পেটে গ্যাস সব মানুষেরই হয়। এটি কোনও অস্বাভাবিক ঘটনা নয়। তবে পেটের মধ্যে গ্যাস হলে আমাদের অনেক রকম অস্বস্তিকর পরিবেশের মধ্যে পড়তে হয়। অনেকেই এই গ্যাস নিয়ে বিব্রত হয়, যদিও এটি খুব স্বাভাবিক ঘটনা। এবং মনে করা হয় এই গ্যাস আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য ভাল। গ্যাস তখনই হয় যখন অন্ত্রের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যাকটেরিয়া তৈরি হয় না এবং ক্ষতিকর ব্যাকটেরিয়া জোর করে খাবার ভাঙার চেষ্টা করে। তাই গ্যাসের সমস্যা থাকলে যে সব খাবার এড়িয়ে চলবেন....
1 / 6
মুসুর ডাল খেতে খুবই ভাল। এর মধ্যে থাকে প্রচুর পরিমাণ পুষ্টিও। তবে এই ডাল গ্যাসের অন্যতম কারণ। ডালের মধ্যে থাকে রাফিনোজ, যে কারণে গ্যাস বেশি হয়। এছাড়াও রাজমা থেকে গ্যাসের সমস্যা হয় সবচাইতে বেশি। তাই যাঁরা রোজ রাজমা-চাউল খান তাঁদের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্যও বেশি দেখা যায়। হজমের অসুবিধে হয়। তাই সবথেকে ভাল যদি ডাল আগের রাতে ভিজিয়ে রাখেন।
2 / 6
দুধের মধ্যে ল্যাকটোজ থাকে। যে কারণে অনেকেই দুধ সহ্য করতে পারেন না। ফলে সেখান থেকে হজমের সমস্যা, পেটখারাপ গ্যাস এসব লেগেই থাকে। এছাড়াও যাদের অন্ত্র দুর্বল তাদেরও দুধ খেলে সমস্যা হতে পারে। অনেকের ওটস, ব্রাউন রাইস থেকেও গ্যাসের সমস্যা হয়। এগুলির মধ্যে থাকে ফাইবার, স্টার্চ, রাফিনোজ- যা অন্ত্রে ভেঙে গিয়ে মিথেন, কার্বন-ডাই-অক্সাইড এবং হাইড্রোজেন গ্যাস তৈরি করে। তবে এই গ্যাস মলদ্বার দিয়ে বেরিয়ে যায়।
3 / 6
রুটি, ভুট্টা আর আলু থেকেও হয় গ্যাসের সমস্যা। কারণ এই সব খাবারের মধ্যে স্টার্চের পরিমাণ বেশি। তা হজম করতে গেলে ভেঙে গিয়ে গ্যাস তৈরি করে। যে কারণে তা হজমের সময় সমস্যা বেশি হয়।
4 / 6
কিছু ফল থাকে যার মধ্যে সরবিটল নামক চিনির পরিমাণ বেশি থাকে। যা থেকে সহজেই গ্যাস তৈরি হয়। এছাড়াও ফলের মধ্যে থাকে দ্রবণীয় ফাইবার। যা হজমের সময় অন্ত্রে গ্যাস তৈরি করে। এরমধ্যে রয়েছে আপেল, পিচ এসব ফল। সাধারণত খাবারের সঙ্গে কাঁচাই খাওয়া হয় এসব ফল। তখন ব্যাকটেরিয়া অন্ত্রে এই খাবারকে ভেঙে গ্যাস তৈরি করে দেয় সহজেই। ফ্রুকটোজের কারণেই এমনটা হয়।
5 / 6
ব্রকোলি, ফুলকপি, বাঁধাকপির মধ্য ফাইবার যেমন বেশি পরিমাণে থাকে তেমনই কার্বোহাইড্রেটও থাকে। ফলে হজমের পদ্ধতির কারণেই গ্যাস বেশি হয়। এছাড়াও এই সব সবজির মধ্যে দ্রবণীয় ফাইবার থাকে যে কারণে তা অন্ত্রে হজমের সমস্যা তৈরি করে।