Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

‘এটা উচিত হল না’, আমেরিকার এমন কাজে গা জ্বলছে তালিবানের

সিআইএ-র ঘাঁটি দখল নিয়েও খুব একটা লাভ হয়নি তালিবানের, কারণ দেশ ছাড়ার আগে মার্কিন সেনারা ওই ঘাঁটিতে থাকা শতাধিক হামভিস, ট্যাঙ্কার ও যাবতীয় অস্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছে।

'এটা উচিত হল না', আমেরিকার এমন কাজে গা জ্বলছে তালিবানের
যেভাবে পড়ে রয়েছে মার্কিন বাীহিনীর গাড়িগুলি। ছবি: টুইটার।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Sep 07, 2021 | 7:20 PM

কাবুল: তালিবানের বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যেই আফগানিস্তান (Afghanistan) ছেড়ে গিয়েছে মার্কিন বাহিনী(US Force)। তাও ক্ষোভে ফাটছে তালিবান। কারণ তাদের বড় ক্ষতি করে দিয়েছে মার্কিন বাহিনী। চোখের সামনে সারি সারি গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকলেও তাঁরা চালাতে পারছে না একটাও। বিপুল অস্ত্র ভাণ্ডারও গলে গিয়েছে। সোমবারই তালিবান স্থানীয় সাংবাদিকদের ডেকে দেখায় কাবুল ছাড়ার আগে সিআইএ (CIA) কীভাবে কয়েকশো কোটি টাকার সম্পত্তি নষ্ট করে দিয়েছে।

তালিবান(Taliban)-র দাবি, মার্কিন গোয়েন্দা বাহিনী ও সেনা দেশ ছাড়ার আগে দেহ সাব এলাকায় তাদের অন্যতম ঘাঁটি সম্পূর্ণরূপে বিনষ্ট করে দিয়েছে। সেখানে থাকা অস্ত্রশস্ত্র, নথি সহ যাবতীয় সামরিক ভাণ্ডারই নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। কাবুলে অবস্থিত “ইগল”  নামে ওই কেন্দ্রটিই মার্কিন গোয়েন্দা বাহিনী ও আফগান এনডিএস ০১ বাহিনীর ঘাঁটি ছিল। মার্কিন বাহিনী দেশ ছাড়ার পর বর্তমানে এই ঘাঁটিই দখল নিয়েছে তালিবান।

তবে ওই ঘাঁটি দখল নিয়েও খুব একটা লাভ হয়নি তালিবানের, কারণ দেশ ছাড়ার আগে মার্কিন সেনারা ওই ঘাঁটিতে থাকা শতাধিক হামভিস, ট্যাঙ্কার ও যাবতীয় অস্ত্র ধ্বংস করে দিয়েছে। তালিবানের তরফে জানানো হয়েছে, ধ্বংস করে দেওয়া সামরিক ভাণ্ডারের নির্দিষ্ট মূল্য জানা না থাকলেও আনুমানিক কয়েকশো মিলিয়ন ডলারের অস্ত্র নষ্ট করে দেওয়া হয়েছে।

তালিবানের এক কম্যান্ডার বলেন, “আমরা যা কিছু ব্যবহার করতে পারতাম, সবই নষ্ট করে দিয়েছে মার্কিন বাহিনী। দেশ ছাড়ার আগে ইচ্ছাকৃতভাবেই তারা সমস্ত কিছুতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এটা করা উচিত ছিল না।”

মাসাব নামক এক তালিবান যোদ্ধা জানান, পূর্ববর্তী সরকারের শাসনকালে তিনি এই ঘাঁটিতেই অবস্থিত জেলে বন্দি ছিলেন। তিনি বলেন, “আটদিনের জন্য আমি এখানে বন্দি ছিলাম। ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা হয়েছিল সেই দিনগুলিতে।”

সিআইএ-র ক্যাম্প দখল নিলেও ভিতরে প্রবেশ করতে ভয় পাচ্ছে তালিবান। তাদের আশঙ্কা, মার্কিন বাহিনী ঘরের ভিতরে ল্যান্ডমাইন জাতীয় কোনও বিস্ফোরক পুঁতে যেতে পারে। অতর্কিতে পা দিলেই বড় বিস্ফোরণ হতে পারে এবং শতাধিক তালিব যোদ্ধা প্রাণ হারাতে পারে।

গত ৩১ অগস্ট মার্কিন বাহিনী আফগানিস্তান ছাড়ার পরই জানা গিয়েছিল, কাবুলের হামিদ কারজ়াই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে থাকা সমস্ত সামরিক বিমান, হেলিকপ্টার বিনষ্ট করে দিয়েছিল। মার্কিন সেনার তরফেও এই দাবি স্বীকার করে নেওয়া হয়।

সেই সময়ও তালিবান নেতারা জানিয়েছিলেন, দীর্ঘদিন আফগানিস্তানের মাটিতেই ওই সামরিক ভাণ্ডার থাকায় তা আফগানিস্তানের জাতীয় সম্পত্তিতে পরিণত হয়েছে। মার্কিন বাহিনীর কোনও অধিকার ছিল না জাতীয় সম্পত্তি নষ্ট করার। তাদের অনুরোধ করা হয়েছিল যে অস্ত্র ও সামরিক বিমানগুলি যেন নষ্ট না করা হয়, এগুলি নয়া আফগান সরকারের সামরিক বিভাগে ব্যবহার করা হবে। কিন্তু তারা বিশ্বাসঘাতকতা করেছে।

আরও পড়ুন: ‘তালিবান বদলেছে ঠিকই, তবে…’ পঞ্জশীর দখলের পর গোপন ঘাঁটি থেকে কী বার্তা দিলেন মাসুদ?

আরও পড়ুন: ভিডিয়ো: হাতে মোটা টাকার বান্ডিল, পঞ্জশীরের যোদ্ধাদের হাতে টাকা গুঁজে দিচ্ছে তালিবান!