Rekha Patra: ‘১৩ বছর ধরে রং খেলা দেখিনি’, বিজেপি প্রার্থী রেখার মুখে ‘রংহীন’ সন্দেশখালির কথা

Rekha Patra: রেখা অবশ্য বলেন, "এটা হওয়া স্বাভাবিক। আমি একটা সাধারণ, মূর্খ মহিলা। কেউ মেনে নিতে পারছেন না হয়ত। তাঁরা ভাবতে পারেননি একটা আন্দোলন মুখ হয়ে এরকম একটা জায়গায় পৌঁছে যাবে। তাঁরা বুঝতে পারছেন না তাঁদের সহযোগিতায় আমি এখানে এসেছি। ওঁরা বুঝতে পারলে আমাকে ফেরাতে পারবেন না। ওঁরা তো বাইরের কেউ না, ওঁরা আমার গ্রামেরই বাবা, কাকা, ভাইয়েরা। পরে আমাকে মেনে নেবেন আমি জানি।"

Rekha Patra: '১৩ বছর ধরে রং খেলা দেখিনি', বিজেপি প্রার্থী রেখার মুখে 'রংহীন' সন্দেশখালির কথা
বিজেপি প্রার্থী রেখা পাত্র। Image Credit source: TV9 Bangla
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 25, 2024 | 3:35 PM

সন্দেশখালি: রেখা পাত্রকে বিজেপি বসিরহাটের প্রার্থী করতেই দুই ছবি দেখা গেল সন্দেশখালিতে। একদিকে সিংহ পাড়া, ত্রিমোহিনী বাজার, কর্ণখালিতে যখন পোস্টার, পুকুর পাড়ায় সে সময় উৎসবের মেজাজ। রেখা নিজেও বলছেন, “সন্দেশখালিতে গতকাল রাত থেকেই রং খেলা শুরু হয়ে গিয়েছে। ১৩ বছর ধরে আমি যে হোলি খেলা চোখে দেখতে পাইনি, আজ ভিডিয়ো কলে সেই হোলি খেলা আমাকে দেখানো হচ্ছে।”

কেন এত বছর রং ছিল না সন্দেশখালিতে? বিজেপি প্রার্থী রেখার কথায়, “আমাদের সন্দেশখালির পরিস্থিতিটাই এমন ছিল। কেউ সাহসই পাননি রাস্তায় বেরিয়ে হোলি খেলবেন। মা বোনেদের বুকে সেই সাহসই ছিল না। এই আন্দোলনের পর সেই সাহসটা বেরিয়েছে।”

পুকুরপাড়ায় এদিন সকাল থেকে জোরে সাউন্ড বক্স বাজিয়ে মহিলাদের নাচ গান চলছে। তাঁরা বলছেন, “রেখা পাত্র প্রার্থী হয়েছেন। তাই খুশিতে নাচছি। আমাদের গর্ব যে সন্দেশখালির আন্দোলনকারী মহিলা প্রার্থী হয়েছেন।” তবে সকালে সিংহপাড়ার পর দুপুরে মাঝেরপাড়া, পাত্রপাড়া, সন্দেশখালি চৌমাথা এলাকার আন্দোলনকারীদের একাংশও রেখার বিরুদ্ধে পথে নামেন।

যদিও এ কেন্দ্রে প্রার্থী ঘোষণার পর‌ই আন্দোলনকারীদের একাংশের মধ্যে রেখার প্রার্থী হ‌ওয়া নিয়ে ক্ষোভ রয়েছে। রেখার শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তাঁরা। সেই বিরোধিতার কথা রেখার কানেও পৌঁছেছে। বিরোধিতা প্রসঙ্গে রেখা অবশ্য বলেন, “এটা হওয়া স্বাভাবিক। আমি একটা সাধারণ, মূর্খ মহিলা। কেউ মেনে নিতে পারছেন না হয়ত। তাঁরা ভাবতে পারেননি একটা আন্দোলন মুখ হয়ে এরকম একটা জায়গায় পৌঁছে যাবে। তাঁরা বুঝতে পারছেন না তাঁদের সহযোগিতায় আমি এখানে এসেছি। ওঁরা বুঝতে পারলে আমাকে ফেরাতে পারবেন না। ওঁরা তো বাইরের কেউ না, ওঁরা আমার গ্রামেরই বাবা, কাকা, ভাইয়েরা। পরে আমাকে মেনে নেবেন আমি জানি।”