Cyclone in Bengal: তৃণমূল জমানায় কতবার আছড়ে পড়েছে সাইক্লোন, ক্ষতির হিসেব কত

Cyclone in Bengal: বর্তমান সরকারের আমলে সবথেকে ভয়ঙ্কর ঝড় ছিল এই 'আমফান'। ২০২০ সালের ২০ মে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়ে সেই ঘূর্ণিঝড়। সেই রাতে নবান্নেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

| Updated on: Oct 22, 2024 | 2:13 PM
সাগরে জন্মালো দানা

সাগরে জন্মালো দানা

1 / 9
ফাইল ছবি

ফাইল ছবি

2 / 9
ক্ষয়ক্ষতি: রাজ্যের তরফে জানানো হয়ছিল প্রায় ৫৬৮ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় সেই ঝড়ে। প্রায় ২৯ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সব বাড়ি মেরামত করার জন্য রাজ্য সরকার ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। তবে প্রায় ২ মাস পরও কেন্দ্রকে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব পাঠাতে পারেনি রাজ্য।

ক্ষয়ক্ষতি: রাজ্যের তরফে জানানো হয়ছিল প্রায় ৫৬৮ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয় সেই ঝড়ে। প্রায় ২৯ হাজার বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেই সব বাড়ি মেরামত করার জন্য রাজ্য সরকার ১৪ কোটি টাকা বরাদ্দ করেছিল। তবে প্রায় ২ মাস পরও কেন্দ্রকে ক্ষয়ক্ষতির হিসেব পাঠাতে পারেনি রাজ্য।

3 / 9
নভেম্বর, ২০১৯: প্রায় ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে বাংলার উপকূলে আছড়ে পড়েছিল সাইক্লোন বুলবুল। সাগরদ্বীপ ও ফ্রেজারগঞ্জের মাঝামাঝি জায়গা দিয়ে প্রবেশ করে সেই ঝড়। কয়েক মিনিটেই তছনছ করে বুলবুল।

নভেম্বর, ২০১৯: প্রায় ১৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে বাংলার উপকূলে আছড়ে পড়েছিল সাইক্লোন বুলবুল। সাগরদ্বীপ ও ফ্রেজারগঞ্জের মাঝামাঝি জায়গা দিয়ে প্রবেশ করে সেই ঝড়। কয়েক মিনিটেই তছনছ করে বুলবুল।

4 / 9
ক্ষয়ক্ষতি: দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে দাপট চলেছিল বুলবুল। ভেঙে পড়ে প্রচুর গাছ, মাটির ঘরও।  নামখানা, সাগরদ্বীপ ও মৌসুনী দ্বীপে রীতিমতো তাণ্ডব চলে। নামখানায় ভেঙে যায় দু’টি জেটি। দিঘা-শঙ্করপুরেও প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সেই ঝড়ে।

ক্ষয়ক্ষতি: দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিস্তীর্ণ এলাকা জুড়ে দাপট চলেছিল বুলবুল। ভেঙে পড়ে প্রচুর গাছ, মাটির ঘরও। নামখানা, সাগরদ্বীপ ও মৌসুনী দ্বীপে রীতিমতো তাণ্ডব চলে। নামখানায় ভেঙে যায় দু’টি জেটি। দিঘা-শঙ্করপুরেও প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল সেই ঝড়ে।

5 / 9
মে, ২০২০: বর্তমান সরকারের আমলে সবথেকে ভয়ঙ্কর ঝড় ছিল এই 'আমফান'। ২০২০ সালের ২০ মে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়ে সেই ঘূর্ণিঝড়। সেই রাতে নবান্নেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

মে, ২০২০: বর্তমান সরকারের আমলে সবথেকে ভয়ঙ্কর ঝড় ছিল এই 'আমফান'। ২০২০ সালের ২০ মে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলে আছড়ে পড়ে সেই ঘূর্ণিঝড়। সেই রাতে নবান্নেই ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।

6 / 9
ক্ষয়ক্ষতি: ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। কেন্দ্রের কাছে মোট ১,০২,৫০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিল মমতা সরকার। ২৮,৫৬,০০০ গুলি বাড়ি, ২,৫০,৫৫৬ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২১,২২,০০০ গবাদি পশুর মৃত্যুর কথাও জানিয়েছিল রাজ্য।

ক্ষয়ক্ষতি: ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছিল গোটা দক্ষিণবঙ্গ জুড়ে। কেন্দ্রের কাছে মোট ১,০২,৫০০ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দাবি করেছিল মমতা সরকার। ২৮,৫৬,০০০ গুলি বাড়ি, ২,৫০,৫৫৬ হেক্টর জমি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ২১,২২,০০০ গবাদি পশুর মৃত্যুর কথাও জানিয়েছিল রাজ্য।

7 / 9
মে, ২০২১: তৃতীয়বার তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এসেছে সদ্য। ঠিক সেই সময় মে মাসে আছড়ে পড়ে সাইক্লোন 'ইয়াস'। পারাদ্বীপ ও সাগরের মধ্যে ল্যান্ডফল হয় সেই ঝড়ের। প্রায় ১০০ কিমি বেগে আছড়ে পড়েছিল ঝড়।   ক্ষয়ক্ষতি: পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। হাজার হাজার বাড়ি জলমগ্ন হয়ে যায়। অন্তত ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির কথা বলেছিল নবান্ন। এরপর ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্প শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এক হাজার কোটি টাকার সেই প্রকল্প চালু করা হয়।

মে, ২০২১: তৃতীয়বার তৃণমূল সরকার ক্ষমতায় এসেছে সদ্য। ঠিক সেই সময় মে মাসে আছড়ে পড়ে সাইক্লোন 'ইয়াস'। পারাদ্বীপ ও সাগরের মধ্যে ল্যান্ডফল হয় সেই ঝড়ের। প্রায় ১০০ কিমি বেগে আছড়ে পড়েছিল ঝড়। ক্ষয়ক্ষতি: পূর্ব মেদিনীপুর, দক্ষিণ ২৪ পরগনা-সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশ কিছু জেলায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়। হাজার হাজার বাড়ি জলমগ্ন হয়ে যায়। অন্তত ১৫ হাজার কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতির কথা বলেছিল নবান্ন। এরপর ‘দুয়ারে ত্রাণ’ প্রকল্প শুরু করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। এক হাজার কোটি টাকার সেই প্রকল্প চালু করা হয়।

8 / 9
মে, ২০২৪: আমফানের পথ ধরেই এগিয়ে আসে ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল'। বাংলাদেশের খেপুপাড়া এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মাঝে আছড়ে পড়ে সেই সাইক্লোন। গতিবেগ পৌঁছেছিল ১৩৫ কিলোমিটারে। ঝড়ের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি হয় দক্ষিণবঙ্গে। উত্তাল হয় সমুদ্র।  ক্ষয়ক্ষতি: রেমালের প্রভাবে বেশি ক্ষতি হয়েছিল বাংলাদেশে। তবে রেহাই পায়নি বাংলাও। কোথাও গাছ পড়ে, কোথাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয় সেই ঝড়ে। এছাড়াও প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হয়। মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করে রাজ্য সরকার।

মে, ২০২৪: আমফানের পথ ধরেই এগিয়ে আসে ঘূর্ণিঝড় 'রেমাল'। বাংলাদেশের খেপুপাড়া এবং পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপের মাঝে আছড়ে পড়ে সেই সাইক্লোন। গতিবেগ পৌঁছেছিল ১৩৫ কিলোমিটারে। ঝড়ের প্রভাবে প্রবল বৃষ্টি হয় দক্ষিণবঙ্গে। উত্তাল হয় সমুদ্র। ক্ষয়ক্ষতি: রেমালের প্রভাবে বেশি ক্ষতি হয়েছিল বাংলাদেশে। তবে রেহাই পায়নি বাংলাও। কোথাও গাছ পড়ে, কোথাও বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে অন্তত ৬ জনের মৃত্যু হয় সেই ঝড়ে। এছাড়াও প্রবল ক্ষয়ক্ষতি হয়। মৃতদের পরিবারকে আর্থিক সাহায্য করে রাজ্য সরকার।

9 / 9
Follow Us: