কলকাতা: শনিবার রাত সাড়ে আটটা। ১০ দফা দাবি নিয়ে পদক্ষেপের জন্য রাজ্য সরকারকে দেওয়া ২৪ ঘণ্টা সময়সীমা শেষ। ঘোষণা মতো, আমরণ অনশনে বসার কথা জানালেন জুনিয়র ডাক্তাররা। ধর্মতলায় ধরনামঞ্চে অনশনে বসলেন ৬ জুনিয়র ডাক্তার। কিন্তু, তার মধ্যে আরজি করের কেউ নেই। কেন? উঠল প্রশ্ন। সেই প্রশ্নের জবাব দিয়ে রবিবার আমরণ অনশনে যোগ দিলেন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো।
শনিবার যে ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার আমরণ অনশন শুরু করেন, তার মধ্যে স্নিগ্ধা হাজরা, তনয়া পাঁজা এবং অনুষ্টুপ মুখোপাধ্যায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের জুনিয়র ডাক্তার। অর্ণব মুখোপাধ্যায় এসএসকেএমের জুনিয়র ডাক্তার। পুলস্ত্য আচার্য এনআরএস মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার। আর সায়ন্তনী ঘোষ হাজরা কেপিসি মেডিক্যাল কলেজের জুনিয়র ডাক্তার। শনিবার এই ৬ জন জুনিয়র ডাক্তার আমরণ অনশনে বসার পর প্রশ্ন উঠে, অনশনে আরজি করের কেউ নেই কেন?
রবিবার অনশন মঞ্চ থেকে তারই জবাব দিলেন অনিকেত মাহাতো, দেবাশিস হালদাররা। জুনিয়র ডাক্তার দেবাশিস হালদার বলেন, “এই অনশনে আরজি কর সামিল নেই কেন, এই প্রশ্ন উঠেছে। কলেজ ভিত্তিক লড়াইয়ে আরজি কর ব্যস্ত ছিল। থ্রেট কালচারের মাথাদের শাস্তি দেওয়ার লড়াইয়ে বিগত কয়েকদিন আরজি করের জুনিয়র ডাক্তাররা ব্যস্ত ছিলেন। সেই লড়াইয়ে আমরা আংশিক জয় ছিনিয়ে আনতে পেরেছি। শনিবার আমরণ অনশন শুরুর সময় সেই কারণে আরজি করের জুনিয়র ডাক্তাররা অনশনে যোগ দেওয়ার জায়গায় ছিলেন না।” দেবাশিস হালদার আরও বলেন, “কেউ কেউ বলছেন, এটা রিলে অনশন। তা নয়, আমাদের সহযোদ্ধারা জীবন বাজি রেখে অনশন শুরু করেছেন।” সুবিচার না মেলা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে বলে তিনি জানান।
অনশনে যোগ দেওয়ার কথা জানিয়ে জুনিয়র ডাক্তার অনিকেত মাহাতো বলেন, “আরজি কর মেডিকেল কলেজের পক্ষ থেকে, ওয়েস্ট বেঙ্গল জুনিয়র ডক্টরস ফ্রন্টের যে দাবি রয়েছে সেই দাবি নিয়ে অনশন মঞ্চে যোগ দিচ্ছি।” শুধু আরজি কর নয়, পশ্চিমবঙ্গে যেখানে যেখানে এমন ঘটনা ঘটছে, সব ঘটনার সুবিচারের দাবি তাঁরা জানাচ্ছেন বলে তিনি মন্তব্য করেন।