সময় এগিয়েছে। বদলেছে যুগ। তবুও প্রকাশ্যে পিরিয়ডস বা মাসিক নিয়ে কথা বলতেই অনেকেই একটু কুন্ঠিত বোধ করেন। ওষুদের দোকান থেকে স্যানিটারি ন্যাপকিন এখনও লুকিয়ে কালো প্লাস্টিক কিংবা কাগজে মুড়ে বিক্রি করা হয়। বাচ্চাদের সামনে টিভিতে বসে স্যানিটারি ন্যাপকিনের বিজ্ঞাপন দেখতে অভিভাবকেরা যারপরনাই কুন্ঠা বোধ করেন। এদিকে তাঁরাই কিন্তু আধুনুকতা এবং মানসিকতা নিয়ে গলা ফাটান। সম্প্রতি বেশ কিছু সংস্থায় অনুমোদন পেয়েছে মেয়েদের পিরিয়ডসকালীন ছুটি। যদিও অধিকাংশ সংস্থাতেই তা নেই। মাসের ওই কয়েকটা দিন শত অসুবিধের পরও মেয়েরা কিন্তু তাঁদের কর্মে কোনও রকম গাফিলতি করেন না। এমনকী মুখ ফুটে সমস্যার কথাও বলতে পারেন না। বরং অনেকেই তা চেপে যান। সেই সঙ্গে মেনে চলেন না সাধারণ কিছু নিয়মও।
প্রতি ৬ ঘন্টা অন্তর ন্যাপকিন বদলে নেওয়া খুবই জরুরি। এবং তা শুধুমাত্র নিজের জন্যই। ন্যাপকিন বেশিক্ষণ শরীরে রাখলেই সেখান থেকে নানা সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে। অফিসে গেলে কিংবা বাইরে ট্রাভেল করলেও সঙ্গে কিন্তু ন্যাপকিন রাখতে ভুলবেন না। প্রয়োজনে সঙ্গে ট্যাম্পুন রাখতে পারেন।
ন্যাপকিন কিন্তু যেখানে সেখানে ফেলবেন না। এর থেকে সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকে যায়। ডিসপোজেবল ব্যাগ কিংবা পেপারে মুড়ে ন্যাপকিন ফেলুন। ন্যাপকিন একেবারেই পরিবেশ বান্ধব নয়। আর তাই ফেলার পর ন্যাপকিন কিন্তু পুড়িয়ে দিতেও ভুলবেন না।
একসঙ্গে একটাই প্যাড ব্যবহার করুন। এমন অনেকেই আছেন যাঁরা হেভি ফ্লো আটকাতে দুটো করে ন্যাপকিন পরে থাকেন। এই পন্থা কিন্তু একেবারেই বিজ্ঞানসম্মত নয়। একে ভ্যাজাইনার আশপাশে সংক্রমণের সম্ভাবনা থাকে।
ভ্যাজাইনা ও তার আশপাশ সব সময়েই পরিষ্কার রাখা উচিত, পিরিয়ডের সময় তো বিশেষ খেয়াল রাখাটা মাস্ট! ঈষদুষ্ণ জল আর লিকুইড সাবান দিয়ে জায়গাটা পরিষ্কার করুন নিয়মিত। বাজারে সকলের ব্যবহারের উপযোগী ভ্যাজাইনাল ওয়াশও পাওয়া যায়, তেমন কিছুও ব্যবহার করতে পারেন। তবে মনে রাখবেন, ভ্যাজাইনা সাধারণত নিজেই নিজেকে পরিষ্কার রাখতে পারে, অতিরিক্ত প্রডাক্ট ব্যবহার করার কোনও দরকার সেই অর্থে নেই। পিউবিক হেয়ার নিয়মিত ট্রিম করা আবশ্যক।