ডিসেম্বরেও মধ্যগগনে সূর্য। গরম লাগছে। ঘাম হচ্ছে। রাতের বেলাতেও অনেকে ফ্যান চালিয়ে ঘুমোচ্ছেন। সকালে আর রাতের দিকে অল্প ঠাণ্ডা থাকলেও বেলা গড়ালে সেই ঠাণ্ডা সম্পূর্ণ কেটে যাচ্ছে। অথচ বড়দিন আর মাত্র কয়েকদিন পরই। দোকানে দোকানে চলছে ক্রিসমাসের ডেকোরেশন।
তবে এই আবহাওয়ার খামখেয়ালিপনাতেই অধিকাংশ মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দিকে দিকে সর্দি, কাশির সমস্যা লেগেই রয়েছে। গলা ব্যথা, হাঁটুতে ব্যথা, পেট খারাপ এসব তো আছেই। শীত পড়লে এমনিই শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়।
এই ঠাণ্ডা গরমের লুকোচুরিতে আরও অসুবিধে বেড়েছে। ডেঙ্গি বাড়ছে। বেড়েছে মশার উদ্রবও। সঙ্গে সংক্রমণ জনিত অসুখ তো আছেই। তাই এই শীতে সুস্থ থাকতে সেই পুরনো ঘরোয়া টোটকাতেই ফিরে যাওয়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের।
শরীর সুস্থ রাখতে আদার জুড়ি মেলা ভার। ঠাণ্ডা লাগার সমস্যায়, হজমের সমস্যায় ভীষণ ভাল কাজ করে আদা। আর তাই আদা দিয়েই চা বানিয়ে খান। এছাড়াও আদা, গোলমরিচ থেঁতো করে জলে ফেলে ফুটিয়ে ছেঁকে খান। শুকনো কাশির সমস্যা থাকলে আদা, গোলমরিচ ফুটিয়ে মধু দিয়ে খাওয়া যেতে পারে।
শীতের দিনে দারুণ আরও একটি মশলা হল দারুচিনি। ডায়াবেটিসের জন্য খুবই কার্যকরী হল দারুটিনি। এছাড়াও দারুচিনিতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি ওষুধি গুণ। যা ক্যানসার, হজমের সমস্যা এবং প্রদাহের হাত থেকে রক্ষা করে।
আদা, গোলমরিচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, তুলসিপাতা, যষ্ঠিমধু ৪ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে রাখুন। এরপর সেই জল ভাল করে ফুটিয়ে ছেঁকে নিয়ে মধু মিশিয়ে খান। শীতের দিনে ছোট থেকে বড় সকলেই খেতে পারেন এই মিশ্রণ।