হানিমুনে এখন তিন বোন, ঋদ্ধি-খড়ি, কুণাল বনি ও রাহুল-দ্যুতি, সকলেই হইহই করে আনন্দে মেতে উঠতে বাড়ি থেকে বেড়িয়ে পড়েছিলেন মধুচন্দ্রিমায়। তবে ঠিক যেমনটা সকলে ভাবে তেমনটাই কি বাস্তবে হয়! না, আর ঠিক সেই কারণেই চেনা সম্পর্কের ছন্দে আবারও কোথাও না কোখাও থেকে যায় বেশ কিছু কিন্তুর রেস। এবারও ঠিক তেমনটাই ঘটে এই তিন কন্যা সঙ্গে। ঋদ্ধি ও খড়ি মাঝে সম্পর্কের গভীরতা তুঙ্গে উঠলেও, তাঁদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝি আজও বর্তমান। রাহুল চেনা ছন্দেই নিজের রাগ দেখাতে খড়িকে জলে ফেলে দেয়।
মুহূর্তে তাকে বাচাতে ছুটে আসে ঋদ্ধি, তবে প্রতিবারের মতই সবটা না শুনে আগে থেকেই খড়িকে অপমান করে বসে সে। যার ফলে বেড়ে যায় অভিমান। তবে পরবর্তীতে যখন মাথা ঠাণ্ডা হয় তখন খড়িকে খুঁজতে গিয়ে আবারও মেজাজ হারায় ঋদ্ধি। দেখে খড়ি সেখানে অনিকেতের সঙ্গে রয়েছে। মনের আনন্দে হাতে তুলে নিয়েছে তুলি। আর তাকে সমস্তরকমভাবে সাহায্য করছেন অনিকেত।
অন্যদিকে রাহুল ও দ্যুতির সম্পর্কটা ভীষণভাবে চেনা ছন্দে ধরা দেয়। প্রতিবারের মত এবারও আড়ালে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে সে। কখনও খড়ির হাতে পড়ছে ধরা, কখনও আবার দ্যুটির দুল উপহার দিয়ে দ্যুতির সামনেই হচ্ছে পর্দা ফাঁস। যদিও খড়ি হাতেনাতে ধরেও এবারও রাহুলকে শেষ একটা সুযোগ দিয়ে দেয়। অন্যদিকে আবার বনি ও কুণালের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন বর্তমান।
কুণালকে তার ভালবাসা ফিরিয়ে দিতে মরিয়া বনি এখন কেবল উপায় খুঁজে বেড়াচ্ছে কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়। বনির কথায় সে নিজেই বাড়িতে কথা বলে সমস্তটা সামলে নেবে। তবে কুণালকে সে কষ্ট পেতে দেবে না। চেষ্টা করে তার পুরোনো প্রেম ফিরিয়ে দেওয়ার। মধুচন্দ্রিমায় গিয়ে মনের মানুষকে দেখে অবাকসও অস্বস্তিতেই পড়ে যায় সে। যদিও বনি নিজের আবেগ চেপে রেখেই চেষ্টা করছে কুনালকে সুখে রাখার।