১০ থেকে ২০০০, ভাগ্যের শিকে ছিঁড়লে প্রতীক্ষালয়ে দাঁড়ালেই মিলছে টাকা!
Kalna: ঠিক কী ঘটছে ওই প্রতীক্ষালয়ে? স্থানীয়দের একাংশ ও প্রতীক্ষালয়ে অপেক্ষারত যাত্রীরা জানিয়েছেন, ওখানে এসে দাঁড়ালেই টাকা পাওয়া যাচ্ছে। কখনও দশ, কখনও বিশ।
পূর্ব বর্ধমান: কখনও ১০, তো কখনও বা সংখ্য়াটা একলাফে ২০০০। প্রতীক্ষালয়ে, দাঁড়ালেই মিলছে টাকা (money)! মন্তেশ্বরের বনপুর গ্রামের বাস টার্মিনাসে দাঁড়ালে এমনই ছবি ধরা পড়ছে। এমন ‘ভৌতিক’ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়।
ঠিক কী ঘটছে ওই প্রতীক্ষালয়ে? স্থানীয়দের একাংশ ও প্রতীক্ষালয়ে অপেক্ষারত যাত্রীরা জানিয়েছেন, ওখানে এসে দাঁড়ালেই টাকা পাওয়া যাচ্ছে। কখনও দশ, কখনও বিশ। কারো ভাগ্যে শিকে ছিঁড়লে সংখ্য়াটা দাঁড়াচ্ছে ২০০০। কেউ পাচ্ছেন ৫০০, তো কেউ ১০০। কে বা কারা এই টাকা ফেলে যাচ্ছেন তা যদিও স্পষ্ট নয়। এই পরিস্থিতিতে, খানিক আতান্তরে পড়লেও কিছুটা খুশিও গ্রামবাসীরা।
স্থানীয় এক গ্রামবাসীর কথায়, “আমরা এখান থেকেই বাস ধরে কাজে যাই। মাঝেমাঝেই দেখি টাকা পড়ে রয়েছে। কে ফেলে গিয়েছে জানি না। কখনও একশো, কখনও পাঁচশো, কখনও বা দশ-পনেরো। টাকা (money) মিলবেই। অথচ, পকেটমারি যে হচ্ছে এমনটাও নয়। কারণ, এই বাসস্ট্যান্ড প্রায় ফাঁকাই থাকে। আমি নিজে সিটের এককোণ থেকে ২০০০ টাকা কুড়িয়ে পেয়েছি। সে কী আর সহজে বেরতে চায়! বাইরে থেকে দেখলে বোঝাও যাবে না যে ওটা ২০০০ টাকার নোট। এক কোণায় দলা পাকিয়ে পড়ে রয়েছে। পড়ে হাতে তুলে নিয়ে দেখি টাকা।”
একই অভিজ্ঞতার সম্মুখীন রফিকুল নামের এক যুবক। ওইভাবেই তিনি পাঁচশো টাকা পেয়েছেন। প্রতীক্ষালয়ের এক কোণে পড়েছিল টাকা। সঙ্গে কিছু খুচরোও। রীতিমতো অবাক হয়েছিলেন রফিকুল। কুড়িয়ে নিয়েছিলেন সেই টাকা। এদিকে, প্রতীক্ষালয়ে এভাবে টাকা পাওয়ার খবর পেয়ে রীতিমতো ভিড় জমাতে শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা। মাঝেমাঝেই, গ্রামের ছোট থেকে বড় সকলে গিয়ে একবার করে ঢুঁ মেরে আসছেন ওই প্রতীক্ষালয়ে। যদি কিছু পাওয়া যায় এই আশায়।
ঘটনাটিকে যদিও অস্বাভাবিক বলতে নারাজ গ্রামের পঞ্চায়েত প্রধান সইফুদ্দিন শেখ। হাসতে হাসতে তিনি বলেন, “আমি নিজেও একদিন ১৫ টাকা কুড়িয়ে পেয়েছি। কে বা কারা টাকা ফেলে যাচ্ছে জানি না। কারোর টাকা ফেলে যাওয়ার কথাও নয়। যদিও বা কেউ ফেলে গিয়ে থাকেন তবে দুই-আড়াই হাজার টাকা ফেলে দেওয়াটা কার্যত একটু অস্বাভাবিক ঠেকে। আমরা চেষ্টা করছি, সত্যিটা অনুধাবন করার। তবে এই ঘটনায় ভয়ের কোনও কারণ দেখি না।”
আরও পড়ুন: Photo Gallery: মাথায় মুকুট, গায়ে লাল চেলি, লক্ষ্মীর হাতেই জমা লক্ষ্মী ভাণ্ডারের ফর্ম!