Burdwan University: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার ‘তছরুপ’, রাঘব বোয়ালের সন্ধানে নেমে বড় মাছ বড়শিতে গাঁথল পুলিশ

Burdwan University: তদন্তে নেমে এবার সুব্রত দাস নামে এক ব্যক্তিকে ধরল বর্ধমান থানার পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। বুধবার তাঁকে বর্ধমান আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। উল্লেখ্য, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আর্থিক জালিয়াতির মামলায় আগেই এনামুল হক নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ।

Burdwan University: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রায় ২ কোটি টাকার 'তছরুপ', রাঘব বোয়ালের সন্ধানে নেমে বড় মাছ বড়শিতে গাঁথল পুলিশ
বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়Image Credit source: Facebook
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 13, 2024 | 11:49 PM

বর্ধমান: বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক তছরুপের তদন্তে নেমে এবার আরও একজনকে গ্রেফতার করল পুলিশ। সম্প্রতি বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ে ১ কোটি ৯৪ লাখ টাকার আর্থিক তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। সেই ঘটনার তদন্তে নেমে এবার সুব্রত দাস নামে এক ব্যক্তিকে ধরল বর্ধমান থানার পুলিশ। উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থানা এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই ব্যক্তিকে। বুধবার তাঁকে বর্ধমান আদালতে পেশ করে নিজেদের হেফাজতে নেয় পুলিশ। উল্লেখ্য, বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের এই আর্থিক জালিয়াতির মামলায় আগেই এনামুল হক নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। ওই ব্যক্তিকে জেরা করেই ইতিমধ্য়ে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতে আসে পুলিশের তদন্তকারী দলের।

বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্থিক তছরুপের তদন্তে এই নিয়ে দ্বিতীয় গ্রেফতারি পুলিশের। পুলিশ সূত্রে খবর, বিশ্ববিদ্য়ালেয়র ফিক্সড ডিপোজিটের যে টাকা ঘিরে এত বিতর্ক সেই টাকা মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই ভাঙিয়ে এই সুব্ত দাসের অ্যাকাউন্টে জমা হয়েছিল। ধৃত সুব্রতর বাড়ি নদিয়ার কল্যাণীতে। যদিও সে থাকত কলকাতায়। যাদবপুর থানা এলাকার চিত্তরঞ্জন কলোনিতে। গতকালই গোপন সূত্র মারফত পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সুব্রত ধরতে পুলিশ এক অভিযান চালায় উত্তর ২৪ পরগনার স্বরূপনগর থানা এলাকায়। সেই অভিযানেই চাতরা মাঠ হস্টেলপাড়া থেকে পাকড়াও করা হয় সুব্রত দাসকে।

উল্লেখ্য, বর্ধমানের বিসি রোড এলাকায় এক রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের শাখায় খাতা রয়েছে বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের। সেখানে একটি ফিক্সড ডিপোজিট রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়ের। অভিযোগ, সেই ফিক্সড ডিপোজিটের মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগেই তা ভাঙিয়ে টাকা তুলে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের থেকে ফিক্সড ডিপোজিট ভাঙানোর বিষয়ে এমন কোনও নির্দেশ দেওয়া হয়নি বলেই দাবি। এরপরই বিষয়টি নিয়ে থানায় অভিযোগ জানানো হয় এবং সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।