Akhilesh Yadav on UP Polls: ‘কৃষকেরা দরজা বন্ধ করে দিয়েছেন বিজেপির জন্য’, আইন-শৃঙ্খলা নিয়েও বড় প্রতিশ্রুতি অখিলেশের
Uttar Pradesh Assembly Election 2022: মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের শাসনকালে রাজ্যে অপরাধ বেড়েছে, এই কথা প্রমাণ করতে অখিলেশ যাদব হাথরস গণধর্ষণ ও গোরক্ষপুরে ব্যবসায়ী খুনের উদাহরণ দেন।
নয়া দিল্লি: রাজ্যে শৈত্যপ্রবাহ চললেও ভোটের দামামা বাজলেই চড়েছে রাজনৈতিক পারদও। বিগত কয়েকদিন ধরেই নির্বাচনী প্রচারে অখিলেশ যাদব (Akhilesh Yadav) ও তাঁর দল সমাজবাদী পার্টি (Samajwadi Party)-র উপর আক্রমণ চালিয়েছেন বিজেপির “সেকেন্ড ইন কম্যান্ড” অমিত শাহ(Amit Shah)। এবার পাল্টা জবাব দিলেন অখিলেশও। শুক্রবার মাঝপথে তাঁর হেলিকপ্টারবন্ধ হয়ে যাওয়াতেও তিনি যেমন বিজেপিকে দায়ী করেন, তেমনই কৃষকদের করা প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি বিজেপি, এই অভিযোগও আনেন।
গতকালই দিল্লি থেকে উত্তর প্রদেশে ফেরার পথে মাঝপথে আটকে যায় অখিলেশ যাদবের হেলিকপ্টার। নিরুপায় হয়ে বাসেই তিনি মুজাফ্ফরনগরের উদ্দেশে রওনা দেন। সেখানেই এনডিটিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অখিলেশ যাদব বলেন, “কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করা, যুবকদের কর্মসংস্থান-কোনও প্রতিশ্রুতিই পূরণ করেনি বিজেপি।”
লখিমপুরের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, “কেউ কি কোনওদিন ভেবেছিল যে একদিন কৃষকদের জিপের নীচে চাপা পড়ে মরতে হবে?” রাজ্যের আইন শৃঙ্খলার বিষয়ে বিজেপি যে আক্রমণ চালাচ্ছে, তার জবাবে অখিলেশ বলেন, “সাধারণ মানুষ পুরনো কথা ভুলে গিয়েছে। বর্তমানে আমরা আইন-শৃঙ্খলা ব্যবস্থাকে অত্যন্ত গুরুত্ব দিয়ে দেখি, এই বিষয়ে আমি সকলকে নিশ্চিত করতে পারি। যারাই আইন ভাঙবে, তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তাঁর দাবি, সমাজবাদী পার্টি যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন রাজ্যে সেরা পুলিশি ব্যবস্থা ছিল। পরিকাঠামো ও ব্যবস্থাপনা-দুইই তৈরি করা হয়েছিল, যাতে পুলিশ আরও ভালভাবে কাজ করতে পারে। এবারের নির্বাচনে যদি সপা জয়ী হয়, তবে বিশেষজ্ঞ ও সাধারণ মানুষের থেকে পরামর্শ নিয়েই রাজ্যের আইন শৃঙ্খলা ব্যবস্থার উন্নতি করা হবে।
মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের শাসনকালে রাজ্যে অপরাধ বেড়েছে, এই কথা প্রমাণ করতে তিনি হাথরস গণধর্ষণ ও গোরক্ষপুরে ব্যবসায়ী খুনের উদাহরণ দেন। অখিলেশ যাদবের আরও দাবি, বিজেপি কৃষকদের একতায় চিড় ধরাতে চেষ্টা করছে। প্রয়াগরাজে যুব সম্প্রদায় যখন চাকরির জন্য বিক্ষোেভ দেখাচ্ছে, সরকার তাদের সমস্যার সমাধান না করে মামলা দায়ের করছে।
সমাজবাদী পার্টির বিতর্কিত নেতা নাহিদ হাসান, যাকে কাইরানা কেন্দ্র থেকে দাঁড় করানো হয়েছে, তার প্রসঙ্গে সপা প্রধান বলেন, “আমরা সবাই আদালতকে বিশ্বাস করি। যে কেউ মামলা দায়ের করতেই পারে, তার অর্থ এই নয় যে সে অপরাধী প্রমাণিত হয়ে গেল। বিজেপি নিয়মিতই বিভিন্ন রাজনৈতিক নেতাদের বিরুদ্ধে গুরুতর অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে। ছাত্রদেরও জাতীয় নিরাপত্তা আইনে আটক করা হয়েছে। উনিই (যোগী আদিত্যনাথ) একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী. যিনি নিজের ও উপ-মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া সমস্ত মামলা তুলে নিয়েছেন।”
কৃষক-যুব সম্প্রদায়কে করা প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি বিজেপি, এই দাবি করে তিনি বলেন, “বিশাল প্রচার করার পরও কি আমরা কোনও বিনিয়োগ দেখতে পেয়েছি? মুজাফ্ফরনগরে কি একটাও ফ্যাক্টরি তৈরি হয়েছে?”
জয়ন্ত চৌধুরির রাষ্ট্রীয় লোক দলকেও সম্প্রতি বিজেপির তরফে যে জোটের বার্তা দেওয়া হয়েছে, সেই প্রসঙ্গে অখিলেশ যাদব বলেন, “কৃষকরা বিজেপির মুখের উপর দরজা বন্ধ করে দিয়েছে। এবারের নির্বাচনকে কৃষকরা তাদের আত্মসম্মান ও মর্যাদার লড়াই হিসাবেই দেখছে। এই নির্বাচন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা কৃষক নেতা চৌধুরি চরণ সিংয়ের ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ারও।”