North Bengal Medical College: বেহাল চিকিৎসা ব্যবস্থা উত্তরবঙ্গের! ক্ষোভ স্পেশাল অফিসারের গলায়!
North Bengal Medical College News: উত্তরবঙ্গে স্পেশাল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত সুশান্ত রায়। তিনি দাবি করেছেন, কলকাতা থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা উত্তরবঙ্গে আসতে চান না।
শিলিগুড়ি: রাজ্যে এবার ‘ফ্রিল্যান্সার’ চিকিৎসক? এমন খবরই শোনা গেল উত্তরবঙ্গের স্পেশাল অফিসারের গলায়। রাজ্যের চিকিৎসকদের উপরে একরাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে সুশান্ত রায় বলেন,”এ রাজ্যের উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা কলকাতা কেন্দ্রিক।”
উত্তরবঙ্গে স্পেশাল অফিসার হিসেবে নিযুক্ত সুশান্ত রায়। তিনি দাবি করেছেন, কলকাতা থেকে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা উত্তরবঙ্গে আসতে চান না। বদলির নির্দেশ দিলেও তাঁরা প্রয়োজনে চাকরি ছেড়ে দেন। তাই এবার বাধ্য হয়েই শিলিগুড়িতে উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ট্রমা সেন্টার পুরোদমে চালু করতে নিয়োগ করা হবে ফ্রিল্যান্সার চিকিৎসক। পুজোর পর পুরোদমে চালু হবে নিউরো সার্জারি বিভাগ।
সুশান্তবাবু আরও জানান,”উত্তরবঙ্গ মেডিকেল কলেজ স্থাপনের ৫০ বছর পার হয়ে গিয়েছে। কিন্তু এখনও চিকিৎসকের অভাবে আমরা নিউরো সার্জারি বিভাগ চালু করতে পারিনি। আমাদের আক্ষেপ একটাই কলকাতার চিকিৎসকেরা উত্তরবঙ্গে আসতে চান না। বহু বদলির নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে অধিকাংশ চিকিৎসক আসেননি। কেউ কেউ এসে চলে গিয়েছেন। কেউ আবার চাকরি ছেড়ে দিয়েছেন। এখন একজন চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসককে দিয়ে নিউরো সার্জারি বিভাগ চলছে কিন্তু চুক্তিভিত্তিক চিকিৎসকের অধীনে রোগী ভর্তি করা যায় না তাই আমরা ঠিক করেছি পুজোর পর সার্জারি বিভাগের অধীনে রোগী ভর্তি নেওয়ার কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি এই রোগীদের চিকিৎসায় বিভিন্ন বেসরকারি নার্সিংহোমে কাজ করা ফ্রিল্যান্সার চিকিৎসকদের নিয়োগ করা হবে। আজ বেশ কিছু ফ্রিল্যান্সার চিকিৎসকের সঙ্গে আমরা বৈঠক করেছি আমরা আশাবাদী পূজার পর পুরোদমে নিউরো সার্জারি বিভাগ চালু হয়ে যাবে।”
উল্লেখ্য, এর আগে পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি তোলে বিজেপি। সেই সময় স্বাস্থ ব্যবস্থাকে হাতিয়ার করে তারা। বারবার অভিযোগ তোলা হয় উত্তরবঙ্গে ভালো স্বাস্থ্য পরিকাঠামো নেই। মেলে না ভালো চিকিৎসক। কঠীন অসুখে সাধারণ মানুষকে যেতে হয় কলকাতায়। বিজেপি সাংসদ জন বার্লার দাবিকে সমর্থন জানায় শীতলকুচির বিজেপি বিধায়ক বরেন্দ্র চন্দ্র বর্মণ। উত্তরবঙ্গে এত বছরে কোনও উন্নয়ন হয়নি। এখানে একটা ভাল হাসপাতাল নেই। ডাক্তার নেই। চিকিত্সা নেই। একটা ভাল কলেজ তৈরি হয়নি। উত্তরবঙ্গের মানুষ বঞ্চিত। ফলে পৃথক রাজ্য হোক। মানুষের জন্য কাজ হোক।” তাঁর অভিযোগ, বঞ্চনার থেকে রেহাই পেতেই এই দাবিকে সমর্থন।