Raiganj: খেলার মাঝেই আচমকা বন্ধুর পেটে অস্ত্র ঢুকিয়ে দিল কিশোর! কারণ জেনে স্তম্ভিত সঙ্গীরা
Raiganj: "আমরা খেলছিলামও। আচমকাই দেখি মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বিজয় আর সন্দীপ পালিয়ে যাচ্ছে।"
উত্তর দিনাজপুর: মাঠে ফুটবল খেলতে গিয়ে দুই বন্ধুর মধ্যে বচসা। রাগের মাথায় বন্ধুর পেটে ধারাল অস্ত্রের কোপ অন্য বন্ধুর। উত্তর দিনাজপুর জেলার চোপড়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বুধবার বিকালে চোপড়ার সোনাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গুঞ্জরিয়াগজ জুনিয়ার বালিকা বিদ্যালয়ের মাঠের পাশে ফুটবল খেলা চলছিল। কোনও টুর্নামেন্ট নয়, স্থানীয় ছেলেরাই ফুটবল খেলছিল।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, খেলার মাঝেই হঠাত্ কোনও কারণে বিজয় ওঁরাও এবং সন্দীপ সিংহের মধ্যে বচসা শুরু হয়। বচসা চলাকালীন হঠাৎই সন্দীপ সিংহ বাড়ি চলে যান। সঙ্গীরা ভেবেছিলেন, হয়তো রাগ করেই খেলা ছেড়ে বাড়ি চলে গিয়েছে সন্দীপ। কিন্তু আচমকাই ফের মাঠে ফিরে আসেন তিনি।
খেলার মাঝেই ছুরি নিয়ে তাঁর বন্ধুর পেটে সন্দীপ ঢুকিয়ে দেন বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় মাঠে পড়ে যান বিজয়। হঠাৎ এমন ঘটনায় হতভম্ব হয়ে পড়েন অন্যান্য সঙ্গীরা। এরপর স্থানীয়দের সহযোগিতায় ওই কিশোরকে চোপড়া দোলুয়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা হয়। কিন্তু তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। রাতে তাঁকে ইসলামপুর মহকুমা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
সেখানেও তাঁর অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল স্থানান্তরিত করা হয়। বিজয়ের বাবা বাবলু ওঁরাও বলেন, “আমি কাজে গিয়েছিলাম। হঠাৎ করে আমার কাছে খবর আসে আমার ছেলের পেটে কে ছুরি ঢুকিয়ে দিয়েছে। আমি খবর পাওয়া মাত্রই চোপড়া হাসপাতাল পৌঁছই। সেখান থেকে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ইসলামপুর মহাকুমা হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখানেও তার অবস্থা খারাপ হওয়ায় তাকে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন চিকিত্সকরা। ঘটনার বিষয় সম্পর্কে অবগত নই। সম্পূর্ণ বিষয় জেনে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চোপড়া থানায় অভিযোগ জানাব।”
এক প্রত্যক্ষদর্শীর কথায়, “খেলার মাঝে অনেক সময়ই ঝামেলা হয়। সেরকম হয়েছিল। আমরা ওতটা গুরুত্ব দিইনি। যখন ওদের ঝামেলা চলছিল, আমরা গিয়ে মিটিয়ে দিই। সন্দীপ রেগে বাড়ি চলে যায়। আমরা ভেবেছিলাম ঝামেলা মিটে গেছে। রাগ কমে গেলেই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে যাবে। আবার দেখি কিছুক্ষণ পর সন্দীপ মাঠে ফিরে আসে। তখনও ওত আমরা ভাবিনি। সব ঠিক হয়ে গেছে, রাগ কমে গিয়েছে, আবার খেলবে বলেই এসেছে-এসবই ভেবেছিলাম। আমরা খেলছিলামও। আচমকাই দেখি মাটিতে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে বিজয় আর সন্দীপ পালিয়ে যাচ্ছে।”
এদিকে এই খবর চাউর হতেই প্রত্যন্ত ওই এলাকাজুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত পলাতক। ছেলেকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর, তাকে কিছুটা সুস্থ করে থানায় অভিযোগ দায়ের করবেন বলে জানিয়েছেন আহতর বাবা।