Corruption in 100 Days Work: মৃত, জেলবন্দিদের নামে ১০০ দিনের কাজে লাখ লাখ টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ, ৩ মাসের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ হাই কোর্টের

Calcutta High Court: ১০০ দিনের কাজে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বেঁধে দেওয়া হল তদন্তের সময়সীমাও।

Corruption in 100 Days Work: মৃত, জেলবন্দিদের নামে ১০০ দিনের কাজে লাখ লাখ টাকা নয়ছয়ের অভিযোগ, ৩ মাসের মধ্যে তদন্তের নির্দেশ হাই কোর্টের
গ্রাম পঞ্চায়েতে ১০০ দিনের কাজে দুর্নীতির অভিযোগ। নিজস্ব চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Jan 18, 2022 | 8:23 PM

পূর্ব মেদিনীপুর: এবার কেন্দ্রীয় সরকারের মহাত্মা গান্ধী জাতীয় গ্রামীণ কর্মসংস্থান নিশ্চয়তা (এনআরইজিএস) প্রকল্প অর্থাৎ, ১০০ দিনের কাজে আর্থিক দুর্নীতি মামলায় তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)। বেঁধে দেওয়া হল তদন্তের সময়সীমাও।

কয়েকদিন আগেই পূর্ব মেদিনীপুরের নন্দকুমার ব্লকের কুমরচক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১০০ দিনের কাজ ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগে হাই কোর্টে একটি মামলা হয়। সোমবার সেই মামলার প্রেক্ষিতে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বেঁধে দেওয়া হল তদন্তের সময়সীমাও। আগামী তিন মাসের মধ্যে দুর্নীতি মামলার তদন্ত শেষ করে পদক্ষেপের নির্দেশ দেওয়া হল পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা শাসককে।

কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চে সংশ্লিষ্ট মামলা করেছিলেন আইনজীবী আত্তরূপ বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মামলাতেই সোমবার এই নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাই কোর্ট। সংশ্লিষ্ট মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, সংশ্লিষ্ট গ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১০০ দিনের কাজে মৃত ব্যক্তি ও জেলে থাকা অভিযুক্তদের নামে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলে নেওয়া হচ্ছে। একাধিকবার এই নিয়ে অভিযোগ উঠলেও কোনও তদন্ত হয়নি বলে অভিযোগ মামলাকারীর।

উল্লেখ্য, নন্দকুমার বিধানসভার কুমরচক গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় ১০০ দিনের কাজ ও প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগে মামলার প্রেক্ষিতে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় এলাকায়। গ্রাম পঞ্চায়েতের সাধারণ সভায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য গোপাল বেরার উপর লোহার রড, বাটাম দিয়ে মারধরের পাশাপাশি তাঁর পকেট থেকে নগদ পনেরো হাজার টাকা ছিনিয়ে নেয় বলে অভিযোগ ওঠে। এই ঘটনার খবর পেয়ে আক্রান্ত বিজেপি সদস্য বাসুদেব বাবুর রাজারামপুরের বাসভবনে উপস্থিত হয়ে আহত গোপাল বেরার শারীরিক পরিস্থিতির খোঁজ নেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী।

যদিও এই ঘটনার কথা সম্পূর্ণ ভাবে অস্বীকার করেছেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। মারধরের ঘটনায় তৃণমূলের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান সুধাংশু শেখর সামন্ত, ব্লক তৃণমূল সহ সভাপতি প্রদীপ দে সহ মোট পাঁচজনের বিরুদ্ধে নন্দকুমার থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয়। এই প্রেক্ষিতে হাই কোর্টের নির্দেশে খুশি মামলাকারী থেকে আক্রান্তরা।

আরও পড়ুন: Kalyan Banerjee: স্বজনপোষণ ও সিন্ডিকেট কাঁটায় বিদ্ধ কল্যাণ, ক্ষোভের আঁচ পৌঁছল হাই কোর্টেও!

আরও পড়ুন: Anubrata Mondal Wins Jackpot: ‘পেলে আমি পাব, জেনে কী লাভ?’ কোটি টাকার লটারি নিয়ে সাবধানী অনুব্রত

আরও পড়ুন: Purba Medinipur: ১৫ হাজারি মাদুলিতে বাই-বাই করোনা! পুলিশের তাড়া খেয়ে ভ্যানিশ মাদুলিবাবা