হলিউডের আইকন Shirley Temple- কে আজকের অর্থাৎ ৯ জুনের গুগল ডুডলের সম্মান জানিয়েছেন গুগল কর্তৃপক্ষ। মার্কিন অভিনেতা হওয়ার পাশাপাশি Shirley Temple একাধারে ছিলেন একজন গায়িকা, নৃত্যশিল্পী এবং কূটনীতিক। রাজনীতির সঙ্গে সূক্ষ্ম যোগাযোগ ছিল আমেরিকার এই অভিনেত্রীর। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে আজকের দিনে অর্থাৎ ৯ জুন স্যান্টা মনিকা হিস্ট্রি মিউজিয়ামে Shirley Temple- এর স্মৃতিচারণে ‘Love, Shirley Temple’ নামের একটি প্রদর্শনীর সুচনা করেছিল। সেই সূত্রেই, আজকের দিনে হলিউড তারকা Shirley Temple- কে অ্যানিমেশনের মাধ্যমে সম্মান জানিয়েছে গুগল ডুডল।
১৯২৮ সালের ২৩ এপ্রিল ক্যালিফোর্নিয়ায় জন্মগ্রহণ করেন Shirley Temple। ১০ বছর বয়স হওয়ার আগেই তারকার খেতাব পেয়েছিলেন তিনি। কেরিয়ার শুরু করেন শিশু শিল্পী হিসেবে। ১৯৩৪ থেকে ১৯৩৮ সাল পর্যন্ত শিশু শিল্পী হিসেবে একের পর এক বক্স অফিস হিট দিয়েছেন Shirley Temple। একাধিক ছবি এবং মিউজিক ভিডিয়োতে কাজ করেছেন তিনি। মিষ্টি হাসি, গালের টোল, কোঁকড়ানো চুল এবং কাজের প্রতি প্রবল আগ্রহ, ছোট থেকেই Shirley Temple- কে একদম আলাদা করে তুলেছিল। মাত্র ৬ বছর বয়সে অ্যাকাডেমি অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু মাত্র ২২ বছর বয়সেই তারকার খ্যাতিকে বিদায় জানিয়ে বিনোদনের দুনিয়া থেকে সরে আসেন Shirley Temple।
এরপরই মানুষের জন্য মানব সেবায় ব্রতী হন তিনি। সমাজ সেবার পাশাপাশি শুরু হয় Shirley Temple রাজনৈতিক জীবন। আন্তর্জাতিক সু-সম্পর্ক বজায় রাখার ক্ষেত্রে বরাবরই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন তিনি। ১৯৬৯ সালে জাতিসংঘে আমেরিকার প্রতিনিধি হয়েছিলেন Shirley Temple। কূটনীতিক হিসেবেও সফল ছিলেন তিনি। ঘানা এবং চেকোস্লোভাকিয়া- তে ইউনাইটেড স্টেটস অ্যাম্বাসেডর ছিলেন Shirley Temple। এছাড়াও স্টেট ডিপার্টমেন্টের প্রথম মহিলা ‘চিফ অফ প্রোটোকল’ ছিলেন তিনি। ১৯৮৮ সালে Shirley Temple- কে সাম্মানিক ফরেন সার্ভিস অফিসার হিসেবেও নিযুক্ত করা হয়।
আরও পড়ুন- সীমানা পেরিয়ে: পাকিস্তানের ধারাবাহিকে নায়িকা গাইলেন ‘আমারও পরাণ যাহা চায়…’
২০০৬ সালে Screen Actors Guild- এর তরফে লাইফটাইম অ্যাচিভমেন্ট অ্যাওয়ার্ড পেয়েছিলেন Shirley Temple। এর আট বছর পর ২০১৪ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি মৃত্যু হয় Shirley Temple- এর।