ডানকুনির কালীপুরের পূর্বাশা এলাকায় দোতলা বাড়িটা দেখে পথচলতি মানুষদের চোখ আটকে যাচ্ছে। আর সেটাই স্বাভাবিক। পুরো বাড়ি জুড়ে লাল-হলুদ রং। ভেতরটাও তাই। জানলা-দরজা, জলের ট্যাংক, এমনকি বাড়ির পর্দাও লাল-হলুদ। বাড়ির দেওয়ালে শোভা পাচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের লোগো। আর বাড়ির বাইরে সামনে লেখা--- ‘হৃদয় জুড়ে শুধুই ইস্টবেঙ্গল’। বাইচুং ভুটিয়া, ইলিশ মাছ, গর্বের আশিয়ান কাপ সবকিছুর ছাপও রয়েছে বাড়ির সাজসজ্জায়। মশালব্রিগেডের প্রতি ভালোবাসা থেকেই তপন ভৌমিক ও তার ছেলে তন্ময় ভৌমিক লাল-হলুদে বাড়ি রাঙিয়ে ফেলেছেন।
1 / 5
মনে প্রাণে লাল-হলুদ সমর্থক তন্ময় ভৌমিক এবং তার বাবা তপন কুমার ভৌমিক। তিনি পেশায় রেলকর্মী। তাদের এই নজরকাড়া লাল-হলুদ বাড়ির গৃহপ্রবেশে ফিতে কেটে ও নারকেল ফাটিয়ে উদ্বোধন করেছিলেন ইস্টবেঙ্গলের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌমিক দে ও পেন ওরজি। সেই দিন সৌমিক দে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের হয়ে খেলা ২৯ নম্বার ইস্টবেঙ্গল জার্সিটিও তুলে দেন তন্ময়ের হাতে।
2 / 5
তন্ময় একটি বেসরকারি মোবাইল সংস্থায় কাজ করেন। বাবা-ছেলে ইস্টবেঙ্গল অন্ত প্রাণ। বিশেষ করে তন্ময়। কলকাতায় মাঠে গিয়ে প্রিয় দলের প্রতিটা ম্যাচ দেখার চেষ্টা করেন তন্ময়। কলকাতা ছাড়াও দেশের অন্য কোনও জায়গায় প্রিয় দল খেলতে গেলেও, সুযোগ পেলেই সেখানেও যান তন্ময়।
3 / 5
ইস্টবেঙ্গলের পুরোদস্তুর সমর্থক তপন ও তার ছেলে তন্ময় তাদের পুরো বাড়ি জুড়ে লাল-হলুদ রং করিয়েছেন। তাদের বাড়ির যেখানেই চোখ যাবে ইস্টবেঙ্গলের আভাস পাওয়া যাবে। জানলা, দরজা থেকে শুরু করে জলের ট্যাংক সব কিছুতেই লাল-হলুদ রং।
4 / 5
এ তো গেল বাড়ির বাইরের কথা। বাড়ির ভিতরে জানলার পর্দাও লাল-হলুদ। আলমারিতেও ইস্টবেঙ্গলের লোগে। বাড়ির দেওয়ালেও রয়েছে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের লোগো। আর ভালোবাসার এই নিদর্শন আরও ফুটে উঠেছে, বাড়ির সামনে লেখা--- ‘হৃদয় জুড়ে শুধুই ইস্টবেঙ্গল’, এই থেকে। ভারতীয় ক্রিকেটের মহাতারকা বাইচুং ভুটিয়ার নজরকাড়া ছবি রয়েছে বাড়ির দেওয়ালে। ইলিশ মাছ, গর্বের আশিয়ান কাপও আঁকা রয়েছে ওই বাড়ির সাজসজ্জায়।
