Hollywood Strike: আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স কাড়ছে কাজ! ৬৩ বছর পর ফের ধর্মঘট হলিউডে, পাশে দাঁড়ালেন প্রিয়াঙ্কাও
Artificial Intelligence: টেকনিশিয়ান থেকে অভিনেতা, সকলের মনেই ক্ষোভের আগুন ধিকিধিকি করে জ্বলছিল। কলাকুশলীদের এই ক্ষোভের আগুনে এবার ঘি ঢালল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
ক্যালিফোর্নিয়া: মিলছে না যথাযথ বেতন। কেড়ে নেওয়া হচ্ছে কাজ। এই নিয়েই হরতাল শুরু হল হলিউডে। প্রায় ছয় দশক পর আবারও ধর্মঘটের মুখে পড়ল হলিউড। মূলত নতুন সিনেমা, সিরিজগুলিতে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার নিয়ে উঠেছে প্রতিবাদের ঝড়। তাদের দাবি, এআই এসে হলিউডে কর্মরত মানুষদের কাজ কেড়ে নিচ্ছে। এদিকে, আন্দোলনের জেরে বেশ কয়েকটি বড় ব্যানারের ছবি মুক্তি নিয়ে তৈরি হয়েছে জট।
নায্য বেতন, যথাযথ কাজের পরিবেশের দাবিতে বিগত দু’মাস ধরেই উত্তপ্ত হচ্ছিল হলিউড। টেকনিশিয়ান থেকে অভিনেতা, সকলের মনেই ক্ষোভের আগুন ধিকিধিকি করে জ্বলছিল। কলাকুশলীদের এই ক্ষোভের আগুনে এবার ঘি ঢালল আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স।
Hollywood on strike… A good thing! pic.twitter.com/2JCKoXhz6o
— Suburban Black Man ?? (@niceblackdude) July 14, 2023
সিনেমা- ওয়েব সিরিজের চিত্রনাট্যে ‘এআই’ বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের বিরুদ্ধে ধর্মঘট শুরু হয়েছে হলিউডে। সিনেমা, সিরিজ় সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে শিল্পীদের বিকল্প হিসাবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলেছেন চিত্র নাট্যকার, অভিনেতারা। বিভিন্ন নামী স্টুডিয়োর বাইরে ধর্নায় বসেছিলেন কলাকুশলীরা। ধর্না ওঠাতে দফায় দফায় আলোচনাতেও বসা হয়। কিন্তু কোনও সমাধান সূত্র না মেলায় এবার সরাসরি ধর্মঘট। ‘দ্য স্ক্রিন অ্যক্টর্স গিল্ড’ সংগঠনের ব্যানারে আন্দোলনে সামিল হয়েছেন প্রায় ১ লক্ষ ৬০ হাজার কলাকুশলী। ধর্মঘটকে সমর্থন জানিয়েছেন ছোট পর্দার অভিনেতারাও।
উল্লেখ্য, প্রায় ৬৩ বছর পর আবার ধর্মঘটের মুখে পড়ল হলিউড।
কী কী দাবি করা হয়েছে?
ধর্মঘটে সামিল কলাকুশলীদের দাবি, স্ট্রিমিং জায়েন্ট সংস্থাগুলির উত্থানের ফলে তাঁদের পারিশ্রমিক অনেকটা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহারের ফলে কাজও কমেছে। তাদের যথাযথ বেতন ও এআই-র ব্যবহার কমিয়ে কুশলীদের কাজের সুযোগ করে দেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
ইউনিয়ন ও সহকর্মীদের পাশে থাকার বার্তা দিয়ে ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়েছেন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা চোপড়াও। হলিউডে অচলাবস্থা দ্রুত না কাটলে, বড় ব্যানারের বহু ছবির মুক্তি আটকে যাবে এবং পিছিয়ে যাবে। ধর্মঘটের প্রভাব শুধু আমেরিকায় নয়, অন্যান্য দেশে হলিউডের শুটিংয়ের উপরও পড়বে।