তবে গত বছর অবশ্য বন্ধ ছিল। একে তো করোনা সংক্রমণের কারণে বহু বন্দিকে ছাড়া হয়েছিল প্যারলে। তার পর সংক্রমণের ভয়ে কোনও রকম অনুষ্ঠানও করা হয়নি। দুয়ারে ওমিক্রন ভয় শুরু হয়েছে বটে। তবু বাইরে যখন সবাই আনন্দে মেতেছে, তাহলে কারাবন্দিরা কেন এবার বঞ্চিত থাকবেন। এবার তাই আবার সান্তা সেজে বন্দিদের উপহার দিলেন এই জেল কর্মী। তিনি জানান, এই কাজ করে তিনি অদ্ভুত প্রশান্তি ও আনন্দ পান। তাই প্রতিবছরই বড়দিনে তিনি সান্তার ছদ্মবেশে ধরা দেন বন্দিদের কাছে। ভাগ করে নেন ক্ষণিকের আনন্দ।
তপনবাবুর কথায়, “আমি জেলেরই এক জন কর্মী। প্যান্ডেমিক সিচুয়েশনের আগে এসব করতাম। তবে অতিমারির পর বাচ্চারা হাসতে- খেলতে প্রায় ভুলেই গিয়েছে। আজকের দিনে ছোটদের একটু আনন্দ দিলাম। মন থেকে বলছি, আমি খুব খুশি। জেলকর্মী, তাদের বাচ্চা সবাইকে আমার তরফে একটা গিফট দিলাম।”
তাঁর এক সহকর্মী দেবজিৎ সেনের কথায়, “ও চায় সমাজের মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে পড়ুক। করোনা অতিমারির মধ্যে যেন সবার মনে আনন্দ আসে, সবাই খুশিতে থাকে, ও চাইছে সবার মুখে হাসি ফোটাতে। সংশোধনাগারে সবার মধ্যে উপহার দিল। ওর তরফে চেষ্টার কোনও ত্রুটি নেই।” তাঁদের সান্তা-জেলকর্মীর কাজে ভীষণ খুশি জেল কর্তৃপক্ষও।
আরও পড়ুন: Jalpaiguri Marriage: বিয়ের দাবিতে ছেলের বাড়িতে ধর্না, কীটনাশক খেয়ে আত্মঘাতীর চেষ্টা কিশোরীর