আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে আদাকে মহৌষধি বলে মনে করা হয়। নানা সমস্যায় ওষুধ হিসাবে আদা সেবন করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। রোগ প্রতিরোধের অস্ত্র হিসেবেও আদা ব্য়বহার করা হয়।
আদায় রয়েছে একাধিক উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা ইমিউনিটি বাড়ানোর জন্য সিদ্ধহস্ত। অনেক সময় বমি বা বমি ভাব দেখা দিলে এক টুকরো আদা মুখে রাখলে ম্যাজিক! শুকনো কাশি, গ্যাস-অম্বলের সমস্যাতেও দারুণ কার্যকরী আদা
আদা কেমন করে খেলে শরীরের জন্য ভালো এই নিয়ে রয়েছে নানা মত। কেউ বলেন কাঁচা আদায় বেশি উপকার হয় আবার কেউ বলেন শুকনো আদাই সেরা। এখন বাজারে শুকনো আদা সহজেই পেয়ে যাবেন, আবার তা বাড়িতেও বানাতে পারেন
নিয়মিত আদা খেলে মস্তিষ্কে সেরোটোনিন এবং ডোপামিন হরমোনের ক্ষরণ বৃদ্ধি পায়। তাই কোন আদা খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায় তা জানতে হলে পড়তে হবে এই প্রতিবেদন।
সব আদাতেই রয়েছে উপকার। তবে, বেশি উপকার পেতে হলে শুকনো আদাই সেরা। একাধিক গবেষণাতেও মিলেছে তার প্রমাণ। সেখানে বলা হয়েছে কাঁচা আদার তুলনায় শুকনো আদার ঔষধি গুণ অনেকটাই বেশি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, যে কোনও মশলাই ৫ গ্রামের বেশি খাওয়া উচিত নয়। তাই আদাও ৫ গ্রামের বেশি খাওয়া উচিত নয়। রান্নায় যেমন আদা দরকার তেমনটা খান। এর পাশাপশি যদি এক টুকরো শকনো আদা খাওয়া যায় তাহলে সেরা। এ ছাড়া এক গ্লাস জলে এক চামচ শুকনো আদার পাউডার মিশিয়ে খেলেও উপকার অনেক।
অনেকেই নুন ছড়িয়ে আদা খান। বিশেষজ্ঞদের মতে, নুন হল সোডিয়ামের ভাণ্ডার। তাই নুন দিয়ে আদার টুকরো না খাওয়াই শ্রেয়। বিশেষত কাশি হলে বা শুকনো মুড়ির সঙ্গে আদা খেলে সঙ্গে একটু নুন নেন। তবে নুন দিয়ে আদা একেবারেই খাওয়া ঠিক নয়
বিশেষজ্ঞদের মতে, আদা চা শরীরের জন্য সেরা। তবে খেতে হবে এই পদ্ধতিতে। জলের মধ্যে চা ও আদা মিশিয়ে ভালো করে ফুটিয়ে নিন। আদা, চাপাতা জলে দিয়ে চা বানাতে পারেন। আবার আদা, গোলমরিচ, এলাচ, লবঙ্গ থেঁতো করে জলে ফুটিয়ে ওর সঙ্গে মধু মিশিয়ে খেতে পারেন