Barasat: চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে বিদ্যুতের তার! আতঙ্কিত এলাকাবাসী

Barasat News: বারাসতের একাধিক এলাকায় এখনও অসতর্কভাবে খোলা রয়েছে ট্রান্সফর্মারের কেবিন।

Barasat: চারিদিকে ছড়িয়ে রয়েছে বিদ্যুতের তার! আতঙ্কিত এলাকাবাসী
যেখানে-সেখানে ছড়িয়ে রয়েছে বিদ্যুতের তার
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 25, 2021 | 4:23 PM

বারাসত: গত সপ্তাহের দু’দিনের বৃষ্টিতে জল জমেছিল একাধিক জায়গায়। যার জেরে নাজেহাল ছিল শহরবাসী। কোথাও কোথাও জল নামতে দেরীও হয়। এদিকে, জমে থাকা জল থেকে একের পর এক বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যুর ঘটনা সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে। যার জেরে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। এরপরও কি টনক নড়েছে প্রশাসনের?

বারাসতের একাধিক এলাকায় এখনও অসতর্কভাবে খোলা রয়েছে ট্রান্সফর্মারের কেবিন। একদম মাটি লাগোয়া জায়গায় যেভাবে ট্রান্সফর্মারের কেবিন রাখা রয়েছে তাতে যেকোনও সময় বড়োসড়ো বিপদ ঘটতে পারে ।

এক এলাকাবাসী জানান, “এক বিপদজ্জনক পরিস্থিতির মধ্যে আমরা রয়েছি। সরকারি তরফে কেন এখনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না বলতে পারব না। কয়েকদিন আগেই টিটাগড়ের পরিস্থিতি সামনে এসেছে। আরও একাধিক ঘটনা ঘটেছে। এরপরও কোনও ভ্রুক্ষেপ নেই। আমরা ভয়েই জীবন নিয়ে চলছি।”

একটানা বৃষ্টির জল জমে বারাসাতের বেশিরভাগ অংশ এখনো জলের তলায় । সেই সব জায়গায় খোলা অবস্থায় বিদ্যুতের তার ছড়িয়ে থাকায় স্বাভাবিকভাবে ছড়িয়েছে আতঙ্ক।

আরও এক এলাকাবাসী জানিয়েছেন, ভোট আসার আগে নেতারা বাড়ি-বাড়ি গিয়ে ভোট ভিক্ষা করেন। অথচ ভোটের পর প্রতিশ্রুতি রাখতে ভুলে যান। রাস্তায় যেখানে-সেখানে খোলা তার ছড়িয় পড়ে রয়েছে। প্রশাসনের উচিৎ নজর দেওয়া। কারণ একটা মানুষের প্রাণ চলে যাওয়ার থেকে বড় কিছু হতে পারে না।

বিষয়টি নিয়ে ইতিমধ্যে বারাসাত পৌরসভা বিদ্যুৎ দপ্তর এর সঙ্গে বৈঠক করেছে । যে সমস্ত ট্রান্সফর্মার বিপদজনক অবস্থায় রয়েছে এবং যেখানে বেশিরভাগ জায়গায় বিদ্যুতের তার ছড়িয়ে রয়েছে সেই সমস্ত জায়গাগুলোকে চিহ্নিতকরণের কাজ শুরু করেছে পুরসভা । বারাসাত পৌরসভার মুখ্য পৌর প্রশাসক সুনীল মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, এলাকায় যাতে বিপদ না ঘটে সেই জন্য আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই সমস্ত ট্রান্সফর্মারের পরীক্ষা করে বিপদমুক্ত করা হবে। একই সঙ্গে যেসব জায়গাতে জল জমে যাচ্ছে সেই সব জায়গাতেই বৃষ্টি হলে রাস্তার আলো বন্ধ করে দেওয়া হবে । পাশাপাশি বিদ্যুতের তারের সঙ্গে আটকে থাকা গাছের ডাল কাটার কাজও শুরু হয়ে গিয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে উত্তর ২৪ পরগণার একাধিক জায়গায় জমা জলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে প্রাণ গিয়েছে অনেকের। ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃ্ত্যু হয়েছিল আট জনের। পাশাপাশি দমদম, খড়দহর ছবিটাও এক। দমদমে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে প্রাণ চলে যায় দুই কিশোরীর। অন্যদিকে, বাড়ির সামনেই বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হয় এক পৌঢ়ের। এরপরও টনক  নড়েছে প্রশাসনের?

ইতিমধ্যে আবহাওয়া দফতর সূত্রে আরও একটি নিম্নচাপের খবর সামনে এসেছে। জানা গিয়েছে আগামীকাল থেকে শুরু হবে টানা বৃ্ষ্টি। চলবে বুধবার পর্যন্ত। নিম্নচাপ ও ঘূর্ণাবর্তের জোড়া ফলায় আবারও দুর্যোগের মুখে পড়তে চলেছে দক্ষিণবঙ্গ। কলকাতা সহ আশেপাশের জেলাগুলিতে হতে পারে ভারী বৃষ্টি এমনটাই খবর। এর মধ্যে এখনও যদি এই সব এলকায় আগাম ব্যবস্থা না নেওয়া যায় তাহলে বড়সড় বিপদ যে ঘটতে পারে সেই কথা বলাবাহুল্য।

আরও পড়ুন: Adhir Chowdhury: মোদীর কাছে সুপারি নিয়ে কংগ্রেসকে আক্রমণে নেমেছেন মমতা