Tongue Health: জিভের রং বলে দেবে স্বাস্থ্য কেমন! এখনই করে নিন টাং টেস্ট

Different Patterns of Tongue: কখনও ভেবে দেখেছেন, চিকিৎসকের কাছে গেলে কেন তিনি জিভ বের করে দেখাতে বলেন? কারণ জিভের অবস্থার উপরেই নির্ভর করে একজন ব্যক্তির স্বাস্থ্য! একজন ব্যক্তির শরীরের অন্দরের স্বাস্থ্য কেমন তা জিভের অবস্থা দেখেই বলে দেওয়া সম্ভব!

| Edited By: | Updated on: Jul 22, 2022 | 9:36 AM
বিশেষ করে জিভের ওপরে যে আস্তরণ পড়ে তা পরীক্ষা করেই একজন ব্যক্তির স্বাস্থ্য সম্পর্কে আন্দাজ করা সম্ভব। কোনও ব্যক্তি কেমন ধরনের খাদ্য গ্রহণ করেন, কোনও ওষুধ সেবন করেন কি না, ধূমপান করেন কি না, মদ্যপানের অভ্যেসও আছে কি না জানা সম্ভব জিভের রং দেখে!

বিশেষ করে জিভের ওপরে যে আস্তরণ পড়ে তা পরীক্ষা করেই একজন ব্যক্তির স্বাস্থ্য সম্পর্কে আন্দাজ করা সম্ভব। কোনও ব্যক্তি কেমন ধরনের খাদ্য গ্রহণ করেন, কোনও ওষুধ সেবন করেন কি না, ধূমপান করেন কি না, মদ্যপানের অভ্যেসও আছে কি না জানা সম্ভব জিভের রং দেখে!

1 / 11
কিছু বিশেষ ধরনের দাগ দেখেও বোঝা যায় ওই ব্যক্তি অস্বাস্থ্যকর খাদ্য খান কি না!

কিছু বিশেষ ধরনের দাগ দেখেও বোঝা যায় ওই ব্যক্তি অস্বাস্থ্যকর খাদ্য খান কি না!

2 / 11
এমনকী ওই ব্যক্তির ঘুমের সমস্যা হচ্ছে কি না, বা দেহে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রণ ঘটেছে কি না, দুর্বলতা এবং অন্য কোনও সমস্যা আছে কি না তাও বলা যায় জিভের অবস্থা দেখে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

এমনকী ওই ব্যক্তির ঘুমের সমস্যা হচ্ছে কি না, বা দেহে ব্যাকটেরিয়ার সংক্রণ ঘটেছে কি না, দুর্বলতা এবং অন্য কোনও সমস্যা আছে কি না তাও বলা যায় জিভের অবস্থা দেখে। এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

3 / 11
বিশেষজ্ঞদের মতে দৈহিক স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে ছয় ধরনের জিভ দেখা যায়। ছয়টি আলাদা ধরন দেখেই বোঝা সম্ভব ওই ব্যক্তির স্বাস্থ্য কেমন।

বিশেষজ্ঞদের মতে দৈহিক স্বাস্থ্যের উপর নির্ভর করে ছয় ধরনের জিভ দেখা যায়। ছয়টি আলাদা ধরন দেখেই বোঝা সম্ভব ওই ব্যক্তির স্বাস্থ্য কেমন।

4 / 11
উজ্জ্বল লাল : জিভে লাল ছোপ থাকলে বা উজ্জ্বল লাল জিভ হলে বুঝতে হবে, ওই ব্যক্তি রক্তাল্পতার সমস্যায় ভুগছেন। ভিটামিন বি১২-এর অভাবও রয়েছে।

উজ্জ্বল লাল : জিভে লাল ছোপ থাকলে বা উজ্জ্বল লাল জিভ হলে বুঝতে হবে, ওই ব্যক্তি রক্তাল্পতার সমস্যায় ভুগছেন। ভিটামিন বি১২-এর অভাবও রয়েছে।

5 / 11
ঘন হলুদ আস্তরণ : মুখে ব্রণের সমস্যা তৈরি হতে পারে। এছাড়া মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যও খুব ভালো নয়। প্রতিদিন দু’বেলা ব্রাশ করেন না ওই ব্যক্তি। এছাড়া শরীর মাত্রাতিরিক্ত উষ্ণ হয়ে আছে ও মুখে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঘটেছে বলেও বোঝা যায়। ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধির পিছনে একাধিক কারণ দায়ী থাকতে পারে। প্রথমত ওই ব্যক্তি খাবার খেয়ে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করেন না এমন হতে পারে।

ঘন হলুদ আস্তরণ : মুখে ব্রণের সমস্যা তৈরি হতে পারে। এছাড়া মুখগহ্বরের স্বাস্থ্যও খুব ভালো নয়। প্রতিদিন দু’বেলা ব্রাশ করেন না ওই ব্যক্তি। এছাড়া শরীর মাত্রাতিরিক্ত উষ্ণ হয়ে আছে ও মুখে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ ঘটেছে বলেও বোঝা যায়। ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধির পিছনে একাধিক কারণ দায়ী থাকতে পারে। প্রথমত ওই ব্যক্তি খাবার খেয়ে ভালো করে মুখ পরিষ্কার করেন না এমন হতে পারে।

6 / 11
বেদনাহীন ফোলা অংশ : জিভের পাশে ব্যথাহীন ছোট্ট ছোট্ট লাল বা সাদা রঙের ফোলা অংশ দেখা গেলে ও খাবার খেতে সমস্যা হলে বুঝতে হবে, শরীরে অ্যাসিডের উপস্থিতি বেড়ে গিয়েছে। মূলত ভাজাভুজি বেশি খেলে এমন লক্ষণ দেখা যেতে পারে।

বেদনাহীন ফোলা অংশ : জিভের পাশে ব্যথাহীন ছোট্ট ছোট্ট লাল বা সাদা রঙের ফোলা অংশ দেখা গেলে ও খাবার খেতে সমস্যা হলে বুঝতে হবে, শরীরে অ্যাসিডের উপস্থিতি বেড়ে গিয়েছে। মূলত ভাজাভুজি বেশি খেলে এমন লক্ষণ দেখা যেতে পারে।

7 / 11
সাধারণত এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ফোলা অংশগুলি অদৃশ্য হয়ে যায়। তবে তা না হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

সাধারণত এক থেকে দুই সপ্তাহের মধ্যে ফোলা অংশগুলি অদৃশ্য হয়ে যায়। তবে তা না হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

8 / 11
অস্বাভাবিক রকমের মসৃণ : আমাদের জিভে থাকে সূক্ষ্ণ চুলের মতো অংশ প্যাপিলাই। এই সূক্ষ্ম প্যাপিলাই জিভের গাত্রকে রুক্ষভাব প্রদান করে। সুতরাং জিভ খুব মসৃণ হলে তা কখনওই স্বাভাবিক নয়। এই অবস্থাকে বলে অ্যাট্রোফিক গ্লসাইটিস। মূলত পুষ্টির অভাবে এমন উপসর্গ তৈরি হয়।

অস্বাভাবিক রকমের মসৃণ : আমাদের জিভে থাকে সূক্ষ্ণ চুলের মতো অংশ প্যাপিলাই। এই সূক্ষ্ম প্যাপিলাই জিভের গাত্রকে রুক্ষভাব প্রদান করে। সুতরাং জিভ খুব মসৃণ হলে তা কখনওই স্বাভাবিক নয়। এই অবস্থাকে বলে অ্যাট্রোফিক গ্লসাইটিস। মূলত পুষ্টির অভাবে এমন উপসর্গ তৈরি হয়।

9 / 11
ক্রিমের মতো আস্তরণ অথবা দাগ : জিভে চিজের মতো দাগ অথবা আস্তরণ নির্দেশ করে আপনার মুখে ইস্টের সংক্রমণ ঘটেছে। বয়স্ক ব্যক্তি, শিশুদের এই সমস্যা বেশি হয়। এছাড়া কোনও ব্যক্তির রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়লেও এমন সমস্যা দেখা যেতে পারে। একাধিক কারণে এই ধরনের সংক্রমণ ঘটার আশঙ্কা থাকে। কিছু ওষুধ যেমন অ্যান্টিবায়োটিক, জন্ম নিয়ন্ত্রক বড়ি ইত্যাদি খেলে এমন উপসর্গ প্রকাশ পেতে পারে জিভে।

ক্রিমের মতো আস্তরণ অথবা দাগ : জিভে চিজের মতো দাগ অথবা আস্তরণ নির্দেশ করে আপনার মুখে ইস্টের সংক্রমণ ঘটেছে। বয়স্ক ব্যক্তি, শিশুদের এই সমস্যা বেশি হয়। এছাড়া কোনও ব্যক্তির রোগপ্রতিরোধ ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়লেও এমন সমস্যা দেখা যেতে পারে। একাধিক কারণে এই ধরনের সংক্রমণ ঘটার আশঙ্কা থাকে। কিছু ওষুধ যেমন অ্যান্টিবায়োটিক, জন্ম নিয়ন্ত্রক বড়ি ইত্যাদি খেলে এমন উপসর্গ প্রকাশ পেতে পারে জিভে।

10 / 11
অতএব আর দেরি না করে, ব্রাশ করার পরেই আয়নায় দেখে নিন জিভের রং কেমন। প্রয়জন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

অতএব আর দেরি না করে, ব্রাশ করার পরেই আয়নায় দেখে নিন জিভের রং কেমন। প্রয়জন হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।

11 / 11
Follow Us: