Malda Chaos: নিম্নমানের খাবার দেওয়ার প্রতিবাদ, স্কুল পড়ুয়াকে মেরে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে

Malda: মালদার বৈষ্ণবনগরের ঘটনা। অভিযোগ, সেখানের বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল।

Malda Chaos: নিম্নমানের খাবার দেওয়ার প্রতিবাদ, স্কুল পড়ুয়াকে মেরে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে
মালদায় উত্তেজনা (নিজস্ব ছবি)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jul 30, 2022 | 7:18 PM

মালদা: হোস্টেলে নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ। প্রতিবাদ করতেই দুই আবাসিককে বাঁশ, লাঠি দিয়ে মেরে হাত-পা ভেঙে দেওয়ার অভিযোগ উঠল একটি বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে। বর্তমানে সঙ্কটজনক অবস্থায় রয়েছেন ওই দুই পড়ুয়া। তাঁদের ভর্তি করা হয়েছে এলাকার একটি নার্সিংহোমে।

মালদার বৈষ্ণবনগরের ঘটনা। অভিযোগ, সেখানের বেসরকারি একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দীর্ঘদিন ধরে নিম্নমানের খাবার দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। তারই প্রতিবাদ করেন ওই দু’জন পড়ুয়া। অভিযোগ, সেই প্রতিবাদের জন্য তাঁদের মারধর করা হয় বলে খবর। এতটাই মারধর করা হয় যে তাঁদের আইসিইউ-তে ভর্তি করতে হয়েছে। এই ঘটনায় ওই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক, হোস্টেল সুপার সহ দশ জনের বিরুদ্ধে বৈষ্ণবনগর থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন অসুস্থ দুই পড়ুয়ার পরিবার।

তাঁদের সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ হোস্টেল সুপার শামসুজ্জোহাকে আটক করেছে। এ দিকে, ওই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে দুই ছাত্রের ওপর নির্যাতনের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে স্থানীয় বাসিন্দারা তুমুল বিক্ষোভ দেখান। এমনকী ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সামনে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখান আক্রান্ত পড়ুয়ার পরিবার থেকে স্থানীয় বাসিন্দারা। অবিলম্বে ওই বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধের দাবি তোলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পরে বৈষ্ণবনগর থানার পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত দুই পড়ুয়ার নাম নাসিব রাইহান (১৬) এবং নাসিম আখতার (১৬)। এরা দুজনেই দশম শ্রেণির ছাত্র। নাসিবের বাড়ি গাজোল থানার রামনগর এলাকায়।এবং নাসিমের বাড়ি মানিকচক থানার সাহাবাতটোলা এলাকায়। অভিযোগকারী পড়ুয়ার বাবা বলেন, ‘গত কয়েকদিন আগে হোস্টেলে এসেছিল। এরপর খাবার নিয়ে কিছু একটা সমস্যা দেখা দেয়। এরপর রাত্রি প্রায় আটটা-সাড়ে আটটা নাগাদ ওকে বেধড়ক মারধর করা হয়। শুনেছি হোস্টেল সুপার মেরেছে। ছেলের নাক, মুখ দিয়ে রক্ত বেরিয়েছে। ওর হাত ভেঙে গেছে।’ যদিও, বিষয়টি নিয়ে হোস্টেল কর্তৃপক্ষের কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।