শরীরে যে সব দূষিত পদার্থ তৈরি হয় তাই বেরিয়ে আসে প্রস্রাবের মাধ্যমে। যে কারণে প্রস্রাব আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দূষিত রেচক প্রস্রাবের মাধ্যমে বেরিয়ে যায় বলেই কিন্তু শরীর সুস্থ থাকে। প্রস্রাবের একটা ঝাঁঝালো গন্ধ থাকেই। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে অনেকেই তা টের পান না। দিনের পর দিন প্রস্রাব করে জল না দিয়ে তখনই তা বোঝা যায়। কিন্তু প্রস্রাব করার পর যদি দুর্গন্ধ ওঠে তা মোটেই সুস্থতার চিহ্ন নয়।
প্রচুর মানুষের প্রস্রাবেই খারাপ গন্ধ থাকে। তবে অনেকেই তা বুঝেও বুঝতে চান না। এক্ষেত্রে বিপদ কিন্তু অনেক বেশি। প্রয়োজনের তুলনায় জল কম খেলে এই সমস্যা হয়। তখন ইউরিন যেমন হলুদ হয়ে যায় তেমনই তাতে দুর্গন্ধ থাকে। তাই প্রস্রাবে দুর্গন্ধ কিন্তু ডিহাউড্রেশনেরও ইঙ্গিত।
বিশেষ কিছু খাবারও হতে পারে ইউরিনে দুর্গন্ধের কারণ। রসুন বেশি পরিমাণে খেলে সেখান থেকে সমস্যা হতে পারে। কারিপাতা, পেঁয়াজ এসব বেশি খেলেও সেখান থেকে সমস্যা হতে পারে। অতিরিক্ত মশলাদার খাবার খেলে সেখান থেকেও গন্ধ থাকে প্রস্রাবের মধ্যে। মোটকথা সালফার যুক্ত খাবার খেলেই এই সমস্যা বেশি হয়।
যাঁরা নিয়মিত ভাবে মদ্যপান , ধূমপান করেন তাঁদের ক্ষেত্রেও হতে পারে এই সমস্যা। এছাড়াও যদি ইউরিনারি ট্র্যাকে কোনও ইনফেকশন হয়ে থাকে সেখান থেকেও কিন্তু হতে পারে এই সমস্যা। তাই হতে পারে সমস্যা। ইউরিনের জায়গায় ব্যাকটেরিয়া ঘটিত কোনও সংক্রমণ থেকেও কিন্তু হতে পারে এমন অসুবিধে।
মহিলাদের ক্ষেত্রে ইউরিনের ইনফেকশন সবচেয়ে বেশি হয়। ইউরিনে ইনফেকশন হলে সেখান থেকে প্রস্রাবে গন্ধ হতে পারে। এছাড়াও পরিচ্ছন্নতার অভাবেও এমনটা হয়। মহিলাদের ক্ষেত্রে ছত্রাক আক্রমনের সম্ভাবনা থাকে সবচেয়ে বেশি।
যাঁরা ডায়াবেটিসে ভুগছেন তাঁদেরও ইউরিনে একরকম গন্ধ থাকে। এছাড়াও গর্ভাবস্থায় এবং নিয়মিত হরমোনের ওষুধ খেলে সেখান থেকেও সমস্যা হয়।