আমাদের শরীরের যাবতীয় পুষ্টির যোগান আসে খাবার থেকে। খাবারের মধ্যে যে ভিটামিন, খনিজ, প্রোটিন এসব থাকে তা শরীরের কাজে লাগে। এবার যে খাবারই খাওয়া হোক না কেন তা মন দিয়ে খেতে হবে। কথা বলতে বলতে বা টিভি দেখতে দেখতে খাওয়া মোটেই ভাল অভ্যাস নয়।
খাবার শুধু খেলেই হবে না। তা নিয়ম মেনে খেতে হবে। নইলে সেই খাবার মোটেই শরীরের কাজে লাগে না। এছাড়াও খাবার কতটা রুচি সম্মত হচ্ছে সেদিকেও দেখা প্রয়োজন।
তবে খাবার খেতে খেতে কথাব বলতে নেই। বাড়ির বড়রা সব সময় এই পরামর্শ দেন। এর কারণ হল আমাদের খাজ্যনালী আর শ্বাসনালী পাশাপাশি। খাবার খেতে খেতে কথা বললে গলায় আটকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সেখান থেকে জটিল পরিস্থিতি তৈরি হতে পারে।
খাবার গলায় আটকে গেলে তা কেশে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করুন। তাতে কাজ না হলে বুকের উপরসচাপ দিতে হবে। এই চাপে খাবারের কণা বাইরে বেরিয়ে আসবে। ছোট হলে উপুর করে শুইয়ে দিয়ে পিঠে চাপ দিতে হবে।
এই টোটকায় কাজ না হলে দ্রুত হাসপাতালে যান। শ্বাসনালীতে খাবারে আটকে যাওয়া খুবই মারাত্মক ঘটনা। সেখান থেকে মৃত্যু পর্যন্তও হতে পারে।
খেতে খেতে কথা বললে মন খাবারের দিকে থাকে না। তখন প্রয়োজনের তুলনায় বেশি খাবার খাওয়া হয়ে যায়। আবার কখনও কম খাওয়া হয়। এতে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা জাঁকিয়ে বসে। আর খাবার ঠিকভাবে হজম হয় না। গ্যাস অম্বলের সমস্যা লেগে থাকে।
কাজের চাপের জন্য সব সময় একসঙ্গে বসে খাওয়ার সুযোগ হয় না। অধিকাংশ বাড়িতেই তাই রাতের খাবার একসঙ্গে খাওয়া হয়। খেতে বসে অনেকেই গল্প করেন। আর তাই এই গল্প খাওয়ার আগে বা পরে করুন। নিজের শরীরের প্রতি নিজেকেই যত্ন নিতে হবে।