আপাতত বৃষ্টির কোনও সুখবর শোনাতে পারেনি হাওয়া অফিস। গরমের এমন দাপট চলবে বেশকিছুদিন। সেই সঙ্গে গরম হাওয়া, ঘাম, আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি সবই থাকবে।
দিনের পর দিন অসহনীয় হয়ে উঠছে গরম। সকাল থেকে রোদের যা তেজ তাতে বেরনো মুশকিল। এদিকে কাজ থেমে নেই। গরমে, ঘামে শত কষ্ট হলেও কাজে যেতে হবে।
গরম বলে রোদ এড়াতে বাড়িতেও বসে থাকলে চলবে না। রোদ থেকে অধিকাংশ মানুষই সরাসরি এসি ঘরে ঢোকেন। এতে কষ্ট আরও বেশি। ঠান্ডা লাগা, গলা বসে যাওয়া, সর্দির পাশাপাশি মুখেও নুনের স্তর পড়ে যায়।
এই সময় তাই সানস্ক্রিন ছাড়া বাড়ির বাইরে বেরনো ঠিক নয়। সব থেকে ভাল যদি জেল বেস সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন।
রোজ যদি বাইরে বেরোতে হয় তালে সানস্কিনের পরিবর্তে লেবু, মধু আর কাঁচা হলুদ মিশিয়ে ব্যবহার করুন। এছাড়াও কাজে লাগাতে পারেন কস্তূরী হলুদ। এতে যেমন কাজ হবে তেমনই ট্যানও উঠবে।
ট্যান তুলতে খুব ভাল কাজ করে টমেটো। টমেটোর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। টকদই আর টমেটোর ক্কাথ একসঙ্গে মিশিয়ে মুখে লাগালে খুব ভাল কাজ হয়। ট্যানও উঠে যায় অল্প সময়ের মধ্যেই।
রোজ রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে চন্দন আর গোলাপ জল একসঙ্গে মিশিয়েও মুখে লাগাতে পারেন। এতে মুখে দাগ ছোপ থাকবে না। সেই সঙ্গে ফিরবে মুখের জেল্লাও। এই প্রলেপ মুখে লাগালে একটা ঠাণ্ডা ভাবও থাকে।
সানট্যান দুলতে দারুণ কাজ করে পেঁপে। পাকা পেঁপের সঙ্গে সামান্য লোবুর রস আর মধু মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে মুখে মাখুন। এতে ট্যান উঠবে, মুখের কালো দাগ-ছোপও সহজে মিলিয়ে যাবে। প্যাক মুখে লাগিয়ে অন্তত ২৫ মিনিট রাখতে হবে।