আজকাল ঘরে ঘরে হাতে-পায়ে ব্যথার সমস্যা। এর পিছনের অন্যতম কারণ হল হারের জোর কমে যাওয়া। হাঁটুর প্রতিস্থাপন করানোর সংখ্যাও বাড়ছে দিনে দিনে। আবার হাড়ে সমস্যা দেখা দিলেই প্রথম শুরু হয় ক্যালশিয়াম, ভিটামিন ডি-এর ওষুধ খাওয়া। তবু অস্থিসন্ধির নমনীয়তা ফিরবে কী ভাবে?
অল্প বয়সে মাটিতে বসতে সমস্যা, হাঁটু মুড়ে রাখতে কষ্ট, সিঁড়ি দিয়ে উঠতে গিয়ে পায়ে ব্যথা,ভারী জিনিস তুলতে গেলে পিঠে, কাঁধে, হাতে যন্ত্রণা লেগেই রয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে এর কারণ আমাদের প্রতিদিনের কিছু অভ্যাস।
রোজের অনিয়মের ফলেই জোর কমে আসে হাড়ের। হাড়ের ক্ষয় হতে শুরু করে। যা কিন্তু কেবল ওষুধ খেয়ে সামাল দেওয়া মোটে সম্ভব। রোজের অনিয়মে যে সমস্যা শুরু হয়েছে, তাকে বাগে আনতে হলে পরিবর্তন আনতে জীবনধারাতেও। কী করলে মিলবে সুফল? রইল ৫ টিপস।
ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন - হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা জরুরি। দেহের অতিরিক্ত ওজন দেহের কোমর, হাঁটু, গোড়ালির উপর অতিরিক্ত চাপ সৃষ্টি করে। তাই আগে সে দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন।
শোয়া, বসার ভঙ্গি - হাড়ের সমস্যা বেড়ে যেতে পারে শোয়া বা বসার দোষে। দীর্ঘ ক্ষণ মেরুদণ্ড বেঁকিয়ে বসে বা শুয়ে থাকলে তার উপর চাপ পড়ে। ভুল ভঙ্গিতে দীর্ঘ ক্ষণ বসলে বা শুয়ে থাকলে কোমর, ঘাড় কিংবা কাঠামোগত সমস্যা দেখা দিতে পারে। অনেক ক্ষণ হিল জুতো পরে থাকলেও কিন্তু মেরুদণ্ডের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
নিয়মিত শরীরচর্চা - ওজন নিয়ন্ত্রণই বলুন বা হাড়ের স্বাস্থ্য— নিয়মিত শরীরচর্চা করলে দুই-ই ভাল থাকে দেহের বিভিন্ন অস্থিসন্ধি সংলগ্ন পেশি মজবুত না হলে চোট পাওয়ার সম্ভাবনা বেড়ে যেতে পারে। তাই নিয়মিত হাঁটাহাটি করা, সাইকেল চালানো বা সাঁতার কাটার মতো শরীরচর্চা করার প্রয়োজন রয়েছে।
সঠিক জুতো পরা - শরীরচর্চা করা বা হাঁটাহাটি করার সময়ে ভুল জুতো পরলেও কিন্তু হাড়ের সমস্যা হতে পারে। চিকিৎসকেরা বলছেন, পায়ের আরাম হয় এমন জুতো না পরলে পায়ের পাতার স্নায়ু, লিগামেন্টের উপর চাপ পড়ে। তখন কিন্তু উপকারের বদলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাই বেশি।
বিশ্রাম নেওয়া জরুরি - হাড়ের স্বাস্থ্য ভাল রাখতে শুধু শরীরচর্চা করলেই হবে না। পর্যাপ্ত বিশ্রামও নিতে হবে। তবেই টিস্যুর ক্ষত নিরাময় হবে এবং নতুন কোষ তৈরি হবে। হাড়ের ক্ষয় রোধ করতেও রাতে সাত থেকে ন’ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজন রয়েছে।