পেঁয়াজের রসে অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য রয়েছে। এটি চুলের বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। পেঁয়াজ হল সালফারের একটি বড় উৎস। এই সালফার চুলের প্রোটিন কেরাটিনের অন্যতম প্রধান উপাদান। চুলে পুষ্টি জোগাতে এবং চুলের গোড়া মজবুত করতে সাহায্য করে পেঁয়াজের রস।
চুলের স্বাভাবিক বৃদ্ধি বিকাশে সাহায্য করে ক্যাস্টর অয়েল। ক্যাস্টর অয়েলের মধ্যে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, প্রোটিন, ভিটামিন এবং ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এটি উপাদানগুলো স্ক্যাল্পে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। এতে চুলের ফলিকল মজবুত হয় এবং সহজে চুল ঝরে যায় না।
মেথির বীজের মধ্যে প্রোটিন, আয়রন এবং নিকোটিনিক অ্যাসিড রয়েছে যা মজবুত চুল গঠনে সাহায্য করে। পাশাপাশি এই উপাদানটি চুলের ফলিকল পুনর্গঠনে সহায়তা করে। মেথির তেল তৈরি করে নিয়মিত ব্যবহার করতে পারেন। এতে চুলের আর্দ্রতাও বজায় থাকবে।
অ্যালোভেরা জেল চুলের জন্য উপকারী। খুশকির সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে। যাঁদের স্ক্যাল্প অতিরিক্ত তৈলাক্ত তাঁরা নিয়মিত অ্যালোভেরার জেল ব্যবহার করতে পারেন। চুল পড়ার সমস্যা যদি পিছু না ছাড়ে তাহলে আজ থেকেই অ্যালোভেরা জেল ব্যবহার করা শুরু করুন।
চুলের যত্নে নারকেল তেলের বিকল্প নেই। চুলের ধরন যেমনই হোক না কেন নারকেল তেলের জুড়ি মেলা ভার। নারকেল তেলের মধ্যে ফ্যাটি অ্যাসিড ও প্রোটিন রয়েছে যা স্বাস্থ্যকর চুল গঠনে সাহায্য করে। প্রয়োজনে আপনি হেয়ার মাস্কে নারকেল তেল মিশিয়েও ব্যবহার করতে পারেন।
অনেকেই হয়তো জানেন না, ডিম চুলের জন্য দারুণ উপকারী। ডিমের মধ্যে থাকা প্রোটিন, মিনারেল, বায়োটিনের মতো ভিটামিন বি কমপ্লেক্স স্বাস্থ্যকর চুল গঠনে বিশেষ ভূমিকা পালন করে। ডিমের হেয়ার মাস্ক তৈরি করে ব্যবহার করুন। এটি চুলের ভলিউম ও গঠন উন্নত করে।