পূর্ব বর্ধমান: বিস্ফোরণে (Blast) কেঁপে উঠল বর্ধমানের (Burdwan) বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়া। রবিবার এখানেই বোমা ফেটে আহত হন একজন। গোয়াল ঘরের পাশে ওই বোমাটি পড়েছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। কীভাবে একটি বসতবাড়ির গোয়াল ঘরের পাশে বোমা এল, তা ভেবেই পাচ্ছেন না এলাকার লোকজন। স্থানীয়রা চান, ঘটনার যথাযথ তদন্ত হোক। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাহির সর্বমঙ্গলাপাড়ার বাসিন্দা অসীম বিশ্বাস। রবিবার সকালে অসীমবাবু তাঁর ঘর ও ঘরের পাশে গোয়াল ঘর পরিষ্কার করছিলেন। সেই সময়ই বিকট শব্দে বোমাটি ফাটে বলে অভিযোগ উঠেছে। আহত হন অসীম বিশ্বাস। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছয় বর্ধমান থানার পুলিশ (Burdwan Police)। এলাকার লোকজনের মনেও আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়।
ঘটনার পরই বর্ধমান থানার পুলিশ এসে ঘটনাস্থল ঘিরে ফেলে। ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালায় তারা। আর কোথাও কোনও বিস্ফোরক রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হয়। ঘটনাস্থলে যান বম্ব স্কোয়াডের সদস্যরাও। স্থানীয়রা জানান, যে জায়গায় বোমাটি ফেটেছে, বিকেল হলেই দলে দলে এলাকার বাচ্চারা সেখানে খেলতে আসে। সকালের বদলে এই বিস্ফোরণ যদি বিকেলে হত তাহলেই বড় কোনও বিপদ হতে পারত বলে আশঙ্কা স্থানীয়দের। স্থানীয়দের দাবি, পুলিশি পাহারা বসানো হোক পাড়ায়।
প্রসঙ্গত, এক বছর আগেই এই বাহির সর্বমঙ্গলা পাড়া থেকে ১০০ মিটারের মধ্যে রসিকপুরে বোমা ফেটে এক শিশুর মৃত্যু হয়। আরও এক শিশু জখম হয় সেই ঘটনায়। এই ঘটনা ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। রাজনৈতিক তরজাও জোরাল হয়েছিল সেই ঘটনা ঘিরে। এরপর এক বছর পার করে গেলেও কোনও অভিযুক্তই ধরা পড়েনি বলে অভিযোগ। তারই মধ্যে এদিনের ঘটনা।
স্থানীয় বাসিন্দা ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় বলেন, “এখানকার এক রেশন ডিলার কৃষ্ণ বিশ্বাস আমাকে এসে বলে ওদের এক পড়শি বাড়ি পরিষ্কার করছিল হঠাৎই বোমা বিস্ফোরণ হয়। শুনে আমি কিছুটা ভয়ই পেয়ে গিয়েছিলাম। আমি জিজ্ঞাসা করলাম, পুলিশকে জানিয়েছেন কি না। না বলল। আমি বললাম, আগে পুলিশকে জানাতে। পুলিশ এসে যা করার করবে। পুলিশ এসেছে। তদন্ত শুরু হয়েছে। এখানে অনেকদিন ধরেই ফাঁকা জায়গাটা পড়ে রয়েছে। বাচ্চারা খেলে। ভগবানের অশেষ কৃপা যে বড় কোনও বিপদ হয়নি।”
আরও পড়ুন: Newtown Case: জানলার ফাঁকে উঁকি দিতেই যুবককে ভয়ঙ্কর অবস্থায় দেখলেন বৃদ্ধা, ভয়ে গলা শুকিয়ে কাঠ…