India Vs China: ‘উসকানিমূলক স্বভাবের জন্যই অশান্তি’, চিনের ‘ভুয়ো দাবি’র মোক্ষম জবাব বিদেশমন্ত্রকের

India Criticize China Over LAC Issue: সম্প্রতিই বেজিংয়ের তরফে অভিযোগ করা হয় যে, নয়া দিল্লি আগ্রাসী নীতি অনুসরণ এবং বেআইনিভাবে চিনের মাটিতে ঢুকে পড়ার কারণেই সমস্ত সমস্যার সূত্রপাত হয়েছিল।

India Vs China: 'উসকানিমূলক স্বভাবের জন্যই অশান্তি', চিনের 'ভুয়ো দাবি'র মোক্ষম জবাব বিদেশমন্ত্রকের
ভারত - চিন সীমান্তে জওয়ানদের টহল। ফাইল চিত্র।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 01, 2021 | 8:11 AM

নয়া দিল্লি: মুখে শান্তির কথা বললেও আদতে স্বভাব বদলায়নি চিনের (China)। পূর্ব লাদাখে উত্তপ্ত পরিস্থিতি নিয়ে বৃহস্পতিবারও চিনকে কড়া জবাব দিল ভারত। সম্প্রতিই চিনের তরফে সীমান্ত সমস্যার জন্য ভারতকে দোষারেপ করা হয়, এরপরই বৃহস্পতিবার বিদেশমন্ত্রক(Ministry of External Affairs)-র তরফেও পাল্টা জবাবে বলা হল, “চিনের উসকানিমূলক স্বভাবের জন্যই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা জুড়ে শান্তি ও সহাবস্থান বিঘ্নিত হচ্ছে।”

বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচী জানান, চিনের তরফে এখনও সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে বিপুল সংখ্যক সেনা পাঠানো ও মোতায়েন করা হচ্ছে। চিনের এই চোখ রাঙানির জবাবেই ভারতের তরফেও সীমান্তে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।

তিনি বলেন, “চিনের এই ধরনেরউসকানিমূলক মন্তব্য, বারংবার সীমান্তের অবস্থান বদলানোর চেষ্টার কারণেই পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা জুড়ে শান্তি বারবার বিঘ্নিত হয়েছে। চিন এখনও সীমান্তগুলিতে বিপুল অস্ত্রশস্ত্র সহ সেনা মোতায়েন করছে। চিনের এই পদক্ষেপের জবাবেই ভারতীয় সেনাকেও একই পদক্ষেপ নিতে হয়েছে এবং দেশের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করতে ওই অঞ্চলগুলিতে সেনা মোতায়েন করা হয়েছে।”

সম্প্রতিই বেজিংয়ের তরফে অভিযোগ করা হয় যে, নয়া দিল্লি আগ্রাসী নীতি অনুসরণ এবং বেআইনিভাবে চিনের মাটিতে ঢুকে পড়ার কারণেই সমস্ত সমস্যার সূত্রপাত হয়েছিল। পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা জুড়ে যে অশান্তি ও উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তারজন্যও দায়ী ভারতই। চিনের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র হুয়া চুনিং বলেছিলেন, “ভারত দীর্ঘ সময় ধরেই আগ্রাসী নীতি অনুসরণ করছে এবং সীমান্তবর্তী এলাকাগুলিতে বেআইনিভাবে চিনের জমি দখল করার চেষ্টা করছে।”

চিনের এই অভিযোগের জবাবেই বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র বলেন, “এই অভিযোগের কোনও ভিত্তি নেই। চিনের কাছে এই অভিযোগের স্বপক্ষে কোনও তথ্য় প্রমাণও নেই।” তিনি আরও জানান, ভারত আশা করেছিল যে, পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা ঘিরে যে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, তার সমাধানের জন্য চিন দ্রুত কোনও পদক্ষেপ করবে।

গত বছরের মে মাসে পূর্ব লাদাখের প্যাংগং হ্রদের কাছে ভারত ও চিনা বাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষের মাধম্য়েই অশান্তির সূত্রপাত হয়। এরপর থেকেই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা দিয়ে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করে চিন। শুরু হয় দুই দেশের সেনাবাহিনীর মধ্যে সংঘর্ষ। জুন মাসে গালওয়ান উপত্যকায় তা রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের (Galwan Clash) আকার নেয়। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ২০ জওয়ানের মৃত্যু হয়। চিনের তরফে প্রথমে অস্বীকার করা হলেও পরে মেনে নেওয়া হয় যে ওই সংঘর্ষে তারাও বহু সৈন্য হারিয়েছিল।

সংঘর্ষের পরই প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা জুড়ে যে বিপুল সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল দুই দেশের তরফেই, তা সরাতে উদ্যোগী হয় দুই দেশই। একাধিক সামরিক ও কূটনৈতিক স্তরে আলোচনার পরই দুই পক্ষ সেনা প্রত্যাহারে রাজি হয়। প্যাংগং থেকে সেনা সরলেও এখনও পূর্ব লাদাখের বিভিন্ন সংঘর্ষস্থলে সেনা প্রত্যাহার এখনও বাকি।

আরও পড়ুন: India vs China: উত্তরাখণ্ডে অনুপ্রবেশ ঘটিয়ে যোগ্য জবাব পেল চিন, পালটা ‘অ্যাকশন’ ভারতীয় সেনার