Satyajit Roy: সমাজের চোখ রাঙানি নয়, গোপনে ভালবাসার জয়, সামাল দিতে নিজের প্রেম জীবনের স্ক্রিপ্ট লিখেছিলেন সত্যজিৎ
Love Story: যে মানুষ এতগুনে রঙিন, তাঁর প্রেমের রঙ যে খুব সাধারণ হবে না, তা অনুমান করে নেওয়াটা খুব শক্ত কাজ নয়। তবে না, অনুমান বা কল্পনা-জল্পনা নয়, এটাই বাস্তব।
![Satyajit Roy: সমাজের চোখ রাঙানি নয়, গোপনে ভালবাসার জয়, সামাল দিতে নিজের প্রেম জীবনের স্ক্রিপ্ট লিখেছিলেন সত্যজিৎ Satyajit Roy: সমাজের চোখ রাঙানি নয়, গোপনে ভালবাসার জয়, সামাল দিতে নিজের প্রেম জীবনের স্ক্রিপ্ট লিখেছিলেন সত্যজিৎ](https://images.tv9bangla.com/wp-content/uploads/2022/05/WhatsApp-Image-2022-05-02-at-1.13.32-PM.jpeg?w=1280)
প্রসঙ্গ যখন সত্যজিৎ রায়, তখন সেখানে কালি-কলমের ছোঁয়ায় সাধারণ গল্প অনবদ্য হয়ে উঠবে না, তা কি হয়! শিল্পী মানুষের শিল্পসত্ত্বার বাইরে বেরিয়ে জীবনটা বোনা এককথায় কঠিন বিষয়। তাই প্রতিটা ফ্রেমে যেভাবে তিনি বুঁনেছিলেন এক একটি গল্প, এক একটি চরিত্র পরিপূর্ণতা পেয়েছিল তাঁরই মগজাস্ত্রের ছোঁয়ায়, সেই কিংবদন্তি মানুষটিই নিজের ব্যক্তিজীবনে একটি চিত্রনাট্যে লিখেছিলেন। গোপন চিত্রনাট্য, যেখানে স্থান পেয়েছিল না-বলা ভালবাসা, এক অফুরান বিশ্বাস, ভরসা আর প্রেম। যে গল্পের পরিচালক তিনি, অভিনয়ে তিনি, পরিশেষে প্লট তাঁরই বাস্তব জীবন।
যে মানুষ এতগুনে রঙিন, তাঁর প্রেমের রঙ যে খুব সাধারণ হবে না, তা অনুমান করে নেওয়াটা খুব শক্ত কাজ নয়। তবে না, অনুমান বা কল্পনা-জল্পনা নয়, এটাই বাস্তব। মন ও সমাজ, ইচ্ছে ও পরিবারের বেড়াজালে সবটার মাঝে এক সুক্ষ্ম ব্যালান্স বজায় রেখে ভালবাসার মানুষকে তিনি শুধু মনের কোণেই নয়, নিজের পরিচয়ে দিয়েছিলেন সম্মানও। টাইমস অব ইন্ডিয়ার এক প্রতিবেদন অনুযায়ী যে বাস্তব গল্পের পরতে-পরতে লুকিয়ে এক পরিচালকের বিচক্ষণতা।
তিনি হলেন বিজয়া রায়। বয়সে তিনি সত্যজিৎ রায়ের থেকে বড়, তার ওপর পারিবারিক সূত্রে তিনি আত্মীয়। ফলে মন যতই চলুক না, নিজের পথে, আপন ছন্দে, পরিবার যে বিষয়টা সহজে মানবে না, তা ছিল তাঁর কাছে স্পষ্ট। এক সাক্ষাৎকারে বিজয়াদেবী জানিয়েছিলেন, তাঁরা কখনওই স্থির করেননি যে তাঁরা বিয়ে করবেন। কিন্তু তা ঘটে, দীর্ঘ আট বছরের সম্পর্কের পর যখন সত্যজিৎ রায় মুম্বই পাড়ি দিয়েছিলেন নিজের স্বপ্নপূরণের লক্ষ্যে, ঠিক তখনই দূরত্ব-আবেগ-টান সবটাই যেন আরও দৃঢ় হয়ে ওঠে। তিনি বারেবারে ছুটে আসতেন কলকাতায় দেখা করতে বিজয়াদেবীর সঙ্গে।
তবে এরপর আর থেকে আবেগ-প্রেমেই থেমে থাকেনি বিষয়টা, মুম্বইতে গোপনে বিয়ের সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছিলেন তাঁরা। সত্যজিৎ রায় জানতেন, পরিবার থেকে কেউ মেনে নেবে না এই সম্পর্ক। তাই স্থির করেছিলেন কাউকে জানানোর প্রয়োজন নেই। যদিও বিজয়াদেবী জানিয়েছিলেন তাঁর মাকে, সেখান থেকে মেলেনি সম্মতি। তাই সবটা গোপন রেখেই বিয়ে পর্ব মিটিয়ে ফেলেন তাঁরা। বিয়েতে উপস্থিত ছিলেন পৃথ্বীরাজ কাপুর, আশীর্বাদ করেছিলেন দম্পতিকে। সাল ১৯৪৯। তারপর সবটাই চলতে থাকে গোপনে, সত্যজিৎ রায়ের মনে ছিল অন্য কাহিনি, নিজের মত করে এক গল্প লিখে চলেছিলেন তিনি। এরপর একে-একে বড় কাজ, বড় সাফল্য আসে সত্যজিৎ রায়ের জীবনে। মুক্তি পায় অপু ট্রিলজি। অন্যদিকে বাড়ি থেকে ওঠে সত্যজিৎ রায়ের বিয়ে নিয়ে জল্পনা।
ছেলের বিয়ে দিতে হবে…। এই সময়ই এক দারুণ পরিকল্পনা মাথায় আসে তাঁর। তিনি বাড়িতে জানিয়ে দেন, বিয়ে যদি করতেই হয় তবে তিনি বিয়ে করবেন বিজয়াকেই, নয়তো অবিবাহিতই থাকবেন। সব জল্পনার ইতি ঘটিয়ে, অবশেষে রাজি হয়ে যান সকলেই, আর তারপরই দ্বিতীয়বারের জন্য সত্যজিৎ রায়ের জীবনে বাজে বিয়ের সানাই। এভাবেই নিজের ভালবাসার কাহিনির পিছনে থাকা পরিচালক হয়ে উঠেছিলেন তিনি নিজেই।
আরও পড়ুন- Rukmini Maitra: জাহ্নবী ও রুক্মিনীর জীবনে আক্ষেপ একই, চোখের জলে যে স্মৃতি ফিরে আসে বারবার
আরও পড়ুন- Samantha Prabhu: তিন মিনিটের জন্য ৫ কোটি! নোরাকে কড়া টক্কর দিয়ে পুষ্পায় জায়গা করেছিলেন সামান্থা
আরও পড়ুন- Shilpa Shetty: হীরের আংটির টোপ, লোভ সামলাতে না পেরেই তড়িঘড়ি জীবনের বড় সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শিল্পা