TMC-BJP: ঘুমানোর সময় TMC নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, অল্পের জন্য রক্ষা হল প্রাণ

TMC-BJP: জানা গিয়েছে,মহিষকুচি -২ তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির চেয়ারম্যান তথা তুফানগঞ্জ-২ ব্লক তৃণমূল সভানেত্রী চৈতি বর্মণ বড়ুয়ার ছেলে নিহার বড়ুয়া। সপ্তাহের বেশিরভাগ সময়ে নিজের ক্রেসার মিলেই থাকেন তিনি। অভিযোগ, বুধবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ সাবল দিয়ে ভাঙা হয় শোয়ার ঘরের দরজা।

TMC-BJP: ঘুমানোর সময় TMC নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি, অল্পের জন্য রক্ষা হল প্রাণ
নিহার বর্মণ, তৃণমূল নেতাImage Credit source: Tv9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 14, 2024 | 12:12 PM

তুফানগঞ্জ: বুধবার ভাটপাড়া গুলি করে এক তৃণমূল নেতাকে খুনের অভিযোগ ওঠে। একদিন যেতে না যেতেই ফের গুলি চালানোর অভিযোগ উঠল। এবারের ঘটনাস্থল কোচবিহারের তুফানগঞ্জের ২ ব্লকের মহিষকুটচি ২ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের টাকোয়ামারির ঘটনা। সেখানে তৃণমূল নেতা ভেবে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটেছে। তবে গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পান তৃণমূল নেতার আত্মীয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে গুলির খোল উদ্ধার করেছে বক্সিরহাট থানার পুলিশ। ঘটনা প্রকাশ্যে আসতেই রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। তৃণমূলের অভিযোগ,গত লোকসভা ভোটে মহিষকুচি -২ গ্রাম পঞ্চায়েতে ব্যাপকভাবে জয়ী হয়েছে তৃণমূল। সাংগঠনিক শক্তি দুর্বল করতেই ওই হামলা বলে অভিযোগ। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি।

জানা গিয়েছে,মহিষকুচি -২ তৃণমূলের অঞ্চল কমিটির চেয়ারম্যান তথা তুফানগঞ্জ-২ ব্লক তৃণমূল সভানেত্রী চৈতি বর্মণ বড়ুয়ার ছেলে নিহার বড়ুয়া। সপ্তাহের বেশিরভাগ সময়ে নিজের ক্রেসার মিলেই থাকেন তিনি। অভিযোগ, বুধবার রাত সাড়ে বারোটা নাগাদ সাবল দিয়ে ভাঙা হয় শোয়ার ঘরের দরজা। সেই সময়ে ওই ঘরে শুয়ে ছিলেন নিহার আর তাঁর ভাগ্নে। আর তৃণমূল নেতা শুয়ে আছে ভেবেই গুলি চালানো হয় বলে অভিযোগ। ওই সময় কোনও ক্রমে জানালা দিয়ে পালিয়ে প্রাণে বাঁচেন নিহার। গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় তা সিমেন্টের দেয়ালে গিয়ে লাগে। এরপর খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে বক্সিরহাট থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।

এই নিয়ে নিহার বড়ুয়া বলেন, “বেশিরভাগ সময় ঘরে রাতে থাকেন তিনি। গতকাল সন্ধেয় দলীয় কাজকর্ম সেরে কোচবিহারের বাড়িতে ফিরেছিলেন। রাতে খবর পান বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা ওই ঘরের দরজা ভেঙে তাকে ভেবে বিছানায় শুয়ে থাকা তার ভাগ্নেকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। যদিও অল্পের জন্য প্রাণে রক্ষা পায় তার ভাগ্নে।” তাঁর সংযোজন, মহিষকুচি-২ সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী তৃণমূল। তাই তাঁকে মেরে ফেলার উদ্দেশ্যেই গুলি চালানো হয়েছে। তবে এভাবে তৃণমূলকে ভয় দেখিয়ে রোখা যাবে না। দলের জন্য প্রাণ দিতেও প্রস্তুত তিনি। যদিও, তৃণমূলের তোলা অভিযোগ অস্বীকার করেছে বিজেপি। বিজেপির জেলা কমিটির সহ-সভাপতি উৎপল দাস বলেন, “সমস্ত ভিত্তিহীন অভিযোগ।”