খাবার আমাদের বেঁচে থাকার প্রাণশক্তি। আর তাই খাবার যেমন বুঝে খেতে হবে তেমনই সেই খাবার যাতে বিশুদ্ধ হয় সেই দিকেও নজর দেওয়া প্রয়োজন।
আজকাল সবজি বেশিদিন ফ্রেশ রাখতে তাতে কীটনাশক স্প্রে করা হয়। আর এই সব স্প্রে শরীরের জন্য একেবারেই ভাল নয়। কীটনাশক শরীরে গেলে বিষক্রিয়ার সম্ভাবনা থাকে। পেট-হজমের সমস্যা তো লেগেই থাকে।
সবচেয়ে বেশি কীটনাশক স্প্রে করা হয় শসা, পটলের মত সব্জিতে। সব্জি আর ফল রোজই খাওয়া হয় সব বাড়িতে। তাই এই ব্যাপারে সচেতন থাকা প্রয়োজন। বাজার থেকে সবজি এনে তা সরাসরি ফ্রিজে ভরলে হবে না।
এছাড়াও রান্না করার আগে সবজি ভাল করে ধুয়ে নিতে হবে। ফল, সবজি ভাল করে ধোওয়া হয় না বলেই বাইরের খাবার এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়।
বাজার থেকে ফল ও শাক-সবজি কিনে আনার পর রেখে না দিয়ে সাথে সাথে তা কলের জলে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে। এতে ফরমালিন বা কীটনাশক ও রাসায়নিক অনেকটাই দূর হবে। জল একদম ফোর্সে খুলে রাখতে হবে।
এছাড়াও একটা বড় বালতি জলে নুন ফেলে রাখুন। এরমধ্যে সবজি চুবিয়ে ধরে জল ঝারিয়ে শুকনো করে নিন। তারপর এই সবজি ফ্রিজে ভরুন। অন্তত ১৫ মিনিট দুবিয়ে রাখবেন। গবেষণায় দেখা গিয়েছে এভাবে ডুবিয়ে রাখলে রাখলে ফল ও সবজি থেকে ক্লোরপাইরিফোস, ডিডিটি, সাইপারমেথরিন ও ক্লোরোথালোনিল নামক কীটনাশক দূর করা যায়।
একবালতি জলে বেকিং সোডা গুলে তার মধ্যে বাজার থেকে কেনা আপেল ডুবিয়ে রাখুন। আপেলের মধ্যে তাকা সব ময়লা দূর তো হবেই আর আপেল থাকবে তরতাজা। ফ্রিজের বাইরেও তা অনেকদিন পর্যন্ত ভাল থাকবে।
যে কোনও সবজিই রান্না করার আগে ১৫ মিনিট নুন জলে ভিজিয়ে রাখতে পারলে খুব ভাল। এতে যাবতীয় কীটনাশক দূর করা যায়। সেই সঙ্গে সবজি তাড়াতাড়ি রান্না হয়। কোনও রকম সংক্রমণের সম্ভাবনাও কিন্তু থাকে না।