স্বাধীনতা কখনওই উশৃঙ্খলতা হতে পারে না: কোয়েল মল্লিক
কোয়েলের কাছে স্বাধীনতা মানে রাজনৈতিক স্বাধীনতা নয়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে তাঁদের যোগ্যতা অনুযায়ী উপযুক্ত কাজ করতে পারাই তাঁর কাছে স্বাধীনতার সমান।
স্বাধীনতার ৭৫ বছর। সকাল থেকেই রেডরোড সেজে উঠেছিল। সেজে উঠেছিল সেলেবদের সোশ্যাল মিডিয়াও। একের পর এক পোস্টে ইনস্টা থেকে শুরু করে ফেসবুক জুড়ে আজ শুধুই গেরুয়া-সাদা-সবুজ। স্বাধীনতা মানে কী? এ প্রশ্ন বহুদিনের। শুধুই কি দেশের স্বাধীনতা নাকি ব্যক্তি জীবনেও স্বাধীন হওয়া? এই স্বাধীন হওয়ার যথার্থ অর্থই বা কী? উত্তর দিলেন কোয়েল মল্লিক।
কোয়েলের কাছে স্বাধীনতা মানে রাজনৈতিক স্বাধীনতা নয়। নারী-পুরুষ নির্বিশেষে তাঁদের যোগ্যতা অনুযায়ী উপযুক্ত কাজ করতে পারাই তাঁর কাছে স্বাধীনতার সমান। তাঁর কথায়, “শব্দের ব্যপ্তি অনেক। অসহায় মানুষকে দেখে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়া– সেটা আমার কাছে স্বাধীনতা। স্বাধীনতা ধর্ম, জাত পাতের ভেদাভেদ না করা মানে আমার কাছে স্বাধীনতা।” ভয় না পেয়ে নিজের মত প্রকাশ করার মধ্যেই স্বাধীনতা খুঁজে পান কোয়েল মল্লিক।
View this post on Instagram
তবে স্বাধীনতা মানেই তাঁর মানে ‘যা ইচ্ছে তাই’ নয়। নয় স্বেচ্ছাচারিতা। নয় উশৃঙ্খলতাও। কোয়েল যোগ করেন, “স্বাধীনতা কখনওই উশৃঙ্খলতা হতে পারে না। স্বাধীনতা মানে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ করে চলা, মানুষের নির্ভীক হাসিতে আমি স্বাধীনতা দেখতে পাই”। টলি টাউনে সেলেব মহলে কোয়েল মল্লিকের জীবন-দর্শন নিয়ে সুনাম রয়েছেন। এই বার্তার মধ্যে দিয়েই তিনি বুঝিয়ে দিলেন তিনি স্বাধীন। সেই স্বাধীনতার অর্থ কী, সে কথাও ব্যক্ত করলেন অভিনেত্রী।
নিজের ব্যক্তি জীবনের বিভিন্ন ঘটনা কোয়েল কথা হ্যাশট্যাগ দিয়ে বিগত কিছুদিন ধরেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করছেন কোয়েল। আসলে সোশ্যাল মিডিয়া এখন অনুরাগীদের সঙ্গে যোগাযোগের অন্যতম মাধ্যম। তাই সে সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি তিনি। এর আগে ভবানীপুরের বিখ্যাত মল্লিক বাড়ি অর্থাৎ কোয়েলের বাড়ির দুর্গাপুজোর গল্প শেয়ার করেছিলেন।
দুর্গা পুজোর স্মৃতি শেয়ার করতে গিয়ে কোয়েল বলেন, “আমাদের বাড়ির সামনে নর্দান পার্ক। পুজোর পর ভাইবোনেরা মিলে ফুচকা খেতে যেতাম, নাগরদোলা চড়তে যেতাম, অঞ্জলি, আরতির পর দারুণ মজা হত। আমি সবথেকে ছোট ছিলাম। তাই দুধেভাতে ট্রিট করা হত।” একবার নাকি কোয়েলকে না নিয়েই অন্য দাদা, দিদিরা পাড়ার পুজো দেখতে চলে গিয়েছিলেন। প্রথমে কান্নাকাটি করলেও পরে মেজজেঠুর সঙ্গে গিয়ে নাকি ৫০টা ফুচকা খেয়েছিলেন সে দিনের কোয়েল! সেই ফুচকা খাওয়ার মধ্যেও স্বাধীনতা ছিল তাঁর। ছিল জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্তে। গত বছর মা হয়েছেন তিনি। ঘরে এসেছে ছেলে কবীর। ছেলে-পরিবার নিয়ে ‘স্বাধীন’ ভাবেই বাঁচতে চান অভিনেত্রী।