রুটির সঙ্গে কী তরকারি হবে এই নিয়ে ভাবতে বসলেই মাথা খারাপ হওয়ার জোগাড়। কারণ রোজ রোজ একই রকম তরকারি খেতে একেবারেই ভাল লাগে না। আর তাই রইল একটি দারুণ রেসিপির খোঁজ। বাজার করুন, রাঁধুন আর খান।
গোল গোল বেগুন নিতে হবে। মাঝে একটা টুকরো করে কেটে নিন। এভাবে মোট দুটো বেগুন নিলেই হবে। কচি দেখে বেগুন নিলে দানা কম হবে।
কড়াইতে তেল দিয়ে বেগুন প্রথমে ভেজে নিতে হবে লাল করে। বেশি করে তেল দিয়ে বেগুন ভাজলে খুব কম কম তেল টানে। একথা ভুল যে বেশি তেল দিলেই তেল বেশি খাওয়া হয়।
বেগুনের বোঁটা কাটবেন না। এভাবে লাল লাল করে বেগুন ভেজে তুলে রাখতে হবে। এবার অতিরিক্ত তেলটা পুরোটাই তুলে নিন। কড়াইয়ের গায়ে যেটুকু তেল লেগে থাকে ওতেই বাকি রান্না হয়ে যাবে।
এই রান্নায় বেগুন আর টমেটো সম পরিমাণে লাগে। বড় সাইজের একটা টমেটো নিয়ে ভাল করে কুচি করে নিতে হবে। মানে বড় বড় টুকরো রাখবেন। দেড়টা পেঁয়াজ স্লাইস করে নিন।
এবার কড়াইতে মৌরি দিন হাফ চামচ। এবার ধনে, জিরে, হলুদ এসব হাফ চামচ করে দিয়ে দিন। এবার মশলা ভাজা হলে পেঁয়াজ, লঙ্কা আর স্বাদমতো নুন দিয়ে ভাজতে থাকুন। এই রেসিপিতে পেঁয়াজ বেশি ভাজতে হয় না।
পেঁয়াজ নাড়াচাড়া করে টমেটোর টুকরো গুলো মিশিয়ে নিতে হবে। সব বেশ ভাজাভাজা হবে। এবার বেগুন থেকে ছাল ছাড়িয়ে বাকিটা মিশিয়ে নিতে হবে।
পুরো রান্নাটাই একদম কম আঁচে হবে। বেশ শুকনো সুকনো হয়ে আসলে আর কড়াইতে ধরতে শুরু করলে বুঝবেন অপনার রান্না হয়ে গিয়েছে। এবার তা নামিয়ে নিয়ে পরিবেশন করুন রুটি বা ভাতের সঙ্গে।