শরীর সুস্থ রাখতে গেলে প্রথমেই লিভারের দিকে নজর দিতে হবে। অনিয়মিত খাওয়া দাওয়া, অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খাওয়া এবং জাঙ্ক ফুড খেলে সেখান থেকেই লিভারের সমস্যা হয় সবচাইতে বেশি। ওষুধ থেকে খাবার সব কিছু হজম হয় লিভারের মাধ্যমেই। আর তাই লিভার কোনও কারণে বিগড়ে গেলে সমস্যায় পড়তে হয় নিজেদেরকেই।
তবে আজকাল লিভারের অসুখ আগের তুলনায় অনেকখানি বেড়েছে। এর নেপথ্যে অন্যতম কারণ হল আমাদের জীবনযাত্রা এবং খাদ্যাভ্যাস। এছাড়াও ওবেসিটি, ডায়াবেটিস এবং উচ্চরক্তচাপের সমস্যা থাকলে তাঁদেরও লিভার বিষয়ে সচেতন থাকা উচিত।
লিভার আমাদের শরীরকে ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে। সেই সঙ্গে গ্লুকোজ তৈরি করতেও সাহায্য করে। অর্থাৎ খাবারের মাধ্যমে যে কার্বোহাইড্রেট শোষিত হয় তাই ভেঙে তৈরি হয় গ্লুকোজ। একই সঙ্গে কোলেস্টেরল যাতে মাত্রার মধ্যে থাকে সেই দিকেও নজর দিতে হবে।
তাই যে কোনও রকম জাঙ্ক ফুড, অ্যালকোহল, ঠাণ্ডা পানীয় থেকে দূরে থাকতে হবে। অতিরিক্ত ক্যালোরির খাবার খেলে শরীরে বেশি ফ্যাট জমা হয়। এছাড়াও কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থেকে যায়। একই সঙ্গে ফ্যাটি লিভারের সমস্যাও দেখা দিতে পারে।
লিভারে অতিরিক্ত চর্বি জমতে থাকলে সেখান থেকে পরবর্তীতে সিরোসিস অফ লিভার হতে পারে। এতে লিভারের উপর খারাপ প্রভাব পড়ে। আর অতিরিক্ত অ্যালকোহল খেলে সেখান থেকে স্থূলতার সমস্যাও আসে।
আজকাল অনেকেই জিম করেন বলে প্রোটচিন সাপ্লিমেন্ট খান। এই সব সাপ্লিমেন্টও শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। দীর্ঘদিন ধরে খেলে শরীরের উপর প্রভাব পড়ে।
অতিরিক্ত পেইনকিলারল খাওয়া ঠিক নয়। এতে লিভারের উপর প্রভাব পড়ে। তাই Combiflam, Brufen, Voveren এর মতো ওষুধের অতিরিক্ত ব্যবহার এড়িয়ে চলুন। এছাড়াও অ্যান্টিবায়োটিকের ব্যবহার সীমিত করুন। স্টেরয়েডের অতিরিক্ত ব্যবহার লিভার, হার্ট এবং কিডনিরও ক্ষতি করে। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনো ধরনের স্টেরয়েড ক্রিম বা ইনজেকশন ব্যবহার করবেন না।