রোদ-গরমে বাড়ছে ক্লান্তিও। বাইরের গরমে তেতেপুড়ে অফিসে ঢোকার পর এসির মারাত্মক ঠান্ডা। আর এই ঠান্ডা গরমেই সমস্যা হচ্ছে সবচাইতে বেশি।
মাথা ব্যথা করছে, মাথা ধরে থাকছে। সেই সঙ্গে সর্দি-কাশি তো হচ্ছেই। তবে এসব ছাড়াও কি সারাদিন ঝিমিয়ে থাকছেন? কোনও ভাবেই দূর হচ্ছে না ক্লান্তি? তাহলে কিন্তু চিন্তার বিষয়।
অতিরিক্ত ক্লান্তির নেপথ্যে একাধিক কারণ থাকতে পারে। জটিল কোনও রোগ সমস্যার ইঙ্গিত দেয় ক্লান্তি। আবার ডিপ্রেশনে থাকলে বা কোনও মানসিক সমস্যার মধ্যে থাকলেও সারাদিন মাথা ভার হয়ে থাকে।
ডায়াবেটিস, কিডনির কোনও সমস্যা থাকলে, অ্যানিমিয়া হলে, শরীরে কোনও সংক্রমণ থাকলে, থাইরয়েড, পিসিওডি-র সমস্যা থাকলেও কিন্তু সেখান থেকে ঘুম খুব কম হয়। সারাদিন শরীর ক্লান্ত, মেজাজ খিটখিটে হয়ে থাকে।
কোনও কারণে মন যদি অশান্ত থাকে, চিন্তা থাকে সারাদিনএই রকম একটা ক্লান্তি লেগেই থাকে। এছাড়াও কোনও কারণে বিষণ্ণতা, অবসাদের মধ্যে থাকলেও সারাদিন ঘুম পায়। কিছুতেই ক্লান্তি দূর হয় না।
আজকাল সবার জীবনেই কাজের চাপ মারাত্মক। টানা ১০ ঘন্টা থেকে ১২ ঘন্টা অনেককেই কাজ করতে হয়। আর এতে শরীরে ক্লান্তি লেগে থাকে। ঘুম ঠিক মতো হয় না। দিনের পর দিন এই সমস্যা চলতে থাকলে কিন্তু খুব মুশকিল।
শরীরে থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতি হলেও এমনটা হয়। যখন পরিমাণের তুলনায় কম থাইরয়েড হরমোন উৎপন্ন হয় তখন শরীরে ক্লান্তি, ঘুম ঘুম ভাব, বিরক্তি এসব লেগে থাকে। ঘুম ঠিক ভাবে হয় না, আর ঘুমোলেও নানা অস্বস্তি থাকে।
শরীরে জলের অভাবেও এরকমটা হয়। গরমের দিনে শরীরে জলের চাহিদা এমনিই বেশি থাকে। তাই পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতেই হবে। পাশাপাশি ফল, ফলের রস, ডাবের জল এসবও রোজ খান। একটা করে ডাব খেলে শরীরে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের মধ্যে ভারসাম্য বজায় থাকে।