পিরিয়ডের সমস্যায় এখন অনেকেই ভুগছেন। পিসিওডির সমস্যা তো ছিলই সেই সঙ্গে সিস্ট, এন্ডোমেট্রিয়োসিসের সমস্যা তো থাকেই। এর নেপথ্য কারণ আমাদের জীবনযাত্রা। রোজকার জীবনযাত্রায় এত চাপের ফলেই হরমোনের ক্ষরণ ঠিকমতো হচ্ছে না। হরমোনের অসঙ্গতি হলে সেখান থেকে পিরিয়ডসের সমস্যা আসে। অনিয়মিত পিরিয়ডের সমস্যা এখন প্রায় ৮০ শতাংশ মেয়ের ক্ষেত্রেই। কারোর ক্ষেত্রে অতিরিক্ত ওজন, থাইরয়েড আবার কারোর ক্ষেত্রে সিস্ট থেকেই অনিয়মিত রক্তক্ষরণ হয়।
ঋতুস্রাব একটি প্রাকৃতিক প্রক্রিয়া। এই গড় চক্র মূলত ২৮ দিনের হয়। অনেকের ক্ষেত্রে ২৬-৩২ দিন পর্যন্তও কিন্তু হতে পারে। কিন্তু অনেকেই অলিগোমেনোরিয়াতে ভোগেন। তবে প্রতি মাসে এই দিনক্ষণ পরিবর্তিত হতে পারে। যাদের অনিয়মিত পিরিয়ড হয় তাদের ক্ষেত্রে ৩৫দিনের মাসিক চক্র হয়। যদিও আজকাল পিরিয়ড ট্র্যাকার অ্যাপ রয়েছে। প্রত্যাশিত তারিখের থেকে ১০ দিন দেরী হলেই লেট পিরিয়ড বা অনিয়মিত পিরিয়ড।
সমস্যা হলে ফেলে রাখবেন না। চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করুন। প্রয়োজনীয় ওষুধ খান। ওষুধ খেলে যে শরীরের ক্ষতি হবে এমন কিন্তু নয়। সঙ্গে নিয়ম মেনে খাওয়া দাওয়া, শরীরচর্চা, ওজন কমানো এসব ভীষণ জরুরি। সঙ্গে আরও যা কিছু অবশ্যই খেতে পারেন-
রোজকার ডায়েটে অবশ্যই পেঁপে রাখবেন। পাকা পেণপে হোক বা কাঁচা পেঁপে যে কোনও একটা রোজ খান। কাঁচা পেঁপেও শরীরের জন্য খুব উপকারী। পেঁপের মধ্যে যে উপকরণ থাকে তা ইউটেরাসের পেশির স্ট্রেচিং-এ সাহায্য করে। ফলে পিরিয়ডসের সময়কার টিস্যু এবং ব্লাড সহজেই বেরিয়ে আসে।
রোজ সকালে দারচিনি গুঁড়ো করে গরম জলে ফুটিয়ে ছেঁকে খেতে পারলে খুবই ভাল। এছাড়াও দারচিনি, তুলসিপাতা দিয়ে চা-ও বানিয়ে নিতে পারেন। এতে ডায়াবেটিস থাকবে নিয়ন্ত্রণে। এছাড়াও কাঁচা হলুদ, গোলমরিচ, দারচিনি, লবঙ্গ, আদা একসঙ্গে ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়েও চা বানিয়ে খেতে পারেন।
আদা শরীরের জন্য খুবই ভাল। আমার মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন সি। আছে ম্যাগনেশিয়াম, যা হজমেও ভীষণ সাহায্য করে। আদার মধ্যে উপকারী এই সব উপাদানের জন্যই তা ইউটেরাসের সঙ্গে সরাসরি সংযোগ স্থাপন করে। এর ফলে পিরিয়ডস তাড়াতাড়ি হয়।