বর্ষার সময় বাড়ে যে কোনও রকম সংক্রমণ ও রোগের ঝুঁকি। সবথেকে বেশি হয় পেটের সমস্যা। এই সময় বেশিরভাগেরই বাইরের খাবারের প্রতি ঝোঁক থাকে। এই সময় বিকেলের চায়ের সঙ্গে পকোড়া, সামোসা অনেকেই খান। বলা ভাল এই সব খাবারই বেশি খেতে পছন্দ করেন। বৃষ্টির সঙ্গে বিশেষ যোগ রয়েছে তেলেভাজা আর চায়ের। এভাবে উল্টো পাল্টা খাবার খেতে থাকলে শরীরের ক্ষতি হয়, হজমে সমস্যা হয়। সেই সঙ্গে অধিকাংশ বাড়িতেই এখন কোলেস্টেরল, ডায়াবেটিসের সমস্যা।
বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, বর্ষায় উল্টোপাল্টা খাবারখেলে সবচাইতে বেশি চাপ পড়ে আমাদের লিভারের উপর। যাবতীয় এই চর্বি, ফ্যাট হজমে সাহায্য করে লিভার। এছাড়াও শরীর থেকে টক্সিন দূর করতেও সাহায্য করে লিভার। প্রোটিন উৎপাদন যেমন হয় লিভার থেকে তেমনই আয়রন শোষণেও সাহায্য করে। এর ফলেই বাড়ে আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধক ক্ষমতা।
আর তাই লিভারকে শক্তিশালী রাখতে ঠিক ভাবে খাওয়া-দাওয়া দিতে হবে। সেই সঙ্গে জোর দিতে হবে পানীয়তেও। রোজকার খাবারে রাখুন এই সব উপাদান। এতে লিবার পরিষ্কার হবে প্রাকৃতিক ভাবে। দেখে নিন কী কী বানিয়ে নেবেন-
NCBI-এর সমীক্ষা অনুসারে লিভারের জন্য সবচেয়ে ভালো হল কালোজাম। তাই রোজ একগ্লাস কালোজামের রস খেতে পারলে খুবই ভাল। এর মধ্যে থাকে বিভিন্ন খনিজ, মিনারেল, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং ক্রিপ্টোনাইট। যা আমাদের রক্তে ক্ষতিকর কোষকে ধ্বংস করে ডিটক্সিফিকেশনে সাহায্য করে।
খেতে পারেন করলার জুসও। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অফ ভিটামিন অ্যান্ড নিউট্রিশনে প্রকাশিত একটি সমীক্ষা অনুসারে, করলার মধ্যে থাকে মোমরডিকা চারেন্টিয়া, যা লিভারের বিভিন্ন এনজাইমকে আরও অ নেক বেশি শক্তিশালী করে। লিভারের নানা সমস্যা প্রতিরোধ করে। মূত্রাশয়ের কার্যকারিতা বাড়াতেও ভূমিকা রয়েছে এই সবজির।
পটলের মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার। এখন বাজারে প্রচুর পটল পাওয়াও যাচ্ছে। আর এই পটল আমাদের বিপাকে সাহায্য করে। যে কারণে পটল লিভারের জন্যও বেশ ভাল। এছাড়াও জন্ডিস রুখতে ভূমিকা রয়েছে পটলের। পটলের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আর অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেচরি বৈশিষ্ট্যের কারণেই পটল এত জনপ্রিয়। মাছ কিংবা মাংসের সঙ্গে পটল দিয়ে হালকা ঝোল বানিয়ে নিন। এতে ভাল থাকবে লিভার।