GST Council Meeting : ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত কর ছাড় ‘প্রাণদায়ী’ ওষুধে, আর কীসে কমল জিএসটি?
GST Rates changed : ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য যে ওষুধগুলির প্রয়োজন, সেগুলির উপর জিএসটির হার ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা হয়েছে ৫ শতাংশ।
নয়াদিল্লি : শুক্রবার লখনউতে জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ছিল। দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা ধরে চলে চুলচেরা আলোচনা। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে বৈঠকে। করোনা পরিস্থিতিতে প্রাণদায়ী ওষুধগুলির উপর জিএসটিতে ছাড়ের অন্তিমসীমা আরও বাড়ানো হয়েছে। ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ পর্যন্ত করোনা চিকিৎসা সংক্রান্ত ওষুধের উপর করে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে যে বিষয়টি নিয়ে বিগত বেশ কয়েকদিন ধরে আলোচনা চলছিল, অর্থাৎ জ্বালানি তেলের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, তা থেকে এখনই কোনও নিস্তারের পথ দেখাতে পারেনি জিএসটি কাউন্সিল। জানানো হয়েছে, এখনই পেট্রল – ডিজ়েলকে জিএসটির আওতায় নিয়ে আসার কোনও পরিকল্পনা নেই।
সাংবাদিক বৈঠকে নির্মলা সীতারমন জানিয়েছেন, পেট্রোপণ্যকে জিএসটির আওতায় আনা হবে কি না, তা নিয়ে সংবাদমাধ্যমে বিগত কয়েকদিন ধরে অনেক আলোচনা হয়েছে। কেরল হাইকোর্টের নির্দেশ মতো জিএসটি কাউন্সিলে পেট্রল ডিজ়েলের বিষয়টি উত্থাপিত হয়েছিল। কিন্তু কাউন্সিলের সদস্যরা এখন জিএসটির আওতায় পেট্রোপণ্যকে আনতে আগ্রহী নন। কেরল হাইকোর্টকে এই সংক্রান্ত বিষয়ে জানানো হবে।
তবে করোনার চিকিৎসায় জরুরি কিছু ওষুধের উপর কর ছাড়ের অন্তিম সীমা ৩১ ডিসেম্বর, ২০২১ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। এই তালিকায় রয়েছে অ্যামফোটেরিসিন বি, রেমডেসিভির, টসিলিজুমাবল এবং হেপারিনের মতো অ্যান্টি কোয়াগুল্যান্ট। আগে এই ওষুধগুলির উপর কর ছাড়ের মেয়াদ ছিল ৩০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠকে তা আরও তিন মাস বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
যে ওষুধগুলির উপর জিএসটি ৫ শতাংশ করা হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে ইটলিজুমাব, পোসাকোনাজ়োল, ইনফ্লিক্সিম্যাব, ফ্যাভিপিরাভির,ক্যাসিরিভিমাব এবং ইমডেভিমাব, ২-ডিঅক্সি-ডি-গ্লুকোজ, বামলানিভিমাব এবং এটেসেভিমাব।
ক্যানসারের চিকিৎসার জন্য যে ওষুধগুলির প্রয়োজন, সেগুলির উপর জিএসটির হার ১২ শতাংশ থেকে কমিয়ে করা করা হয়েছে ৫ শতাংশ। এছাড়া বিশেষভাবে সক্ষম ব্যক্তিদের জন্য গাড়িতে রেট্রো ফিটমেন্ট কিটের উপর জিএসটির হার ৫ শতাংশ কমানো হয়েছে।
পাশাপাশি জিএসটির হার কমানো হয়েছে বায়ো ডিজ়েলের উপর থেকেও। ১২ শতাংশ থেকে নামিয়ে ৫ শতাংশে নিয়ে আসা হয়েছে বায়ো ডিজ়েলের উপর জিএসটির হার। মূলত বায়ো ডিজ়েলের ব্যবহারে আরও উৎসাহ দিতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করছেন অনেকে।
জিএসটির হার বাড়ানো হয়েছে খনিজ আকরিকের উপর। লোহা, তামা, অ্যালুমিনিয়াম, দস্তা সহ একাধিক আকরিকের উপর জিএসটি ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১৮ শতাংশ করা হয়েছে। পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি চালিত যন্ত্র ও যন্ত্রাংশের উপর জিএসটির হার ৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ১২ শতাংশ করা হয়েছে। কার্টেন, বক্স, ব্যাগ, প্যাকিং কনটেটারের উপর জিএসটি বাড়িয়ে ১৮ শতাংশ করা হয়েছে। পলিইউরেথিন ও অন্যান্য প্লাস্টিকজাত বর্জ্যের উপর জিএসটি ৫ শতাংশ থেকে ১৮ শতাংশ করা হয়েছে। পেনের উফর জিএসটিও করা হয়েছে ১৮ শতাংশ।
আরও পড়ুন : GST Council Meeting : ‘ভেটো’ একাধিক রাজ্যের, কমছে না পেট্রল-ডিজ়েলের দাম