সন্তান প্রসবের পরে বেশির ভাগ মহিলাই চুল পড়ে যাওয়ার মতো সমস্যার সম্মুখীন হন। কেউ কেউ বিষয়টিকে এড়িয়ে যান, আবার শিশুর যত্নে কেউ কেউ এতই ব্যস্ত হয়ে যান যে সময় পান না এসব নিয়ে ভাবার। কিন্তু প্রসবের পর চুল পড়ে যাওয়ার বিষয়টিকে কোনও ভাবেই এড়িয়ে যাওয়া উচিত নয়।
শিশুর জন্ম দেওয়ার পর যে কোনও সময় এই চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা শুরু হতে পারে। অনেকের গর্ভাবস্থা থেকেই এই সমস্যা দেখা দেয়। এবং এই সমস্যা টানা এক বছর পর্যন্ত চলতে পারে। চার মাসের আশেপাশে এই চুলে পড়ে যাওয়ার সমস্যা চরম পর্যায়ে পৌঁছায়।
ত্রিশ থেকে ষাট শতাংশ মহিলা প্রসবের পর এই চুল পড়ে যাওয়ার সমস্যা সম্মুখীন হন। এই অবস্থাকে চিকিৎসার ভাষায় অ্যালোপেসিয়া বলা হয়। এটি শরীরের হরমোনের পরিবর্তনের কারণে ঘটে। তবে এই অবস্থা বেশি দিন স্থায়ী হয় না। কিন্তু তা বলে চুলের যত্ন নেবেন না, সেটাও করবেন না যেন। পরিস্থিতি কীভাবে সামাল দেবেন দেখে নিন..
এমন একটি ডায়েট মেনে চলুন যা সুষম এবং পুষ্টিকর। এর জন্য সবুজ শাক সবজি, মিষ্টি আলু, তাজা ফল ইত্যাদিকে আপনি বেছে নিতে পারেন। যদি আপনার ডায়েটে মাছ না থাকে, তাহলে মাছের বদলে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড সাপ্লিমেন্ট গ্রহণের বিষয়ে বিবেচনা করতে পারেন। আপনি যা খান, তার প্রভাব আপনার চুল এবং ত্বকের ওপর পড়ে।
চুলের যত্নে পরিবর্তন আনুন। প্রসবের পরে আপনার চুলে মৃদু শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। এই পরিস্থিতিতে কিছু সময়ের জন্য চুলে স্টাইল করা থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করুন। কারণ চুলে বেশি স্টাইল করলে, পনিটেলে বেঁধে রাখলে চুল পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আরও বেড়ে যায়।
এই পরিস্থিতিতে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম আর বিশ্রাম প্রয়োজন। একটি ভাল ঘুম আপনার শরীরের যাবতীয় সমস্যার সঙ্গে চুল পড়াও রোধ করতে সমান কার্যকরী। অনিয়ন্ত্রিত চুল পড়ার সবচেয়ে সাধারণ কারণগুলির মধ্যে মানসিক চাপ হল অন্যতম। তাই ঘুমের মাধ্যমে আপনি মন ও শরীরকে শিথিল করতে পারেন এবং চুল পড়া রোধ করতে পারেন।