Weight loss: লক্ষ্য যখন ওজন কমানো, তখন বিকেল পাঁচটার পর এই ৫ ভুল কিন্তু একেবারেই নয়!
Mistakes: ওজন কমানোর সময় এই কয়েকটি ভুল কিন্তু একেবারেই নয়। কারণ সময়ে না খেলে এবং পরিমিত আহার না করলে ওজন বাড়বেই। তা আপনি যতই শরীর চর্চা করুন না কেন। আর তাই দেখুন যে সব নিয়ম অবশ্যই মেনে চলবেন...
আজ চাইলেই কাল ওজন কমানো ( Weight loss) যায় না। ওজন কমাতে হলে ধৈর্য্যের প্রয়োজন। সেই সঙ্গে মেনে চলতে হবে বেশ কিছু নিয়মও। ওজন কমানো কোনও ম্যাজিক নয় যে জাদুকাঠির ছোঁয়ায় একদিনেই গলে যাবে শরীরের যাবতীয় অতিরিক্ত চর্বি। তবে জীবনযাত্রা যদি নিয়ন্ত্রিত হয়, নিয়মিত যদি ডায়েট মেনে চলেন এবং সেই সঙ্গে এক্সসারসাইজ করেন তাহলেই কিন্তু ওজন থাকবে নিয়ন্ত্রণে।
ব্যালেন্সড ডায়েট (balanced diet) ভীষণই জরুরি। লোভ সংবরণ করতে হবে। সারাদিন ওটস-মুজলি খেয়ে দিনের শেষে একপ্লেট চিকেন কাবাব খেলে কিন্তু কোনও লাভ হবে না। আজকাল বেশির ভাগ মানুষই বাড়ি থেকে কাজ করছেন। এছাড়াও যাঁদের অফিস যেতে হয় তাঁদেরও কিন্তু প্রায় ৯ ঘন্টা বসে কাজ করতে হয়। বসে থাকলে ওজন বাড়ে এরকম ধারণা অনেকেরই রয়েছে। কিন্তু পুষ্টিবিদরা জানাচ্ছেন এই তথ্য ঠিক নয়। ডায়েট করলেও আমরা এমন কিছু ভুল করি যার জন্য ওজন কমতে চায় না, বরং বেড়ে যায়। আর তাই ডায়েট শুরুর আগে জেনে নিন কোন কোন ভুল এড়িয়ে চলবেন
ডিনারে অতিরিক্ত কিছু খাবেন না
পঞ্চব্যাঞ্জনে সাজিয়ে রাতের খাবার খাবেন না। এই খাবার যত কম এবং হালকা হয় ততই ভাল। আর এতে হজমেও অনেক সুবিধা হয়। গ্যাস অম্বল হয় না। রাতের বেলা খাবার জন্য আদর্শ হল এক বাটি স্যিপ। এছাড়াও রুটি খেলে ২ টো খান। ডিনারে প্রোটিন রাখুন, সবজি রাখুন এক বাটি। স্টার্চ কিংবা ফ্যাট যতটা এড়িয়ে যেতে পারবেন ততই ভাল।
অতিরিক্ত মশলাদার খাবার কিন্তু রাতে নয়
পিৎজা, বার্গার, রোল কিংবা মালাই চিকেন- এসব কিন্তু ডিনারে না রাখাই ভাল। এতে হজমে যেমন অসুবিধে হয় তেমনই কিন্তু পেটের সমস্যার সম্ভাবনা থাকে। পেটের সমস্যা থাকলে কখনই ওজন কমে না। তাই খাবারের দিকে খেয়াল রাখুন।
খাওয়ার পর কোনও মিষ্টি নয়
রাতে খাবার শেষ করে ঘুমোতে যাওয়ার আগে বেশির ভাগেরই মিষ্টির জন্য ক্রেভিং হয়। আর তখন লোভে পড়ে চকোলেট, মিষ্টি, আইসক্রিম, কোল্ডড্রিংক অনেকেই খেয়ে ফেলেন। অনেকে আবার ডিনারের জন্য আলাদা করে ডেজার্ট বানিয়ে রাখেন। এই অভ্যাস আগেই বাদ দিতে হবে। শেষপাতে মিষ্টি কিন্তু একেবারেই নয়। যতই ইচ্ছে হোক না কেন।
সময়ে ঘুমোতে যান
প্রতিদিন রাতে যেমন ৯ টার মধ্যে খেয়ে ফেলার চেষ্টা করবেন তেমমনই কিন্তু সময়ে ঘুমোতে হবে। ঘুমের জন্য নির্দিষ্ট একটা সময় রাখুন। ধরা যাক, রাতে আপনি ১২ টায় ঘুমোন। আর প্রতিদিন এই সময় মেনে চলার অভ্যাস করুন। ১২ টার থেকে দেরি হলে ১২.৩০ হতে পারে কিন্তু কোনও ভাবেই তা যেন ১ টা পেরিয়ে না যায়। এছাড়াও ডিনারের সময় অবশ্যই মেনে চলুন। মনে রাখবেন রাতের খাবার খেতে যত দেরি হবে ততই কিন্তু ওজন বাড়ার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে।
পরদিন অতিরিক্ত খাবার নয়
রাতে কম খেয়েছেন বলে পরদিন ব্রেকফাস্ট কিংবা লাঞ্চে অতিরিক্ত খাবার খাবেন এরকমটা কিন্তু নয়। খাবার সব সময় পরিমিত খান। মেপে খান। রাতের খাবারের পর ব্রেকফাস্টের মধ্যে মোটামুটি ১১ থেকে ১২ ঘন্টার বিরতি থাকে। আর তাই ব্রেকফাস্ট ভাল করে করুন। হেলদি খাবার খান। ফল, ফলের রস, ওটস এসব রাখার চেষ্টা করুন। লাঞ্চও সারুন সময়ের মধ্যেই।
আরও পড়ুন: Anemia: রক্তাল্পতার সমস্যায় ভুগছেন? তাহলে তালিকায় অবশ্যই রাখুন এই ৫ খাবার