AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Petrol Diesel Price Hike: পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি, এবার কেরোসিনে বাস চালাচ্ছেন মালিকরা!

petrol diesel price hike: বেশ কিছুদিন ধরেই পরিবহন কর্মীদের মধ্যে একটা গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। কথাটা কানে যায় নিত্যযাত্রী- স্থানীয়দেরও।

Petrol Diesel Price Hike: পেট্রোলের মূল্যবৃদ্ধি, এবার কেরোসিনে বাস চালাচ্ছেন মালিকরা!
মালদায় কেরোসিনে চলছে বাস!
| Edited By: | Updated on: Oct 29, 2021 | 1:58 PM
Share

মালদা: পেট্রোল-ডিজেলের (Petrol Diesel Price Hike) আকাশ ছোঁয়া দাম। রেহাই পেতে কেরোসিনে চলছে বাস! বেআইনি ভাবে কেরোসিন তেলে বাস চালানোর অভিযোগ। উত্তেজনা মালদার রতুয়ায়। বন্ধ উত্তর মালদার বেসরকারি বাস চলাচল।

বেশ কিছুদিন ধরেই পরিবহন কর্মীদের মধ্যে একটা গুঞ্জন তৈরি হয়েছিল। কথাটা কানে যায় নিত্যযাত্রী- স্থানীয়দেরও। পয়সা বাঁচাতে কেরোসিন তেলে বাস চালাচ্ছে মালিকরা। অথচ ভাড়া নেওয়া হচ্ছে বেশি। এই নিয়ে যাত্রীদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ তৈরি হয়।

শুক্রবার একটি বাসকে এইরকমভাবে হাতেনাতে ধরে ফেলেন যাত্রীরা। বাস আটকে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তাঁরা। পরে সমস্ত বেসরকারি বাস চলাচল তাঁরা এলাকায় বন্ধ করে দেন। মূলত উত্তর মালদায় বেসরকারি বাস চলাচল বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সমস্যায় পড়েছেন নিত্য যাত্রীরা। কেরোসিন তেলে বাস চালানোর জন্যে ক্ষুব্ধ বাস পরিবহনের সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ীরাও।

এক পরিবহন কর্মী বলেন, “গাড়ি চালানো বন্ধ রেখেছেন মালিকরা। ১৫-২০টা বাস বিনা টাইমে চলছে। এদিকে কিছু বাস কেরোসিন তেলে চালানোরও অভিযোগ রয়েছে। সব মিলিয়ে সমস্যা। মালদা-রতুয়া বাস চলাচল বন্ধ রয়েছে। ”

এদিকে, উল্টো চিত্র দেখা যায় রায়গঞ্জে। বাড়েনি ভাড়া, অথচ বেড়ে চলেছে জ্বালানির দাম । এই দ্বিমুখী চাপে সমস্যায় মtলত পরিবহন কর্মীরা। বুধবারই রায়গঞ্জে একশোর গণ্ডি ছাড়িয়েছে ডিজেল। এই অবস্থায় বাস চালানোর ক্ষেত্রে আর্থিক ক্ষতি হচ্ছে বলে বাস মালিকদের দাবি। পাশাপাশি যাত্রীদের সঙ্গে বচসাও হচ্ছে তাঁদের। আবার সরকারি বাসের ভাড়া না বাড়ায় সেদিকেই ঝুঁকছেন যাত্রীরা। এর ফলে বেসরকারি বাস প্রায় যাত্রীশূন্য ভাবেই চলছে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে আর পরিবহন কর্মীদের দুরবস্থা প্রকট করে তুলতে তাঁদেরই মিষ্টি খাইয়ে অভিনব প্রতিবাদ করেন রায়গঞ্জের তৃণমূল কর্মীরা।

এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনীতিও। তৃণমূলের বক্তব্য, “সাধারণ মানুষ কীভাবে চলবে, তাতে কেন্দ্রের কোনও মাথা ব্যথা নেই। দিনের পর দিন যেভাবে পেট্রোল ডিজেলের দাম বাড়ছে, তাতে মানুষ না খেতে পেয়ে মরবে। আগামী ২০২৪ এর নির্বাচনেই এর প্রতিফলন দেখতে পাবে ওরা।”

বিজেপির বক্তব্য, “পেট্রোল, ডিজেলের দাম বেড়েছে, এটা চিন্তার বিষয়। তবে কেন্দ্র এটাকে জিএসটির আওতায় আনতে চাইছে। তাহলে পেট্রোল ডিজেলের দাম অনেকাংশে কমে যাবে। তবে বাংলার সরকার জিএসটি কাউন্সিলে দাবি করুক, পেট্রোল ডিজেলকে জিএসটির আওতায় আনা হোক।”

এই অতিমারি পরিস্থিতিতে, একাধিক পরিবহন কর্মী আত্মহত্যার খবরও প্রকাশ্যে এসেছে। জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃনমুল কংগ্রেস। তাদের দাবি, পেট্রোল-ডিজেলে কেন্দ্রের নিয়ন্ত্রণে নেই, ফলে আম আদমিকে ভুগতে হচ্ছে। আবার তৃণমূলের মন্তব্যের পালটা বিজেপির বক্তব্য, শীঘ্রই জিএসটির আওতায় এলেই এই জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা মিটে যাবে।

আরও পড়ুন: গোয়াতেও শুরু হল ‘খেলা’, তৃণমূলে যোগ দিলেন লিয়েন্ডার পেজ

আরও পড়ুন: হাইকোর্টে স্বস্তি আলাপনের, CAT-র মামলা সরানোর আর্জি খারিজ