Kulutola Street Fire: বারবার ফোন করেও মেলেনি সাড়া, দেননি চাবিও! কলুটোলা স্ট্রিটের মালিকপক্ষকে ঘিরে আজ বিক্ষোভ

Kulotola Street Fire: স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সোমবার আগুন লাগার পরে মালিকপক্ষকে বার বার ফোন করা হয়েছিল।

Kulutola Street Fire: বারবার ফোন করেও মেলেনি সাড়া, দেননি চাবিও! কলুটোলা স্ট্রিটের মালিকপক্ষকে ঘিরে আজ বিক্ষোভ
কলুটোলা স্ট্রিটের ওই ভবনে এখনও রয়েছে পকেট ফায়ার (ছবি- সঞ্জিত দত্ত)
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Oct 05, 2021 | 9:24 AM

কলকাতা: কলুটোলা স্ট্রিটের (Kulutola Street) বহুতলের আগুন এখন নিয়ন্ত্রণে। তবে সোমবার যখন পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ, গোটা কলুটোলা স্ট্রিট জুড়ে হাহাকার, তখন একবারের জন্য দেখা মেলেনি ওই গোডাউনের মালিকপক্ষকে। মঙ্গলবার সকালে ওই গুদামের মালিকের ছেলে আসেন পরিস্থিতি দেখতে। তখনই ক্ষোভে ফেটে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন।

স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, সোমবার আগুন লাগার পরে মালিকপক্ষকে বার বার ফোন করা হয়েছিল। যাতে তাঁরা গোডাউনের চাবি দেন। গোডাউনে চাবিটা পেলে সোমবার দমকলকর্মীদের আগুন নেভাতে অনেকটা সুবিধা হত।

কিন্তু অভিযোগ, সোমবার একাধিকবার ফোন করা হলেও মালিকপক্ষ কোনভাবেই ফোন ধরেননি। চাবি দেননি। একবারের জন্য পরিস্থিতিও দেখতে আসেননি তাঁরা। মঙ্গলবার সকালে তাঁরা আসেন। সে সময় পুলিশের সামনেই মালিক পক্ষের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন আবাসিকরা।

গতকালের আগুনে ওই এলাকার অনেকের জীবন সংশয়ও হতে পারত। কারণ ওই এলাকা অত্যন্ত ঘনবসতিপূর্ণ। সরু ঘিঞ্জি রাস্তায় গা লাগোয়া প্রত্যেকটিই বসতবাড়ি। পরিস্থিতি আরও জোরাল হতে পারত।

কলুটোলা স্ট্রিটের ওই বাড়িতে এখনও পর্যন্ত চারটি পরিবার বাস করছে। আগুন লাগার পরে তাঁদের সাহায্যের জন্যও কেউ এগিয়ে আসেননি বলে অভিযোগ। রাতেই আগুন নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। তবে মঙ্গলবার সকালেও ওই বাড়ি থেকে ধোঁয়া বের হতে দেখা যাচ্ছে।

দমকল কর্মীরা এখনও কাজ করছেন। কোথাও পকেট আগুন রয়েছে কিনা, সেটাও তাঁরা দেখছেন। ওই এলাকার পরিস্থিতি এখন অত্যন্ত খারাপ। স্থানীয়দের কথায়, জল নেই, খাবার নেই, বিদ্যুত্ সংযোগ নেই। এই অবস্থাতেই ছোট ছোট বাচ্চাদের নিয়ে ওই এলাকায় থাকছেন আবাসিকরা।

মালিকপক্ষ আবাসিকদের বিক্ষোভের মুখে পড়ে এদিন উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। পুলিশ গিয়ে তাঁদেরকে বের করে নিয়ে যায়। ক্ষতিপূরণের দাবি তোলেন আবাসিকরা। তাঁদের বাসস্থান তৈরি করে দেওয়ার দাবি তোলেন। এবং সেক্ষেত্রে তাঁরা কোনও মৌখিক আশ্বাসে ভুলবেন না। তাঁদের বিষয়টি লিখিত দিতে হবে বলেও দাবি তোলেন তাঁরা। মালিকপক্ষের কাছ থেকে লিখিত আশ্বাস চান তাঁরা। এই নিয়ে পুলিশের সামনেই তাঁরা আলোচনা করেন। এরপরই ওই এলাকা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেন মালিকপক্ষ।

সোমবার ভোরে এখানে আগুন লাগে। সকাল থেকে দমকলের ২০টি ইঞ্জিন তৎপর ছিল আগুন নেভানোর কাজে। প্রথমদিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে এসেছে মনে করা হলেও বিকেলে ফের নতুন করে আগুনের ফুলকি বের হতে দেখা যায়। ওই বহুতলটি পিছনের অংশ সম্পূর্ণ পুড়ে গিয়েছে। দমকলমন্ত্রী সুজিত বসু জানান, “খুবই ঘিঞ্জি এলাকা। দমকলকর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করেছেন।”

আরও পড়ুন: Kolutola Fire: ১৬-১৭ ঘণ্টার ‘যুদ্ধে’ নিভল কলুটোলার আগুন, চলছে কুলিং প্রসেস

আরও পড়ুন: Kolutola Fire: ১২ ঘণ্টা পরেও নিয়ন্ত্রণে এল না আগুন, কলুটোলায় এখনও যুদ্ধ জারি দমকল কর্মীদের