Bhutan PM: কালিম্পংয়ে জন্ম ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর, কেন ‘এই দশক ভারতের’, দিলেন ব্যাখ্যা

India's Leadership in Global South: ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, "বিশ্বের সবথেকে জনবহুল দেশ হিসাবে ভারতের অর্থনীতির দ্রুত বৃদ্ধি হচ্ছে। ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি ইতিমধ্যেই পার করে গিয়েছে। যদি করোনা মহামারি না হত, তবে হয়তো ৫ ট্রিলিয়নের অর্থনীতিতে পরিণত হত। সবদিক থেকেই এটা ভারতের দশক।"

Bhutan PM: কালিম্পংয়ে জন্ম ভুটানের প্রধানমন্ত্রীর, কেন 'এই দশক ভারতের', দিলেন ব্যাখ্যা
প্রধানমন্ত্রী মোদীর সঙ্গে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। ফাইল চিত্রImage Credit source: PTI
Follow Us:
| Updated on: Oct 23, 2024 | 2:18 PM

নয়া দিল্লি: করোনা মহামারি থেকে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ- বিশ্বের যে কোনও সঙ্কটই হোক না কেন, সমাধানের জন্য এখন ভারতেই আস্থা সকলের। এ কথা আরও একবার তুলে ধরলেন ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাসো শেরিং তোবগে। সম্প্রতিই একটি সংবাদমাধ্যমের সামিটে যোগ দিয়ে ভারতের প্রশংসা করে তিনি বলেন, “আজ বিশ্বের ভারতকে প্রয়োজন এবং আমি অত্যন্ত খুশি যে এই দশককে ভারতের দশক বলা হচ্ছে।”

পড়শি দেশ ভুটানের সঙ্গে মধুর সম্পর্ক ভারতের। বিভিন্ন সময়ে ভারত সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। সেই বন্ধুত্বকে স্বীকৃতি দিয়েই ভুটানের প্রধানমন্ত্রী বলেন, “বিশ্বের সবথেকে জনবহুল দেশ হিসাবে ভারতের অর্থনীতির দ্রুত বৃদ্ধি হচ্ছে। ৩ ট্রিলিয়ন ডলারের অর্থনীতি ইতিমধ্যেই পার করে গিয়েছে। যদি করোনা মহামারি না হত, তবে হয়তো ৫ ট্রিলিয়নের অর্থনীতিতে পরিণত হত। সবদিক থেকেই এটা ভারতের দশক। তবে একদিকে সকলের থেকে আলাদা হয়ে উঠেছে ভারত। তা হল নেতৃত্ব প্রদান। শুধুমাত্র ভারতীয়রাই নয়, গোটা বিশ্বই ভারতের নেতৃত্বে আস্থা রেখেছে।”

তিনি আরও বলেন, “নেতৃত্ব প্রদানের জন্য আজ গ্লোবাল সাউথ ভারতের দিকেই তাকিয়ে থাকে। যদি বর্তমান সময়ের সমস্যা সমাধানের ক্ষমতা কারোর কাছে থাকে, তা হল ভারত। অর্থনৈতিক সমস্যার ক্ষেত্রে ভারতের বাজারের দিকেই তাকিয়ে থাকে বিশ্ব। করোনাকালে ভারতই বিশ্বকে ভ্যাকসিন ও ওষুধ দিয়ে সাহায্য করেছিল। এমনকী, রাশিয়া-ইউক্রেনের যুদ্ধ যদি কেউ থামাতে পারেন, আমি মনে করি তিনি হলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।”

ভারতের সঙ্গে আত্মার যোগ রয়েছে বলেই জানান ভুটানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, “আমি পশ্চিমবঙ্গের কালিম্পংয়ে জন্মেছি। ওখানে আমার মা-বাবা কাজ করতেন। ভারতে ১১ বছর পড়াশোনা করেছি আমি। সেই সময় ভুটানে বেশি স্কুল না থাকায়, বহু ভুটানিই আমার মতো ভারতে পড়াশোনা করত। ভারতীয় শিক্ষকদের স্নেহছায়ায় আমরা বড় হয়েছি। আমি মনে করি ওদের শিক্ষাই আমাদের দেশে ফিরতে এবং রাজা ও দেশের জনগণকে সেবা করতে শিখিয়েছে।”